গ্রীনিস বুক অব রেকর্ডে হ্যাটট্রিকের পথে নদীয়ার অনুপম, এবারের প্রচেষ্টা দেশলাই কাঠির “অমর জওয়ান জ্যোতি”।

0
787

নদীয়া, বি ব্যানার্জী:- 2018 সালে স্টেপেলপিনের চেন,2019 সালে আপেলবীজের মালা দিয়ে পৃথিবীর মধ্যে গ্রীনিস বুক অব রেকর্ড সৃষ্টি করার পর অবশেষে হ্যাটট্রিকের পথে তৃতীয়বারের জন্য প্রচেষ্টা “অমর জওয়ান জ্যোতি ম্যাচস্ট্রিক মোজাইক ইমেজ”।
নদীয়ার শান্তি পুরের বাসিন্দা অনুপম সরকার পেশায় বাচিক শিল্পীর , নেশায় এবার শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে অবস্থিত অত্যন্ত সম্মানের সেই বিখ্যাত শহীদ স্মৃতিসৌধ চিত্রপট করেছেন অনুপম। প্রসঙ্গত অমর শহীদ সৈনিকদের স্মৃতিসৌধের চারকোনায় প্রজ্জ্বলিত অনির্বাণ অগ্নিশিখা 1971 সালের পর থেকে কোন দিনের জন্য নেভেনি আজও, গেটের দুটি বড় স্তম্ভের পাথরেরফলকে দেশের সমস্ত শহীদ সৈনিকদের নাম খোদাই করে লেখা আছে , এবং এখনো সে ধারাবাহিকতা বজায় আছে।
2013 সালের 11 ই জুন ইরানের মেসম্ রহমানি আনুমানিক 136951টি দেশলাই কাঠি ব্যবহার করে ইউনেস্কোর সেক্রেটারির ব্যবস্থাপনায় বিশ্ব শান্তি দিবসের দিন ইউনেস্কোর লোগো অনুকরণে একটি কৃতকর্ম খ্যাতির শীর্ষে স্থান করেছিল। অনুপম সরকার আনুমানিক দু লক্ষ কুড়ি হাজারেরও বেশি দেশলাইয়ের কাঠি ব্যবহার করে 1 ইঞ্চি পুরু চার ফুট বাই 6 ফুট একটি প্লাইউডের বোর্ডের উপর ওই “অমর শহীদ স্মৃতিসৌধ “তৈরি করেছেন দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস পরিশ্রম করে । অবশ্য লকডাউনে গৃহবন্দী থাকার জন্যই বেশ কিছুটা সময় সাশ্রয় হয়েছে এই কাজে। আগামী 15 ই আগস্ট ভারতেবর্ষের স্বাধীনতা দিবসের দিন চারজন সরকারি আধিকারিকের বিবেচনার ভিত্তিতে, সাংবাদিকদের উপস্থিতিতেএবং কোভিড19 স্বাস্থ্যবিধি মান্য করে জনসাধারণের সম্মুখে কৃতকর্মটি প্রতিযোগিতার জন্য শান্তিপুর শহরের চাকফেরা নাট মন্দির প্রাঙ্গণে কৃতকর্ম টি সকলের জন্য উন্মুক্ত হতে চলেছে।
অনুপম সরকার এর এবারের কৃতকর্ম টির যাবতীয় ব্যয় ভার বহন করছেন শান্তিপুর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সুমন দে। অনুপম বাবু জানান “বিগত দিনে দুটি রেকর্ড সৃষ্টি করে পরোক্ষভাবে দেশের কৃতিত্ব প্রমাণ করতে পেরেছিলাম, এবারে সরাসরি দেশের শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সামান্য সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত। এবারের অনুষ্ঠানটি সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রচার এর অনুমোদন পাওয়ায় আমি সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ। এটা শুধু আমার একার কাজ নয়, অনেক ভালো মনের মানুষ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন এ বিষয়ে। তাই শহীদদের প্রতি আরও একবার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সকলের কাছ থেকে আশীর্বাদপ্রার্থী রূপে বার্তা প্রেরণ করতে চাই যুদ্ধ নয় শান্তি চাই।”