Skip to content
  • Saturday, 17 May 2025
  • 6:14:29 AM
  • Follow Us
Sob Khabar

Sob Khabar

  • হোম
  • রাজ্য
    • উত্তর বাংলা
      • আলিপুরদুয়ার
      • কোচবিহার
      • দক্ষিণ দিনাজপুর
    • দক্ষিণ বাংলা
      • পশ্চিম মেদিনীপুর
      • পুরুলিয়া
      • পূর্ব মেদিনীপুর
      • ২৪পরগনা
        • গোসাবা
  • কলকাতা
  • দেশ
  • বিদেশ
  • ওপার বাংলা
  • খেলা
  • বিনোদন
    • ভ্রমণ
    • সাক্ষাৎকার
  • লাইফস্টাইল
  • স্বাস্থ্য
  • সাহিত্য
  • রেসিপি
  • সম্পাদকীয়
  • Home
  • ক্যামেরার আড়ালে (অণু উপন্যাস, পর্ব-তিন) : মানস সরকার।
Featured সাহিত্য

ক্যামেরার আড়ালে (অণু উপন্যাস, পর্ব-তিন) : মানস সরকার।

sobkhabaradmin Dec 18, 2021 0

নিজেই নিজেকে গালাগাল দিচ্ছিলেন দেবাশীষ। মুখের ওপর সোজা ‘না’ করে দিলে কি ক্ষতিটা হত। চিরটাকাল সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আফশোস করেছেন। এখন যদি ভাল-মন্দ কিছু একটা হয়, তাহলে কি পুলিশ ইনভেস্টিগেশনের হাত থেকে রক্ষা পাবেন! ভদ্রমানুষ বলে চেনে তাঁকে পাড়ার সবাই। এখন বাড়ির সামনে যদি পুলিশের গাড়ি এসে দাঁড়ায়, কেলেঙ্কারির একশেষ। বসন্তের শেষে এখনও বাতাসে একটা হালকা শীতলভাব। সারা শরীরে যেন তবুও ঘামের পরশ চলে এল। বিছানা থেকে উঠে পাখাটাকে ফুলস্পিডে চালিয়ে দিতে হয়।
প্রায় ভোর। অথচ এখনও দু’চোখের পাতায় ঘুমের ছিটেফোঁটা নেই। প্রায়ই ইন্দ্রর সঙ্গে অফিস থেকে বাড়ি ফেরা। সহযাত্রীর সম্পর্ক ছাপিয়ে নিজের থেকে অনেক কমবয়সী ছেলেটার কাছে হয়ে গেছেন ‘দেবাশীষদা’। ঘটনাটা এতটাই আকস্মিক, না গিয়ে উপায়ও ছিল না। অন্তত ইন্দ্রর তো সেরকমই মত। অথচ সারা জীবনই আবেগহীন থেকেছেন। আবেগের স্পর্শ পান না বলেই সিরিয়াল বা সিনেমা দেখতে ভাল লাগে না। প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন না। নয় নয় করে এই ভাড়াবাড়িতে হয়ে গেল এগারোটা বছর। অবিবাহিত এবং নিজেকে ঝক্কিহীন প্রমাণ করেই বোধহয় এতগুলো বছর কাটাতে পেরেছেন। কিছুর সঙ্গে জড়াবেন না বলেই কি চন্দননগরে চলে আসা! বম্বে থেকে ট্রান্সফার নেওয়ার অন্য কারণ কি ছিল না!

