মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য, কিংবদন্তী গায়ক ভুপেন হাজারিকার সেই বিখ্যাত গান আজও মানুষের হৃদয়ে আলোড়ন তোলে। কিন্তু দুঃস্থ অসহায় মানুষের পাশে থাকেন বা কয় জন!! কিন্তু আজ এমন এক মানুষের মুখোমুখি হতে চলেছি পেশাগত ভাবে তিনি একজন গর্ভমেন্ট অফ ইন্ডিয়ার উচ্চপদস্ত কর্মচারী হলেও অফিসিয়াল কর্মক্ষেত্রের বাইরে যেটুকু সময় তিনি পান তা নিবেদন করেছেন সমাজ কল্যান মূলক সেবায়। দিন-রাত সোঁপে দিয়েছেন তিনি আর্তের সেবায়। আবার তিনি একাধারে কবি ও গীতিকার। সমাজ সেবা তাঁর কাছে কোনো দ্বায়বদ্ধতা নয়, মানুষের পাশে দাঁড়ানোটা কে তিনি ধর্ম মনে করেন। সকলের পরিচিত সমাজসেবী সংগঠন ”ওয়েবস্টার সার্ভিসেস সোসাইটি” এর কর্নধার, তিনি আর কেউ নন সকলের প্রিয় অনুপ বিশ্বাস। আজ আমি মুখোমুখি হয়েছি সেই গুণী মানুষের। জানব তাঁর ও তাঁর সংগঠনের কর্মকান্ডের নানা দিক।
প্রশ্নঃ দাদা প্রথমে জানব আপনার সংস্থা উড়ান সম্পর্কে কিছু কথা? তার কর্মকান্ড।
উত্তরঃ উড়ান স্বতন্ত্র একটি সাংস্কৃতিক একটা সংস্থা, আসলে সংস্কৃতি ও মানুষ কে যারা ভালোবাসতে পারেন তাঁরাই উড়ান কে বুঝতে পারেন। আসলে কৃষ্ণনগর তথা নদিয়া জেলা তে উড়ান বেশ কিছু নতুন কনসেপ্ট নিয়ে আসে, যারা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সাহায্য করেছে। আর প্রতি মুহূর্তে প্রতি দিন আমরা ভাবতে থাকছি, ফলে মানুষ সেই ভাবেই গ্রহণ করছেন। আসলে উড়ান একটা টিম, ব্যক্তির কোনও স্থান নেই, তাই টিম ওয়ার্ক এ বিশ্বাসী হয়েই আমরা কাজ করি।
প্রশ্নঃ দাদা ওয়েবস্টার সার্ভিসেস সোসাইটি কি? একটু বলুন।
উত্তরঃ ওয়েবস্টার সার্ভিসেস সোসাইটি একটা সামাজিক সংগঠন, যার বয়স প্রায় আট বছর। সমাজের আর্থিক ভাবে, মানসিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্যে কাজ করাই এই সংগঠন এর কাজ। আসল কথা আমরা একটা ধর্ম মানি, আর তা হলো মানব ধর্ম, আর তার জন্যে বাকি সব কিছু কে অগ্রাহ্য করতে পারি।
প্রশ্নঃ ওয়েবস্টার সোসাইটির জন্ম কি ভাবে? প্রথম ভাবনা কার?
উত্তরঃ ওয়েবস্টার সার্ভিসেস সোসাইটি এর জন্ম ২০১২ সালে। কলেজ এর মাঝামাঝি থেকে স্টেশন গুলো বা স্টেশন এর আশেপাশে বহু মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে দেখেছি মানুষের প্রত্যাশা বাড়তে থাকে। এলাকার পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্যে কাজ করতে গিয়েও তাই পেয়েছি। এর মধ্যেই আমার দুই বন্ধু মিন্টু দে এবং বিভাস বিশ্বাস এর সাথে কথা হয় এ ব্যাপারে এবং আমরা সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন টা করি আরেকটু বৃহৎ পরিসরে কাজ করার জন্যে।
প্রশ্নঃ ওয়েবস্টার মূলত কি ধরনের কর্মকান্ড হয়? কত মানুষ এর সঙ্গে যুক্ত?
উত্তরঃ প্রথমত বলার মূলত আদিবাসী সম্প্রদায়ের গ্রাম গুলোর শিক্ষা, বাচ্চাদের ন্যূনতম প্রয়োজন এবং একটি হরিজন এলাকা নিয়ে কাজ করছি আমরা। প্রতি বছর পুজোর আগে “উৎসবে ওরাও হাসুক” এ আমরা বাচ্চাদের জন্যে নতুন জামাকাপড় এর ব্যবস্থা করি। এ বছরের দুর্গা পুজোতে প্রায় ছয়টা ডিস্ট্রিক্ট এ ২০০০ বাচ্চার জামাকাপড় দেওয়া হয়েছে। আর দ্বিতীয়ত, কত মানুষ এর সাথে যুক্ত এটা বলা কঠিন, প্রতি দিন প্রতি মূহুর্তেই অনেক মানুষ আসছেন, কাজ করছেন টিম এর সাথে। তবে কম বেশি রাজ্য জুড়ে প্রায় একশো জন আমরা কাজ গুলো করছি।
প্রশ্নঃ- আপনাদের কর্মকান্ডের পরিধির ব্যাপ্তি কত দূর? মানে বাংলার মধ্যেই কি শুধু সীমাবদ্ধ?
উত্তরঃ- একদমই, শারীরিক ভাবে কাজ শুধুমাত্র এ বাংলাতেই সীমাবদ্ধ এখনো।
প্রশ্নঃ এর বাইরে আপনি একজন সরকারি পোষ্টে জব করেন, কি ভাবে ব্যালেন্স করেন? সময় পান কিভাবে?
উত্তরঃ- সময় পাওয়া টা বড্ড কঠিন, আবার ইচ্ছা থাকলে হয়েও যায়। অফিস করার বাইরেও করে নিতে হয় সময়। আমার জীবনদর্শন বলে আমাদের জীবন টা খুব ছোট্ট, কাজ প্রচুর। প্রতি মুহূর্তে একটা ভাবনা আমায় দৌড় করায়, আমি মৃত্যুর আগে সব কাজ তো শেষ করে যেতে পারবো না! রাতে ঘুমাতে যেতে প্রায় রোজই ভোর হয়, ঘন্টা পাঁচেক ঘুমিয়ে হয়ে যায়, বাকি উনিশ ঘন্টা কাজ গুলোতেই ডুবে থাকি শরীরে বা মননে।
প্রশ্নঃ আপনার সংগঠন এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে, যদি কিছু তুলে ধরেন?
উত্তরঃ ওয়েবস্টার সার্ভিসেস সোসাইটি তেহট্টের কাছেই একটা গ্রামকে বাচ্চাদের ন্যূনতম শিক্ষা ও ন্যূনতম প্রয়োজন নিয়ে দত্তক নিয়েছে। প্রতি সপ্তাহে সেখানে ক্লাসরুম কোচিং এবং ড্রইং, নাচ, গান ইত্যাদি করানো হয়। জানি না কতটা করতে পারছি বা করতে পারবো, কিন্তু টিম তেহট্ট ভীষন চেষ্টা করছে ওটা কে এগিয়ে নিয়ে যেতে।
প্রশ্নঃ একটা জিনিস দেখেছি, ব্লাড নিয়ে আপনারা সারা বছর কাজ করে থাকেন, একটু বিষয় সম্পর্কে বলবেন, কি ভাবে কমিউনিকেট করেন?
উত্তরঃ হুম, রক্ত জোগাড় করা বা রক্তদাতা জোগাড় করা নিয়ে আমাদের বছরের ৩৬৫ দিন কাজ চলতে থাকে, আর সেটা সারা রাজ্য জুড়েই। মানুষ কোথা কোথা থেকে আমাদের নাম্বার পান আমরাও বুঝি না আজও, কিন্তু যোগাযোগ করেন, আমরাও সমগ্র টিম ঝাঁপিয়ে পড়ে সেগুলো মেটানোর চেষ্টা করি।
প্রশ্নঃ এমন আরো কিছু সাংগঠনিক সুপ্ত চিন্তাভাবনা রয়েছি কি? মানে ভিন্ন ধরনের আরো কিছু কর্ম কান্ডের?
উত্তরঃ- নিশ্চয়ই আছে, প্রতি মুহুর্তে ভাবনা গুলো থেকেই নতুন নতুন পরিকল্পনার জন্ম নেয়, নিচ্ছে। তবে সেগুলো এখনই সব টা বলা ঠিক হবে না, নিশ্চয়ই জানাবো ঠিক সময়ে।
প্রঃ এই যে কর্মযজ্ঞ, কতটা সাহায্য পান মানুষের কাছ থেকে? এই বিশাল ব্যায় কিভাবে সম্ভব করেন?
উত্তরঃ- সাহায্যে মানুষ যে এগোতে চান না, তা নয়, অনেকেই আসেন। তবে তা যথেষ্ঠ নয় যে সেটা প্রতি মুহূর্তে আমরা উপলব্ধি করি। ব্যয় এর বেশির ভাগ টায় বহন করে আমাদের টিম এর মেম্বররা, নিজেদের সামর্থ অনুযায়ী যে যতোটা মাক্সিমাম পারেন করতে থাকেন।
প্রঃ- এই যে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চিন্তা ভাবনা এটা ব্যাক্তিগতভাবে কি ভাবে আপনার মনে জন্ম নিল? মানে জন্মগত, না কোনো সামাজিক ঘটনা মনে দাগ কাটা থেকে ভাবনার এই গতি প্রকৃতি?
উত্তরঃ- মানুষের পাশে দাঁড়ানোটা যে প্রয়োজন সেটা খুব ছোট থেকেই বাবা কে দেখেছি। সারা জীবন নিজের চাকরি আর পরিবার সামলেও প্রান্তিক মানুষের জন্যে কাজ করেছেন, সেটায় আমার সব থেকে বড় প্রেরণা এবং বাধ্যবাধকতাও বটে।
প্রশ্নঃ- অফিস ও সমাজ সেবা, কিভাবে সামলান দুই দিক?
উত্তরঃ- দেখুন, অফিস এর কাজ অফিসের মতই চলে, কাজ করি, আর সেটাকে বাড়িতে বা অফিস এর বাইরে টেনে নিয়ে যাই না। আবার একই রকম ভাবে উল্টোটাও।
প্রশ্নঃ- পরিবার থেকে কতটা সাপোর্ট পান?
উত্তরঃ- পরিবার থেকে বাধা কখনো খুব বেশি পাই নি আমি, কারণ আমার মনে হয়েছে পরিবারের বাকি রাও আমার এই দর্শনটাকে বিশ্বাস করেন, বোঝেন, সাহায্য করেন।
প্রশ্নঃ- এবার আসি আপনার এই সকল কাজের বাইরে আপনার আরো কিছু ব্যাক্তি জীবন সম্পর্কে। আপনি লেখা লেখি করেন। সেই সম্পর্কে কিছু বলুন?
উত্তরঃ- লেখালিখিটা আমার খুব ছোট্ট থেকেই, যদি ও তার প্রকাশ হওয়া শুরু হল সদ্য। আমার লেখার ব্যাপারে ভীষন উৎসাহ দিতেন আমার বাংলার শিক্ষক জব্বার স্যার। আর আমার কলেজিয়েট স্কুল এর স্মরজিত স্যার এর কথা ভীষন ভাবে উল্লেখ করতেই হয়, যিনি ওই সময় থেকেই আমায় “স্বভাব কবি” বলতেন, যেটা আমার কাছে এখন বিরাট আশীর্বাদ। এখনো পর্যন্ত তিনটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ পেয়েছে আমার, পাঠকরা পড়ছেন, মতামত দিচ্ছেন, ওটুকুই প্রাপ্তি।
প্রঃ- গানও লিখেন শুনেছি। এ সম্পর্কে যদি একটু বিস্তারিত আলোকপাত করেন আমাদের পাঠকদের।
উত্তরঃ- হ্যাঁ, এটা বেশ মজার। আমি গান লিখতে পারব বলে বিশ্বাস ছিল না। তবে সে বিশ্বাস এর জন্মদাতা আমার এক দাদা দেবুদা, যিনি নিজে একজন সঙ্গীত শিল্পী। ঢাকা থেকে মেহেরিনদি ও এসেছেন আমার গানের রেকর্ড এ, সেটা দুই বাংলার একটা সম্মিলিত প্রজেক্ট ছিল বলতে পারেন। এই সময় কালের উপর ও একটা গান আসছে দু এক দিনের মধ্যেই।
প্রশ্নঃ- আগামি দিনে আপনার উড়ান সংগঠন নিয়ে নিয়ে নতুন কিছু ভাবনা?
উত্তরঃ- দেখুন প্রথমত উড়ান আমার নয়, আমাদের। আর নতুন অনেক ভাবনা আছে, সেগুলো সময়ে প্রকাশ করব। আসলে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি ভাবনার কপি হয়, সেটা ঠিক পছন্দের নয় আমার।
প্রশ্নঃ- এই কাজে কতটা বাধার সম্মুখিন হতে হয়?
উত্তরঃ- উড়ান এর কাজে প্রচুর বাধা এসেছে, আসে। দেখুন নতুন ভাবে কিছু ভাবলে, করতে গেলে সবাইকে ভালোটা বোঝানো কঠিন হয় শুরুতেই। তবে মানুষ বুঝতে পারেন, তার জন্যে কিছুটা সময়ও দিতে হয়, আমরা ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করি।আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি মানুষ নিজেদের করা খারাপ কাজ গুলো নিয়ে ঠিক একদিন বুঝতে পারেন এবং অনুশোচনা বোধ করেন, কিছু ক্ষেত্রে সেটা সময়ে হয়, কিছু ক্ষেত্রে অনেকটা দেরি করে ফেলেন তাঁরা। তবে ঠিক বুঝতে পারেন কিন্তু!
প্রশ্নঃ- নতুন প্রজন্মকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কি বার্তা দেবেন?
উত্তরঃ- একটা গানে লিখেছিলাম “চেয়ার টা ঠিক চাকার মতোন, বদলে যাবে ঋতু”, দেখুন এটা কিন্তু প্রাকৃতিক নিয়ম। নতুন প্রজন্ম কে এগিয়ে আসতেই হবে। সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখতে গেলে তাঁদের আসতেই হবে, মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে, যদিও মানুষের শিরদাঁড়া কিন্তু সব দু’পেয়েদের থাকে না। তবে আমার বিশ্বাস এ সময়ের নতুন প্রজন্ম ভীষন রকম পজিটিভ এনার্জি সম্বলিত।
প্রশ্নঃ- আপনার শিল্প জীবনে কোন কোন শিল্পীর সান্নিধ্যে এসেছেন?
উত্তরঃ- দেখুন সে তো এক লম্বা লিস্ট, প্রচুর শিল্পীর সান্নিধ্যে ইতোমধ্যে এসেছি। কলকাতার কথা বলতে গেলে দেবদীপ, খ্যাঁদা, তীর্থ, দীপময় আমার ভীষন ভাল বন্ধু; কৌশিকদা, কৃষ্ণেন্দুদা নিজের দাদার মত; এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিলাজিতদা, অনুপমদা, রূপমদা, সুরজিৎদা, পলকজি, গোলামজি, মনসুরজি, মেখলা এঁদের সাথে যোগাযোগ হয়েছে, কিছু কাজও হয়েছে। আর বাংলাদেশের সিনা, মেহেরিন দি, রাহুল দা এঁদের কথা না বললে তো নয় ই। ভীষন বড় পাওয়া হলো বাচ্চু ভাইয়ের সান্নিধ্যে আসাটা। বাইরের দেশ বলতে পাকিস্তান-এর তৈমুর রহমান, আফ্রিকার ওকেরি, গ্রিসের সরাকিস, যাদের নাম না নেওয়া টা অপরাধের মত হয়ে যাবে। এছাড়াও অসংখ্য নাম বলা হল না, যেগুলো নিয়ে অন্য কোনো দিন অনেক গল্প করা যাবে।
প্রশ্নঃ- কবিতা লেখেন। আপনার সবচেয়ে প্রিয় কবিতা কোন টি?
উত্তরঃ- ওরা আমার সন্তান সব, কাউকে কি আলাদা করে প্রিয় করতে পারি, নাকি করা যায় ?!
প্রশ্নঃ- আপনার জীবনের বিশেষ কোন একটি স্মরনীয় মুহুর্ত যদি তুলে ধরেন, যেটা স্মরন করে আজও আবেগ বিহ্বল হয়ে পড়েন?
উত্তরঃ- বহুবার নানা কারণে বাইরে যাওয়া, থাকা আবার বাড়ি ফেরা হয়েছে, কিন্তু ডিপার্টমেন্ট এর প্রায় দু’মাসের ট্রেনিং শেষ করে বাড়ি ফেরার দিন ভীষন স্মরণীয় আমার কাছে।
প্রশ্নঃ এমন কোনো স্বপ্ন যা গোপনে লালিত করে রেখেছেন পূরণ করার জন্য?
উত্তরঃ- একশো সন্তানের মা-বাবা হতে চাই, যাদের মাথার উপর ছাদ, পেট ভর্তি খাবার আর শিরদাঁড়া শক্ত করার শিক্ষা দিতে পারবো।
প্রশ্নঃ- কোনো তিক্ত অভিজ্ঞতা, যা আপনি কোনো দিন আর পুনরাবৃত্তি চাইবেন না?
উঃ- রাজনীতি।
প্রশ্নঃ- তবে কি রাজনীতি কে ঘেন্না করেন? ভবিষ্যত এ কখনো সুযোগ পেলে রাজনীতিতে আসবেন?
উঃ- না, তা নয়, তবে অপছন্দের তালিকায় আপাতত। আর ভবিষ্যত এ কি হবে সেটা দেখা যাবে, তবে সম্ভাবনা কম।
প্রশ্নঃ- মজার কোনো অভিজ্ঞতা, যা ভেবে খুশি হন?
উত্তরঃ- আমার কলেজ জীবন, যার প্রতিটি পর্বে মিশে আছে নানান মজার আর খুশি থাকার মুহূর্তরা।
প্রশ্নঃ- তবে সেটা কি কলেজ প্রেম ?
উঃ- কলেজ প্রেম বলে কিছু হয় বলে মনে হয় না, কথা টা ‘প্রেম’ হতেই পারে। আর সে প্রেম যে শুধুমাত্র প্রেমিকার সাথেই হবে তার ও কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
প্রশ্নঃ- প্রেমে পড়েছেন বা প্রেম করেছেন কখনো?
উঃ- কখনো কেনো করব, আমি তো প্রতি মূহুর্তে প্রেমে পড়ি, আবার উঠি, আবার পড়ি। হা হা হা।
প্রশ্নঃ- যদিও বড্ড ব্যক্তিগত প্রশ্ন, তবুও যদি বলেন, বিশেষ কোনো ভালোবাসার মানুষ?
উঃ- দেখুন, মানুষ হলেই আমি তাঁদের কে ভালোবাসার লোভ সামলাতে পারি না। আর আপনি যে অর্থে জিজ্ঞেস করলেন, সেটার উত্তর আমার ‘মন’ দিতে পারবে, যাকে আবার সব সময় ঘাঁটানো যায় না!
প্রশ্নঃ- অনুপ বিশ্বাস এর কর্মযজ্ঞ অনেকের কাছেই আপনি আদর্শ হয়ে উঠেছেন।আপনার আদর্শ কে?
উত্তরঃ- দেখুন আমার নিজের কোনো কর্মযজ্ঞই নয়, পুরোটায় টিম ওয়ার্ক। আর আমার আদর্শ চে; যার জন্ম এক দেশে, এক দেশ গড়ে ফেলেন আর আরেক দেশ গড়তে গিয়ে নিজের অস্তিত্বকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে পারেন, কিন্তু শেষ মুহূর্ত অব্দি শুধু মানুষের কাজ করেন, মানুষের জন্যেই কথা বলেন।
প্রশ্নঃ- অবসর সময় কি ভাবে কাটান? আদৌ সময় পান কি?
উত্তরঃ- অবসর আবার কি, সেতো জীবনের পর অসীম সময় থাকবে বলে মনে হয়।
প্রশ্নঃ- মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অর্থনৈতিক ও মানসিক শক্তি, কোনটা আগে জরুরী?
উত্তরঃ- মানসিক শক্তিটা ভীষন জরুরি হলেও অর্থনৈতিকটাও দরকার।
এবার কতক গুলো প্রশ্ন করব যে গুলোর এক কথায় উত্তর দিতে হবে।
প্রিয় মণিষী – রবীন্দ্র নাথ
প্রিয় কবি- সুকান্ত
প্রিয় গীতিকার/ সুরকার – লালন
প্রিয় গায়ক- অরিজিত
প্রিয় গায়িকা- শ্রেয়া
প্রিয় অভিনেতা- শাহরুখ
প্রিয় অভিনেত্রী- রানী
প্রিয় ক্রিকেটার- শচীন
প্রিয় ফুটবলার- ম্যারাদোনা
প্রিয় খাবার- মটন বিরিয়ানি
প্রিয় বেড়ানোর জায়গা- সমুদ্র
ফুচকা, না আইসক্রিম – ফুচকা
ভুতের রাজা তিন বর দিতে চাইলে কি কি চাইবেন? –
১. মানুষের সোজা শিরদাঁড়া
২. সব মানুষের পেটে খাবার
৩. সবার জন্যে শিক্ষা
এগুলো তো সবই চেয়ে ফেললেন মানুষের জন্যে, নিতান্ত ব্যক্তি কেন্দ্রিক হয়ে যদি নিজের জন্যে একটা কিছু চান?
আমায় ভালোবাসার মানুষদের ভালো থাকা।
অসংখ্য ধন্যাবাদ জানাই আপনাকে আপনার অমূল্য সময় আমাদের দেওয়ার জন্য। আপনার কর্মকান্ডের পরিধি উতোরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি ঘটুক। “সব খবর” ওয়েব পোর্টালের এর তরফ থেকে আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।