জাঁকিয়ে পরে নি শীত, শীতবস্ত্র বিক্রেতারা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

0
347

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ-   ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝিতেও এখনো জাঁকিয়ে পরে নি শীত। যার কারণে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা শীতবস্ত্র বিক্রেতারা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তাদের আশা ছিল, নভেম্বর মাস থেকেই যেভাবে ঠান্ডা পড়া শুরু হয়েছিল, হয়তো ডিসেম্বরে তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই নেমে যাবে। কিন্তু সেই ভাবনায় জল ঢেলে দিয়েছে মাঝেমধ্যে আসা নিম্নচাপ। তাই এখনও মালদায় তুলনামূলকভাবে শীতের দেখা নেই। যে কারণে শীতবস্ত্র এবং ব্ল্যাঙ্কেটের চাহিদা সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। লক্ষ লক্ষ টাকার মাল তুলে সেই শীতের পোশাক বিক্রি করতে এখন জেরবার অবস্থা ব্যবসায়ীদের। তাঁদের বক্তব্য , আর দুই মাস হয়তো শীত থাকবে। কিন্তু তার মধ্যে যদি বেচাকেনা ভালো না হয় তাহলে চরম লোকসানের মুখে পড়তে হবে।

গাজোল ব্লকের বাসস্টান্ড , থানা মোড় সহ একাধিক এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে শীতবস্ত্র এবং ব্ল্যাঙ্কেট বিক্রেতারা। কোথাও রাস্তার ধারে, আবার কোথাও দোকানে পসরা সাজিয়ে বেচাকেনা চালাচ্ছেন তারা । কিন্তু কনকনে ঠান্ডা না পরার কারণেই সেই বেচাকেনায় এখন ভাটা পড়েছে।

গাজোল মার্কেটের এক শীত বস্ত্র ব্যবসায়ী সাদিকুল শেখ বলেন, এ বছর প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকার ব্ল্যাঙ্কেট এবং শীতের পোশাক তুলেছিলাম। কিন্তু জাঁকিয়ে শীত না পরার কারনে খদ্দেরদের দেখা নেই। তার উপর করোনা সংক্রমনের একটা প্রভাব রয়েছে। সব মিলিয়ে এখন যদি হাড় হিম করা শীত না পড়ে,  তাহলে চরম লোকসানের মুখে পড়তে হবে । এই অবস্থায় এখন শুধু শীত পড়ার দিন গুনছেন ব্যবসায়ীরা।

মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু বলেন,  বছরে দুই থেকে তিন মাস শীতবস্ত্র ব্যবসায়ীরা বেচাকেনা করেন। তারপরে তো গরমের মরশুম শুরু হয়ে যায়। তবে অপেক্ষাকৃতভাবে এবছর শীত এখনো  পড়ে নি। সুতরাং ব্যবসায়ীদের তো লোকসানের মুখে পড়তে হবে হচ্ছে। আমরাও চাই ব্যবসায়ীদের ঠিক সময়ের মধ্যে বেচাকেনার মাধ্যমে লাভ করতে পারেন।