কুলদীপ প্রান্তর : বোধিসত্ত্ব।

0
520

সমুদ্রের কাছাকাছি যখন সনির্বন্ধ শ্রীলোচন , আমি তখন পরমাত্মার পরমাণু।

শতরূপে শতবার তোমাকে স্পর্শ করেই তো অবলীলায় কৈবল্যের কুলীন পুরুষ হয়ে গেছি।

আমার স্বর্গের সিঁড়ি কখন‌ও আকাশগামী হয়না ।

যে মাটিতে অমৃতের শিলান্যাস হয় সে মাটিই আমার মধ্যাহ্নবেলার অক্ষয়লোক , আমার চন্দ্রিমা বিভাবরী।

সকল হিরন্ময়ী দূরত্বের সংসর্গ আগলে নিলে শব্দের মাঠ হয়ে যায় বোধের বৈকুণ্ঠ।

শতরূপার শ্রীলেখা আঁচল যতদূর বিস্তীর্ণ ততদূর‌ই মৃত্যুহীন পরমার্থ প্রান্তর।

দিক-কাল শূন্যতার নীল গভীরে বিলীন হলেই কুলদীপের দীপাবলি উৎসব সেজে ওঠে।

ভূগোলহীন বাউল জানে কত নদী চোরাস্রোতের অসমাপ্ত গতির পীড়া নিয়ে মাটির সাথে জীবনের গল্প করে।

অনসূয়ার কুটিরে আরেকটা প্রদক্ষিণবেলার সহজিয়া সংস্করণ হলেই ব্রহ্মপুত্র জেগে উঠবে বৈভবে বৈভবে।