-সূর্য যতক্ষণ থাকে, আরব সাগর যেন যুবক। তারপরেই কেমন বুড়ো বুড়ো।
– ও তুমি কল্পনার চোখে দ্যাখো বলে ওরকম মনে হয়। আমার তো সকাল-বিকেল-সন্ধে সব সময়েই এক লাগে।
– তাহলে বলব, সাগরকে তুমি দেখতেই জানো না।
– লাভ কী, তুমি যেভাবে বলো, তাতেই দেখি।
দেবাশীষ চুপ। সমুদ্র হাওয়া সুমনার চুলকে এলোমেলো করে দিচ্ছে। সমুদ্র আর ওর শ্যাম্পুর গন্ধ মিলেমিশে একসা। মিলে যাওয়া এ গন্ধের আবেশে মনের ভেতর তৈরি হচ্ছে অন্য স্বপ্ন। ঢেউ যেমন পাড়ে মিলিয়ে যায়, সেইভাবে কিছু যেন ছেদ টানতে চাইছে। কী, ঠিক বোঝা যাচ্ছে না… – কাল আসছ তো, ক্রমশ ম্লান হয়ে আসা আলোয় সুমনার চোখে নিজের সর্বনাশ খুঁজতে চাইছিলেন দেবাশীষ। – পাগল হয়ে গেলে নাকি! কাল রবিবার। ও ফ্ল্যাটে থাকবে। – আর আমি? আমি কী করব কাল! – তুমি, হেসে ফ্যালে সুমনা, কাল সারাদিন, বিছানায় শুয়ে শুয়ে শুধু আমার কথা ভাববে।
– সে কী! তাহলে-
কলিংবেল। পরপর বাজাচ্ছে কেউ। তা কী করে হয়! সেটা তো রাত্রিরেই অফ করে শোয়। না, না, মোবাইল। ঘুমের রেশটা এবার ভালভাবে ভাঙে। মোবাইলটা সুইচ অফ্‌ করতেই ভুলে গিয়েছিলেন। হাত বাড়িয়ে তুলে নিয়ে স্ক্রিন দেখতেই সেখানে ইন্দ্রর নাম ফুটে উঠেছে। অন্‌ করে শোয়া অবস্থাতেই কানে লাগান!
– হ্যালো, দেবাশীষদা, এইমাত্র খবর পেলাম, ছেলেটা বাঁচল না। আপনাকে আমার এখানে একবার আসতে হবে।

প্রশ্নটা শুনতেই ভেতরটা যেন গুলিয়ে উঠল। অদ্ভুত কথা, পাশের ঘরে যখন বোনের কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছে, তখন এতটুকু কান্না পাচ্ছে না তমালীর। চল্লিশের কোটায় হয়তো বয়স পুলিশের সাব-ইনসপেক্টরটির। গোটা মুখটায় কেমন যেন একটা মদ খাওয়ার চিহ্ন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। একটু ভেবে বলে উঠল তমালী, অন্যজনের হাতে মদের বোতল ছিল, কি অস্ত্র ছিল, বলতে পারব না। অন্ধকারে দেখতে পাচ্ছিলাম না।
কদর্য দাঁত বের করে ফ্যালে পুলিশ অফিসারটা, এই দেখুন–এই তো বললেন, আরেক জনের হাতে ছুরি ছিল, আপনি সেটা দেখেছিলেন।
– কী আশ্চর্য! ছুরি তো দেখতে পাবই, অধৈর্য হয়ে উঠছিল তমালী, ওইভাবে মারা হচ্ছে একজন মানুষকে…,
– তার বয়স কীরকম ছিল?
– বেশি না, দেখে মনে হচ্ছিল খুব কম।
– আপনি আগেও বলেছেন, দু’জনেই মদ খেয়েছিল। খাবার পরেও কি সেই শারীরিক শক্তি ছিল, যে একজনকে মেরে ফেলার চেষ্টা করতে পারে। আপনি কোনও বাধা দিলেন না!
– অসম্ভব! পুরো ব্যাপারটাই আমার কাছে ভীষণ ভয়ের ছিল।
– আচ্ছা, আচ্ছা। আশেপাশে ওই দু’জন ছাড়া আর কেউ ছিল?
– জানি না। থাকলেও কোনও শব্দ করেনি। আর তাছাড়া যেভাবে হঠাৎ করে ব্যাপারটা শুরু হয়ে গিয়েছিল, আমার অন্যদিকে আর খেয়াল ছিল না।
পকেট থেকে রুমাল বের করে মুখটা একবার মুছে নিলেন পুলিশ অফিসার। ডানদিকের পকেটের নীচে নামটা চোখে পড়ছিল, ‘এস কে সিন্‌হা’। ‘কে’ কুমার হতে পারে, ‘এস’ টা কি শ্যামল, শুভব্রত না শঙ্কর…

