উপনির্বাচন আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতিই রাখলেন বিধায়ক, অল্প দিনের মধ্যেই শুরু হচ্ছে গঙ্গা ভাঙ্গন রোধের ব্যবস্থা।

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- অতীতে অনেক রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেখেছেন গঙ্গাপাড়ের মানুষ, কিন্তু নব নির্বাচিত বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামীর উপর আস্থাশীল সকলেই। আজ শান্তিপুর শহরের 16 নম্বর ওয়ার্ডের ভাঙ্গনের মুখে জল প্রকল্প রক্ষা করতে শেষ দপ্তরকে অনুরোধ করেছিলেন পরিদর্শনের জন্য। সেইমতো বিধায়ক এবং স্থানীয় প্রাক্তন কাউন্সিলর বৃন্দাবন প্রামানিক ঘুরে দেখান সেচ দপ্তরের আধিকারিক কে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন সরেজমিনে দেখে এবং বিধায়কের মতামত শুনে রাজু শেষ দপ্তরের সাথে কথা বলবো। তবে বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী জানান অল্প দিনের মধ্যেই স্থায়ীভাবে একটি বড়সড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে চলেছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, অসুবিধা সম্বলিত মানুষদের জন্য এ বিষয়ে সাংসদের সাথে কথা বলতে হলেও তিনি প্রস্তুত, কারণ কেন্দ্র সরকারের কিছু সহযোগিতা পেলে আরো ভালোভাবে কাজ করা যাবে।
তবে সাধারণ মানুষ বিধায়কের উপর আস্থাশীল কারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বেশ কয়েকবার গঙ্গার ঘাটে পৌঁছে দেন তিনি ।নির্বাচনীয় দলীয় ইশতেহারে তো বটেই, মৌখিকভাবেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শান্তিপুরের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী জানিয়েছিলেন, সাধারণ মানুষ যদি আমাকে বিধায়ক হিসেবে জয়ী করে নিয়ে আসে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রথম দাবি থাকবে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে উন্নত অত্যাধুনিক স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং গঙ্গা ভাঙ্গন এর স্থায়ী ব্যবস্থা।
কথা রেখেছেন বিধায়ক, গত দুদিন আগে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে প্রশাসনিক মিটিংয়ে মুখ্যমন্ত্রী শান্তিপুর বাসীকে অভিনন্দন জানান, বিপুল ভোটে ব্রজকিশোর গোস্বামী কে জয়যুক্ত করানোর জন্য। স্বভাবসিদ্ধ ভাবে বিধায়ক তার নত মস্তকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সু মধুর ভাষা সহযোগে সুন্দর বাক্যবিন্যাসে জানান , শান্তিপুরের জন্য আপনি যা দিয়েছেন তা বলা আমার কাছে ধৃষ্টতা মাত্র শুধু এটুকুই বলি আপনার স্নেহময় স্পর্শ যেন গঙ্গা ভাঙ্গনের উপর পড়ে এবং মমতাময়ী স্নেহ যদি শান্তিপুর হাসপাতলের উপর পরে শান্তিপুরবাসীর আর কিছু বলার থাকবে না । মুখ্যমন্ত্রীর বিধায়কের উত্তরে জানান হাসপাতালের বিষয়টি দেখা হবে তবে গঙ্গা ভাঙ্গন এর বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন। তবুও সাধ্যমত চেষ্টা করা হবে। আজ শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপারেন্টেন্ড ডক্টর তারক বর্মনের সাথে হাসপাতালে পরিষেবা এবং পরিকাঠামোগত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা সারলেন দীর্ঘ সময় ধরে।
শান্তিপুরের সাধারণ মানুষের মন জয় করার সাথেই, রাজনৈতিক বিরোধীদের নিশ্চুপ রাখলেন বিধায়ক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *