মুখোমুখি : স্বাতী মন্ডল।

সেই ভাবুক একলা বিকেলটা বাড়ি ফিরে গেছে খানিক আগে,
সাথে সাথে গোধূলির সন্ধ্যা নেমে আসে ঝুপ করে !

একে একে আসে শুকতারা, কাটাচাঁদ আর একআকাশ চিকমিক তারা,
রাত বাড়তে থাকে, জোনাকির ঝাঁক আলো দেখায়!

ঘুমপরীর দল নেমে আসে চোখ জুড়ে,
কেউবা আমার মতো জেগে পাতার পর পাতা শুধুই কাব্য রচে যায়,
আর উদাসী চোখে বরণ করে নেয় শেষ প্রহরের ছন্দ !
মুখোমুখি আমি আর আমার কবিতারা…..

” মুঠোভরা কৃষ্ণচূড়ায় সাজাবো তোমার এলোমেলো খোঁপা!
অভিমান যত লিখেছো, হাতে হাত রেখে সব সবটাই ভুলিয়ে দেবো |
তুমিই কি আমার সেই সাগর? যাতে ডুব দিতে পারি কিন্তু জড়াতে পারি না ! ”

ভাবআড়ির পর্ব ভুলে জমানো কিছু গল্প,
আবারও কিছুটা আয়ু !
খানিকটা আবার চুপ;
নিজেকে বারেবারে প্রশ্ন করা, কে তুমি এই আত্মগোপন ?

বহু বছর কেটে যায়,
দিবসের শেষ সূর্য নিজেকে লুকিয়ে ফেলে জ্যোৎস্নার আড়ালে !
শেষ প্রশ্ন উচ্চারিত হয় ক্রমাগত, কে তুমি ?

জীবন্ত জীবাশ্মের ন্যায় দিনযাপন,
মোহের ওই মনঘরে শিকল ফাঁসে হাঁসফাঁস বাউন্ডুলে প্রাণ !
মুঠোবন্দী খড়কুটো আঁকড়ে আবারও জিজ্ঞাসা;
কে তুমি ?
নেই, নেই কোনও উত্তর !

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *