সহস্রদের আর্তনাদ : স্বাতী মন্ডল।

একটা গল্প হিসাবে বলতেই পারো;
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে একগুচ্ছ গোলাপ
একটা মৃত্যু পরোয়ানা অপেক্ষা করছে !
ওদের যে মুখ খোলা বারণ,
তবুও নীরবতা কত কিছু বলে যায়।

সদ্য কুঁড়ি ফোটা ফুলটা ঝরে নীরবেই,
দিন চলে যায় চিহ্ন রেখে শত স্মৃতির বাঁকে বাঁকে।

মনেরও একটা চোরাপথ আছে,
জীবনের অধ্যায় ঠুনকো বিবেক কান্না শোনায়,
নীরব আবদারগুলোর শব্দ ফোটে না,
অস্তিত্বকে পা দিয়ে মাড়িয়ে ছিন্নভিন্ন করে দেহটা;
আর মন; তার কথা তো বলতে নেই !

রুখে দাঁড়াবার ক্ষমতা কতটুকু কোলাহলশুন্য হৃদয়ে,
এক টুকরো নীরব প্রতিবাদ থাক শুধু ধর্মের বুকে।
মনকেমনের দস্তাবেজ লুকানো নকশি কাঁথার ভাঁজে,
চোখের কোণায় নোনা শ্রাবণ !
মন থেকে না চাইলেও কিছু বিচ্ছেদ হয়তো চিরকালীন,
শেষ স্পর্শ হয়তো লাল রুখু চুলে,
হয়তো আর হবে না দেখা, হবে না ছোঁয়া !

আচমকা একটা মুহূর্ত, শিকারী চোখ ;
আর ফেরে নি বসন্ত।
তাহলে বলতেই পারো সেগুলো ছিলো নিজেরই ব্যর্থতা ;
আজ দীর্ঘনিঃশ্বাসের অতলে কঁকিয়ে ওঠে ভাষাহীন চোখ,
শেষ নিশ্বাস মাখলো মৃত্যু !

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *