ঝিঙে পটল (ধারাবাহিক, দ্বাদশ পর্ব) : দিলীপ রায় (+৯১ ৯৪৩৩৪৬২৮৫৪)।

0
376

স্থানীয় এলাকার মানুষের কাছে পটলের দোকান ভীষণ জনপ্রিয় । পটলের দোকানে মোটামুটি নিত্য প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছে । জিনিসপত্রের দামও ন্যায্য । ঠকবার ভয় নেই । যদিও দোকান সামলাতে পটলের একার পক্ষে হিমসিম অবস্থা । একদিকে চায়ের দোকান সামলানো । অন্যদিকে টুকিটাকি মনোহারি দ্রব্যের বেচাকেনা । পটলের একার পক্ষে একটু চাপ । ঝিঙে বাড়ি থাকলে দাদার সাথে হাত লাগায় । সেই সময় পটল অনায়াসে খরিদ্দার সামলায় । দাদাকে সযোগিতা করে ।
ঝিঙে বড় হচ্ছে । বোনকে নিয়ে পটলের হয়রানির শেষ নেই । স্কুলের ফি জমা দেওয়া ছাড়াও বই, খাতা-পত্র কিনে দেওয়া, স্কুল ড্রেস কেনা, পটলকেই ছুটতে হয় । এর উপর, বোনের প্রতি ছেলে-ছোকরাদের নিত্য উৎপাত ! ঝিঙের শারীরিক বাড়-বাড়ন্ত লাগামছাড়া । অল্প বয়সেই তাকে দেখতে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা মেয়েদের মতো । শরীর স্বাস্থ্য ভাল হওয়ার দরুন পথ চলতি মানুষদের নজর কাড়ছে ঝিঙে । এখানেই পটলের দুশ্চিন্তা ।
বোনটা পটলকে খুব ভালবাসে । দাদাকে দু-দণ্ড না দেখলে উতলা হয়ে ওঠে । বোনের দাদা-অন্ত প্রাণ । অন্যদিকে দাদাও তেমনি, বোন তার প্রাণ । বোনকে নিয়েই তার স্বপ্ন ! পটলের বিশ্বাস, ঝিঙের জন্য পটলের ব্যবসার উন্নতি ক্রমবর্ধমান । বাজারে ধার দেনা করে বাড়িটা আরও বাড়িয়েছে । রান্না ঘর । আর একটি শোওয়ার ঘর । সেই ঘরেই ঝিঙে পড়াশুনা করে । ঝিঙের সেটা নিজস্ব ঘর ।
দেখতে দেখতে অনেক বছর কেটে গেল । ঝিঙের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবার সময় এসে গেলো । পড়াশুনা ভাল করার জন্য বিষয়-ভিত্তিক গৃহ শিক্ষক । ঝিঙের পড়াশুনায় খুব মনোযোগ । ঝিঙে জানে, তাকে ভাল রেজাল্ট করতেই হবে । মাধ্যমিকে খুব ভাল মার্ক নিয়ে পাশ করেছে । তাই উচ্চ মাধ্যমিকেও ঝিঙে খুব ভাল মার্ক রাখতে চায় । তার জন্য আদাজল খেয়ে পড়াশুনা । উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্টের উপর নির্ভর করছে পরবর্তী কলেজে ভর্তি ।
ঝিঙে রোজ স্কুলে যায় । পড়াশুনার চাপ । সামনে কঠিন পরীক্ষা । সেই কারণে ঝিঙে স্কুল ও পড়াশুনা নিয়েই মূলত ব্যস্ত । বাড়িতে সকালবেলায় সেদ্ধ ভাত খাওয়ার অভ্যাস । ঝিঙের স্কুল থাকলে দুপুরে আর রান্না হয় না । দুপুরবেলায় পটল হাল্কা টিফিন করে । অন্যদিকে ঝিঙে, স্কুল লাগোয়া বৃন্দাবন কাকার দোকান থেকে পাউরুটি টোস্ট সাথে পাকা কলা কিনে নিয়ে ক্লাসে বসে খায় । টিফিন সময়ে, ক্লাসের অন্যান্য বন্ধুরা সাধারণত বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে স্কুলে আসে এবং টিফিনের সময়ে কৌটা বের করে তারাও টিফিন খায় । অন্যান্য বন্ধুরা ঝিঙের মতো অভাগা নয় । বাড়িতে তাদের বাবা-মা রয়েছেন । ক্লাসে একমাত্র ব্যতিক্রম ঝিঙে, যার বাবা-মা কেউ নেই । একাধারে পটল তার দাদা, অন্যধারে তার বাবা-মা সবকিছু । এজন্য ঝিঙের কাছে পটল দেশের শ্রেষ্ট হিরো । ছোটবেলা থেকে ঝিঙে দেখছে তার দাদাকে, গায়ের রক্ত জল করা পরিশ্রম । হাড়ভাঙা খাটুনি । অতিরিক্ত খাটুনি খেটে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে পটল অবিচল । অবর্ণনীয় মেহনত পটলকে সাফল্যের দিকে এগিয়ে দিচ্ছে । তাই দাদা হচ্ছে ঝিঙের কাছে এক নম্বর হিরো ।
ঝিঙের এবছর বারো ক্লাস । বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে তার পড়াশুনা । কিন্তু ডাক্তারিতে তার অনীহা । বড় হয়ে ঝিঙে প্রশাসনিক পদে যেতে চায় । ঝিঙে মনে করে, সমাজের প্রতি তার দায়বদ্ধতা রয়েছে । সমাজের হিতার্থে তার কিছু করা উচিত । সেই কারণে প্রশাসনিক পদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত, ঝিঙের একান্ত নিজের সিদ্ধান্ত ! যদিও দাদাকে তার মনের ইচ্ছা জানিয়েছে । পটল সব শুনে আনন্দে তার চোখে জল এসে গিয়েছিলো । নিজেকে সংবরণ করে বোনের মাথায় হাত রেখে পটল আশীর্বাদ করে বলেছিলো, “তোর যতদূর ইচ্ছা আমি তোকে পড়াবো । আমার বিশ্বাস, তুই মানুষের মতো মানুষ হবি ।“ ঝিঙে তার জীবনের সব খবর দাদার সাথে শেয়ার করে । এমনকি স্কুলে যাতায়াতের পথে কোন্‌ ছেলে তাকে চোখে-চোখে ইশারা করলো, তাকে দেখে কোন্‌ ছেলে মুচকী হাসলো, সবকিছু দাদার সাথে আলোচনা করে । পটল বোনকে বোঝায়, সব ছেলে খারাপ নয় । বয়সের দোষে অল্প বয়সী মেয়ে দেখলে সাময়িক উচ্ছৃঙ্খল হয়ে ওঠে । তাদের আচরণে তোর খারাপ লাগলে এড়িয়ে চলবি । ভাই-বোনের অপূর্ব মিল অবলোকন করে ভাতের হোটেলের জগাই পটলকে বলেছিলো, “তোমাদের ভাই-বোনের ভালবাসা সমস্ত বর্ণনার ঊর্ধ্বে । ঈশ্বর তোমাদের মঙ্গল করুক ।“
বাজারসৌ চত্বরের কিছু হিতাকাঙ্ক্ষী মানুষ পটলকে ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার পরামর্শ দিয়েছেন বিয়ে করবার জন্য । জোড় হাতে তাঁদের সেই প্রস্তাব পটল প্রত্যাখান করেছে । তার একটাই কথা, আগে বোনকে মানুষ করার দায়িত্ব পালন করি । বোন নিজের পায়ে দাঁড়াক । তারপর বিয়ের কথা ভাবা যাবে । এই মুহূর্তে একটাই চিন্তা, কীভাবে বোনকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলা যায় !
পটলের দোকানের বাড়-বাড়ন্ত দেখে কিছু স্থানীয় ব্যবসায়ী ঈর্ষায় জ্বলে পুড়ে যাচ্ছেন । পটলের প্রত্যেকদিনকার খরিদ্দারদের তাঁরা ভড়কাচ্ছেন । পটলের বিরূদ্ধে উলট-পালট কথা বলে খরিদ্দারদের উস্কাচ্ছেন ! যাতে পটলের খরিদ্দারদের মধ্যে ভাঙ্গন ধরাতে পারেন । এইটুকু নাবালক ছেলে, কয়েক বছরের মধ্যে ব্যবসায় এত বড় সাফল্য পেলো । অতীতে এই ঘটনা বাজারসৌ স্টেশন বাজার চত্বরে কোনো ব্যবসায়িকের জীবনে ঘটেনি । কোনো ব্যবসায়ী এত তাড়াতাড়ি সাফল্য পাননি । তাই পটলের উপর ক্ষোভ । কিন্তু তার বিরূদ্ধে কুৎসা রটাবার কোনো খুঁত নেই । পটল নির্ভেজাল একটা কর্মঠ যুবক । কাজ ছাড়া সে কিচ্ছু বোঝে না । তার মাথায় ব্যবসার সাথে সাথে একটাই চিন্তা, বোনকে মানুষ করা । মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তোলা । কাজের বাইরে পটল কোনো দুষ্টু চক্রের সাথে মেশে না । এমনকি বিনা কারণে কোনো দোকানদারের দোকানে বসে আড্ডা দেয় না । পটল কাজ ভালবাসে । নিজেকে দাঁড় করাতে কঠিন কাজকেও সে ভয় পায় না । তার জীবনে দুটিই মূলমন্ত্র, সততা ও কঠোর পরিশ্রম । আত্মবিশ্বাসের সাথে তার মেহনত । যার জন্য পটল একরকম রাস্তার ভিখিরি থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ।