– আচ্ছা একটা কথা জিজ্ঞাসা করি ম্যাডাম, আপনার দাদার কোনও ইয়ে মানে কোনও মেয়ের সঙ্গে লাইন মারা সরি অ্যাফেয়ার ছিল কি?
– নাঃ, আমি খুব ভালভাবেই জানি এরকম কোনও ব্যাপার ওর জীবনে ছিল না। ছোটবেলা থেকেই আমরা ভাইবোন কম, বন্ধু বেশি ছিলাম। নিজের কোনও কথা ও আমার কাছে লুকোতো না।
– আপনার এত বয়স কম, আপনি পড়াশোনা না করে কলকাতায় কী কাজ করতে যান?
শরীরের ভেতরে জ্বলুনি টের পেল তমালী। চোয়াল শক্ত করে বলে উঠল, ঠিক কী বলতে চাইছেন বলুন তো? দেখতেই পাচ্ছেন মাথার ওপর বাবা নেই। মা রান্নার কাজ করে। চাকরিটা পেয়ে যেতে রাজি হয়ে গিয়েছিলাম।
– কিন্তু উনি তো আপনার দাদা ছিলেন। এ ব্যাপারে তো এগিয়ে আসা উচিত ছিল ওনারই।
– ও পড়াশোনায় ভীষণ ভাল ছিল। কোনও অবস্থাতেই আমরা ওর পড়াশোনা বন্ধ করতে রাজি ছিলাম না। বাবা বেঁচে থাকলেও তাই করত।
অফিসার যেন এবার সেন্টিমেন্টের গন্ধ পেল। প্রশ্ন করা থামিয়ে বাড়ির চারপাশ দেখতে লাগল। ঘরের ভেতরটা অবশ্য আগেই দেখা হয়ে গেছে। একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা দু’জন কনস্টেবল যেন ঝিমোচ্ছিল।
বাইরে গাড়ি থামার শব্দ। একটু পরেই দু’জন কমবয়সী ছেলেকে বাড়ির ভেতরে ধীরে ধীরে ঢুকতে দেখল তমালী। পরিষ্কার কামানো মুখের ছেলেটা ওকে দেখে যেন চিনতে পেরেছে এরকম ভাব করে এগিয়ে এল। বলল, এক্সকিউজ মি, আমরা আসছি, ‘নিউজ আওয়ার’ চ্যানেল থেকে। আপনার একটা বাইট্‌ নিতে চাই।
চুপ করে থাকল তমালী। মিনিট তিন-চারেকের মধ্যেই অন্য ছেলেটি ক্যামেরা কাঁধে দাঁড়িয়ে গেল উল্টোদিকে। আর পরিষ্কার মুখের ছেলেটি মাইক্রোফোন নিয়ে ওর কাছাকাছি দাঁড়িয়ে পড়ল। কৃত্রিম সহানুভূতির সুর মাখিয়ে

বলে উঠল, আমরা সব জানতে পেরেছি। শুধু দুঃখজনক ঘটনা নয়, পশ্চিমবাংলার বুকে-এরকম লজ্জাজনক ঘটনার খুব একটা নজির নেই। খুব বাজে লাগছে, আপনাকে এভাবে বিরক্ত করতে। তবু অনুরোধ করব আপনাকে, কিছু বলার জন্য।
নিজের ভেতর হঠাৎ করে কান্নার রেশ খুঁজে পাচ্ছিল তমালী।

– আপনি বুঝতে পারছেন না দেবাশীষদা, সেদিন রাত্রে ঘটনাটার মূল সাক্ষী কিন্তু আমরা তিনজন।
– আবার তিনজন কোথা থেকে পেলে!
– ওই দেখুন, অটো যে চালাচ্ছিল তাকে বাদ দিচ্ছেন! ওকেও তো ধরতে হবে। এখন তিনজনের স্টেটমেন্টটা মোটামুটি তো এক হতে হবে।
– দ্যাখো ইন্দ্র, সাক্ষী দেওয়াটা বড় কথা নয়। যা দেখেছি, সেটাই হয়তো বলব।
– তাহলে আবার পিছিয়ে আসার প্রশ্নটা আসছে কোথা থেকে! সবথেকে বড় কথা, মেয়েটাও কিন্তু আমাদের নাম বলেছে।
– এসব কিছুই নয়। মিডিয়া এত বেশি হাইপ দিয়েছে –
– তাতে কী যায় আসে! মিডিয়ার প্রচারের সঙ্গে আমাদের স্টেটমেন্ট দেওয়ার কী রিলেশন দেখছেন আপনি!
– স্টেটমেন্ট দিতে আপত্তি নেই। কিন্তু যারা করল তাদের র‍্যাকেটটা খুব বড় হয়। নিরাপদ ছাতার তলাতেই তো গুণ্ডাদের এত বাড়বাড়ন্ত। ভয়টা সেখানেই।
– তাহলে স্টেটমেন্ট দিতে গিয়ে আপনার রিস্ক ফ্যাক্টরটাও পুলিশকে বলতে হবে।
চুপ করে রইলেন দেবাশীষ। ইন্দ্রর সঙ্গে সম্পর্কটা বেশ কিছুদিনের। বাস্তববাদী অথচ উদার মনের ছেলে। কোথাও ওকে একটু বাড়তি প্রশয় দেন।

ভ্রূ কুঁচকে বলে উঠলেন, নেক্সট ডেট যেন কবে পড়ছে?
মনে করার চেষ্টা করল ইন্দ্র। বলল, এখনও কিছুদিন সময় আছে। তবে এখন জনরোষ চলছে। পুলিশকে কাজ করতেই হবে। পুলিশ মোটামুটি ছেলেগুলোকে কেলিয়ে আঠা করে ঠিক সেদিন কী কী ঘটেছিল, তার একচুয়াল্‌ স্টেটমেন্ট নেওয়ার চেষ্টা করবে। আমরাও বলব। কোর্ট মেয়েটার স্টেটমেন্ট একটা সেতুর মতো রিলেট করার চেষ্টা করবে। এভাবেই হয়তো একচুয়াল্‌ একটা পিকচার বেরিয়ে আসবে।
– তাহলে কী বলছ?
– পিছিয়ে আসার প্রশ্নই উঠছে না। মিডিয়া, পাবলিক সিমপ্যাথি। মেয়েটাকে ব্যাক আপ দিতে সরকার অবধি এগিয়ে এসেছে। আপনি মিলিয়ে নেবেন, সবকিছু আমাদের ফেবারে যাবে।
হাসি দেখা দিল দেবাশীষের সঙ্গে। প্রায় ঘন্টা খানেক হল এই ক্যাফেটরিয়ায় ইন্দ্রর সঙ্গে এসে বসেছেন। এই প্রথমবারের জন্য হেসে যেন কিছুটা হলেও তৃপ্তি অনুভব করলেন। সব আড়ালকে ভেঙে-চুড়ে একটা সময়ে একটা মেয়ে ওনার কাছে আসতে চেয়েছিল। চিৎকার করে বলতে চেয়েছিল একটা সম্পর্কের কথা। সেদিন যেন কীভাবে গুটিয়ে নিয়েছিলেন নিজেকে। আজ একটা সাহসী সিদ্ধান্ত নিলে ক্ষতি কী! না কি নিশ্চিতভাবে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন কোনও প্রায়শ্চিত্তের অভিমুখে…।

– কথাটা বোঝার চেষ্টা করো। ব্যাপারটা নিয়ে বাড়তি হৈ হৈ হচ্ছে। হতাশভাবে ঘাড় নাড়ল অনিমেষ।
– কী বলছ তুমি। তমালী থ, এই তো এক সপ্তাহ আগে ফোনে বললে এর শেষ দেখা উচিত।