দুপুরে পটল কিচ্ছু খায়নি । বারংবার বোনের কথা মনে পড়ছে । যদিও বোনটা রোজ তাকে জানায়, বৃন্দাবন কাকার দোকানে প্রতিদিন টিফিন টাইমে টিফিন খায় । একেকদিন একেক রকমের খাবার । কোনোদিন পাউরুটি টোস্ট, কোনোদিন পাকা কলা দিয়ে পাউরুটি, ইত্যাদি । কিন্তু বোনের খাওয়াটা সে কোনোদিন চাক্ষুষ দেখেনি । এইজন্য মাঝেমধ্যে দুপুরবেলায় বোনের জন্য তার মনটা আনচান করে । অহেতুক উতলা হয়ে উঠে । আজ বিশেষ করে বোনের কথা ভীষণ মনে পড়ছে । তাই ভাবছে, বোনটা দুপুরবেলা খেলো কিনা ?
পাশের হোটেলের জগাই এসে হাজির ।
জগাই পটলকে জিজ্ঞাসা করলো, “দুপুরে কী খাওয়া হল ?”
আজ খাওয়ার মুড নেই ।
বোনটার জন্য মন খারাপ ?
ঠিক তাই । আজ ঝিঙের জন্য মনটা আনচান করছে । সকালে ঠিকমতো খেয়ে যেতে পারেনি । স্নান সেরে ওঠার পর সময় ছিল কম ! যার জন্য তাড়াহুড়ো । অল্প একটু ভাত মুখে দিয়েই দৌড়িয়েছে পাগলিটা । স্কুলটা অনেক দূরে । কাছে থাকলে খোঁজ নিয়ে আসতে পারতো !
তুমি চিন্তা করো না ভাইয়া । বোন এখন বড় হয়েছে । এলাকার দশটা মেয়ের মতো নয় । দেখতে যেমন সুন্দরী, তেমনি তার মিষ্টি ব্যবহার । সবাই তোমার বোনের সুনাম করে । হাঁড়ভাঙ্গা খাটুনি খেটে পড়াশুনা চালাচ্ছে । বাড়ির কাজকর্ম তো কম নয় ? কিন্তু তোমার বোন সেটা একা হাতে সামলাচ্ছে । উপরন্তু পড়াশুনায়ও অনেক ভাল । আমার গিন্নি তোমার বোনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ । সেদিন আলমপুরের সুফল মিঞা তোমার বোনের প্রশংসায় উচ্ছ্বসিত ।
হঠাৎ সুফল মিঞার প্রশংসা কেন, বুঝলাম না ?
সুফল মিঞার কথায় যেটা বুঝলাম, তাঁদের আলমপুরের সফিকুল ছোকরাটা ঝিঙের সাথে অশোভনীয় আচরণ করেছিলো । ঝিঙের হাত টেনে ধরে বলেছিলো, “তুই আমাকে নিকা করবি ? আমি তোকে রাজরাণী করে রাখবো ।“ এই কথা শুনে ঝিঙে সপাটে সফিকুলের গালে চড় ! সুফল মিঞার সামনে ঝিঙে সফিকুলকে চোখ গরম করে শাসিয়ে বলেছিলো, “এরপরে কোনোদিন যদি আমার পেছনে দেখি সেদিন তোকে আমি আস্ত রাখবো না । আমি দেখতে নীরিহ । রেগে গেলে আমি সিংহি । কথাটা মনে রাখিস !” তারপর ঝিঙে হনহন করে বাড়ির দিকে হাঁটা দিলো । সুফল মিঞার মতে, “পটলের বোনটা খুব সাহস রাখে । সামান্যতে ঘাবড়ে যাওয়ার পাত্রী নয় । ভবিষ্যতে পটলের বোনটা তেজি মেয়ে হবে ।“
এতবড় একটা ঘটনা ! অথচ আমার বোনটা আমাকে জানায়নি । এইজন্যই বোনটার জন্য মাঝে মাঝে খুব চিন্তা হয় ! অনেক কথা সে বেমালুম চেপে যায় । মাঝে মাঝে বোনকে নিয়ে তার ভয় হয় ! পটলের মনে কু-গায়, “বোনটা বড় রকম বিপদে পড়বে না তো ?”
তুমি একদম চিন্তা করবে না ভাইয়া । উপরওয়ালা রয়েছেন, তিনিই তোমার বোনকে বিপদ থেকে রক্ষা করবেন ।
হ্যাঁ । ঈশ্বরই আমার ভরসা !
তারপর দোকানের খরিদ্দার সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো পটল ।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলো । অথচ বোন স্কুল থেকে ফিরছে না । খুব চিন্তা হচ্ছে পটলের । বোন সাধারণত এত দেরী করে না । মাঝে মধ্যে স্পেশাল ক্লাস থাকলে তাকে জানিয়ে যায় । সেই সময় ফিরতে সূর্য ডুবে যায়, কিন্তু সন্ধ্যা গড়ায় না । ভীষণ দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়লো পটল । এদিকে দোকানে সন্ধ্যার সময় খরিদ্দারের প্রচণ্ড ভিড় ! চারিদিকে গাঁ-গঞ্জ । স্টেশনকে ঘিরে গুটি কয়েক দোকান নিয়ে বাজার । সারাদিন মাঠে-ঘাটে কাজ করার পর সবাই ছোটে স্টেশন । গাঁয়ের মানুষদের কাছে বাজারসৌ স্টেশন একটা শহরের ন্যায় । সন্ধ্যাবেলায় সাধারণত চায়ের দোকানে তাদের জটলা । পটলের চায়ের দোকানে মানুষ একটু বেশী মাত্রায় সম্মান পাওয়ায় সেখানে ভিড় জমে বেশী । গরম চা-বিস্কুট হাতে নিয়ে একে অপরের সাথে নানান ধরনের কথোপকথনে মেতে ওঠে । গালগপ্পো । হাসি ঠাট্টা ! সন্ধ্যাবেলায় পটলের দোকানে চা খাওয়ার খরিদ্দারদের প্রচণ্ড হৈ-চৈ । কাজে ব্যস্ত থাকলেও পটলের মনটা পড়ে রয়েছে বোনের ফেরবার দিকে । ঘুরেফিরে বোনের কথা মনের ভিতর উকি দিচ্ছে । ঝিঙের ফিরতে সন্ধ্যা গড়িয়ে যাচ্ছে কেন ?
চা দেওয়ার ফাঁকে ফাঁকে পটল রাস্তায় এসে বোনকে খুঁজে যাচ্ছে । কিন্তু বোনের দেখা নেই ।
সন্ধ্যা সাতটার কাটোয়া লোকাল বেরিয়ে যাওয়ার পর পটল আর ঠিক থাকতে পারলো না । সে এবার সিদ্ধান্ত নিলো, দোকান বন্ধ রেখে বোনের খোঁজে বের হবে । পটলের মন ভাল নেই । বোনটা এত দেরী করে না । দরকার থাকলে বাড়ি ফিরে তারপর ঝিঙে সেই কাজ সারতে পুনরায় বের হয় । তবুও কখনই রাত্রি করে বাড়ি ফেরা তার স্বভাব নয় । নিশ্চয় বোনটা কোনো অপ্রীতিকর সমস্যায় পড়েছে ! নতুবা সে কোনো বিপদে পড়েছে । বিপদের কথা ভাবলেই পটল আত্‌কে ওঠে । বোনের বিপদ হোক পটল কখনই ভাবতে পারে না । বোনের জন্য পটল খুব মনমরা । বোনটাকে নিয়ে তার অনেক স্বপ্ন ! বোনটা তার নয়নের মণি । বোনটার জন্য তার অনেক ত্যাগ । বিয়ে করার চিন্তা মাথা থেকে উধাও । বোনের নিরাপত্তার কথা ভেবে অনেক কষ্টে বাড়িটা বানিয়েছে । বাড়ি তৈরীর ধারের টাকা এখনও পরিশোধ হয়নি । তবে পটলের বিশ্বাস, দোকানের বেচাকেনা ভাল চলছে । সুতরাং ধারের টাকা শীঘ্রই পরিশোধ সম্ভব হবে ।
“দাদা, দোকান খালি করে দিন । আমাকে শক্তিপুর যেতে হবে ।“ পটল দোকানের খরিদ্দারদের উদ্দেশে হাত জোড় করে বলল ।
ঘোষপাড়ার বয়স্ক উমেশবাবু নির্ভেজাল ভাল মানুষ । সজ্জন মানুষ । তিনি জানতে চাইলেন, “হঠাৎ শক্তিপুরে কেন পটল ?”
পটল উমেশবাবুর প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে হাউ হাউ করে কাঁদতে লাগলো ।

 ( চলবে )