– বলেছিলাম। কিন্তু লাস্ট কয়েকটা দিন মিডিয়া কী শুরু করেছে বলো তো। কারোর পৌষ মাস, কোথাও সর্বনাশ। একটা জলজ্যান্ত ছেলের জীবন চলে গেল, আর এরা সিমপ্যাথি দেখিয়ে ব্যবসা লুঠছে।
– একটু ভুল করছ অনিমেষ। ভাল করে ভেবে দ্যাখো, এটুকু সিমপ্যাথি না দেখালে সত্যি কি প্রশাসন আমার দিকে এগিয়ে আসত। আমি তোমার মতো অত পড়াশোনা শিখিনি। কিন্তু এটুকু বুঝতে পারছি, মিডিয়া হেল্প না করলে দাদার কেসটা নিয়ে যেরকম আলোচনা চলছে, সেটাই হত না। এভাবে একটা জনমত গড়ে উঠত না। সেই কোন্‌ ছোট্টবেলায় বাবা-মা’কে হারিয়েছি। বাড়ির একমাত্র ছেলে ছিল দাদা। অনেক আশা ছিল আমাদের। সেটা শেষ হয়ে গেল। কথা আর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারল না তমালী। এক ভয়ঙ্কর নিস্তব্ধতা এসে চেপে বসল দু’জনের মাঝে।
একটু চুপ থেকেই বলে উঠল অনিমেষ, এত সব ঘটনাই ঘটত না। রাত করে ফেরা ছাড়া তোমার যেন চাকরি জুটছিল না।
প্রচণ্ড আহত হল তমালী। দাদা চলে যেতেই চারপাশের পৃথিবীকে দ্রুত বদলে যেতে দেখছে। এই বদলে যাওয়া মানুষগুলোর মধ্যে অনিমেষও আছে। নয় নয় করেও তমালী আর ওর প্রেমের বয়স প্রায় দু’বছর। সম্পর্কটা বেশ অল্প বয়স থেকেই। ওর চাকরিতে একটা সময় অনিমেষের উৎসাহ ছিল সবথেকে বেশি। অতচ লাস্ট ট্রেন নিয়ে আজকে যে-কথাটা বলল, তাতে যেন অন্য সুরই ফুটে উঠল। বেশ কিছু মানুষ আজকাল ওকে এড়িয়ে চলছে, কেমন একটা চোখে তাকায়। তমালীর মনে হয়, যেন অপরাধীটা ওই-ই। আবার এমন মানুষজনও আছে, যারা আগে ওর সঙ্গে কথা বলত না, এখন যেচে আলাপ জমাতে চায়। ভাবটা এরকম, টিভিতে ওকে বেশ কয়েকবার গুরুত্বপূর্ণ কিছু মানুষজনের সঙ্গে দেখা গেছে। সুতরাং সামাজিকভাবে ওর ক্ষমতা বাড়তে চলেছে। কোথাও যেন মনে হচ্ছে, যে মৃত্যুটাকে কেন্দ্র করে ওর এত দৌড়ঝাঁপ, তার গুরুত্বটাই কেমন যেন ফিকে হয়ে আসছে।
সকালেই মোবাইলে ফোন করে দেখা করতে চেয়েছিল অনিমেষ। তমালী তখন অফিসে। একটা কলে এনগেজড্‌।
– বিকেলে ফ্রি?
– কোথায় দেখা করব?
– কেন, স্ট্র্যান্ডে। যে-জায়গাটায় বসি।
– ছ’টা নাগাদ চলে আসব। আর কিছু?
হতাশ লেগেছিল অনিমেষের স্বর। কথা এগোতে চায়নি তমালী। আজকাল কোনও কথাই আর এগিয়ে নিয়ে যেতে ভাল লাগে না। সব জায়গাতেই এখন এত দাদার ব্যাপারটা আলোচনা হয়, মনের আসল অনুভূতির জায়গাগুলো ভোঁতা লাগে। মনে হচ্ছে, অনিমেষের সঙ্গে আজকে এই নদীর ধারে দেখা না করতে এলেই ভাল হত।
চারদিক ঘিরে সন্ধ্যা নেমে আসছে। চারপাশে অনেক মানুষ। অনিমেষের সঙ্গ। তবুও ভয়ঙ্কর ভাবে নিজেকে একা লাগছে।
রাস্তার ওপাশে সেন্ট্‌ জোশেফ স্কুলের সামনে একটা অটো এসে থেমেছে। ভেতরে কোন যাত্রী নেই। ভাল করে তাকাতে চালককে চিনতে পারল। সমীর। এবং তমালীকে দেখতে পেয়েই যে থেমেছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
উঠে দাঁড়াতেই একটু অধৈর্যভাবে বলে ওঠে অনিমেষ, আবার কোথায় চললে।
সরাসরি কথার জবাব না দিয়ে একটু রুক্ষভাবে বলে উঠল তমালী, আজ তুমি যাও। আমি পরে তোমার সঙ্গে দেখা করে নেব।
– কী আশ্চর্য! কেন।
– আমার চেনা একজন একটু দেখা করতে এসেছে। একটু কথা বলব।
– কোথায়!

– ওই তো, ওপাশে।
– ও, এই বুঝি তোমার সমীর।
কথাটার ভয়ঙ্কর শ্লেষের গন্ধ পেল তমালী। গম্ভীরভাবে বলল, হ্যাঁ, কোনও আপত্তি?
-এখন আবার কীসের কথা!
– এরকম অদ্ভুত গার্জেনগিরি ফলিও না তো, নিজের গলার স্বরে ঝাঁঝ আনল তমালী, দাদার কেসটার বেশ ইমপর্টান্ট সাক্ষী ও। সবটা বললে তুমি বুঝবে না। এখন যাও।
পিছন দিকে আর একবারও না তাকিয়ে সমীরের কাছে এগিয়ে এল তমালী।

—–ক্রমশঃ 

sobkhabaradmin

Website:

Related Story
Featured দেশ সম্পাদকীয় সাহিত্য
আজ বিশ্ব তথ্য সমাজ দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় এবং গুরুত্ব।।।।
sobkhabaradmin May 17, 2025
Featured দেশ বিবিধ রাজ্য সাহিত্য
বাংলার বীর-সন্তান উল্লাসকর দত্ত :: করবী বাগচী।।।।।
sobkhabaradmin May 17, 2025
Featured সাহিত্য
মূল্যবান মনুষ্য জীবন ও (অহং)আমি : স্বামী আত্মভোলানন্দ(পরিব্রাজক)।।।
sobkhabaradmin May 17, 2025
Featured দেশ বিবিধ সম্পাদকীয় সাহিত্য
আজ ১৭ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।
sobkhabaradmin May 17, 2025
Featured উত্তর বাংলা কোচবিহার দেশ বিবিধ রাজ্য
পথ দুর্ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ কোচবিহার পুলিশের।
sobkhabaradmin May 16, 2025
Featured উত্তর বাংলা কলকাতা দক্ষিণ দিনাজপুর দেশ বিবিধ রাজ্য
সুপ্রিম কোর্টের রায়-কে স্বাগত জানিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের নিজেদের হকের দাবিতে আন্দোলনের পাশে সর্বত্র ভাবে থাকার বার্তা দিলেন বিরোধী দলনেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী।
sobkhabaradmin May 16, 2025
Featured কলকাতা দক্ষিণ বাংলা দেশ বিবিধ রাজ্য
দমদম এর ঘটনা অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির মহিলার মৃতদেহ পাওয়া গেল।
sobkhabaradmin May 16, 2025
Featured দক্ষিণ বাংলা দেশ বিবিধ বীরভূম রাজ্য লাইফস্টাইল
গাড়ি সহযোগে গরু পাচারের আগেই ১৭ টি গরু সহ ধৃত -১ দুবরাজপুরে।।
sobkhabaradmin May 16, 2025
Featured উত্তর বাংলা ওপার বাংলা কোচবিহার দেশ বিদেশ বিবিধ রাজ্য লাইফস্টাইল
ঘুটিয়ারি শরীফে গ্রেফতার বাংলাদেশী, তদন্তে পুলিশ।
sobkhabaradmin May 16, 2025
Featured উত্তর বাংলা কোচবিহার দেশ বিবিধ রাজ্য লাইফস্টাইল
যৌথ প্রতিবাদী মঞ্চের ডাকে একটি প্রতিবাদী সভা অনুষ্ঠিত হলো মাথাভাঙ্গার চৌপতিতে।
sobkhabaradmin May 16, 2025

Leave a Reply
Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

YOU MAY HAVE MISSED
Featured দেশ সম্পাদকীয় সাহিত্য
আজ বিশ্ব তথ্য সমাজ দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় এবং গুরুত্ব।।।।
sobkhabaradmin May 17, 2025
Featured দেশ বিবিধ রাজ্য সাহিত্য
বাংলার বীর-সন্তান উল্লাসকর দত্ত :: করবী বাগচী।।।।।
sobkhabaradmin May 17, 2025
Featured সাহিত্য
মূল্যবান মনুষ্য জীবন ও (অহং)আমি : স্বামী আত্মভোলানন্দ(পরিব্রাজক)।।।
sobkhabaradmin May 17, 2025
Featured দেশ বিবিধ সম্পাদকীয় সাহিত্য
আজ ১৭ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।
sobkhabaradmin May 17, 2025

Copyright © 2025 | Powered by WordPress | Newsio by ThemeArile