সুদীপ সেন, বাঁকুড়া:- চাই একটা পাকা সেতু।
চাইনা অস্থায়ী বাঁশের সেতু দিয়ে ঝুঁকির পারাপার।
আজ থেকে বেশ কয়েক বছর ধরে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বর্ধমান জেলার প্রায় দেড় শত থেকে দুই শত গ্রামের মানুষ দামোদর নদের ওপর একটা পাকা সেতুর দাবি জানিয়ে আসছে।
কখনো আন্দোলন কে স্তিমিত করতে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় সেতু তৈরি করার, কখনো হয় উদ্বোধন_
কিন্তু এক অজানা করোনা এতো গুরুত্বপূর্ণ একটা সেতু পাকা হয় নি।
যে সেতু পাকা হলে বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার অসংখ্য মানুষ উপকৃত হবে।
স্কুল ,কলেজ পড়ুয়া, চিকিৎসার কাজে, প্রতিদিনের ব্যাবসার কাজে, বার্ণপুরে ইস্কো কারখানার কাজের জন্য অসংখ্য মানুষ শিল্পাঞ্চল বার্ণপুর, আসানসোলে যাতায়ত করতে বাধ্য হয়।
কিন্তু অনেক মানুষকে দীর্ঘ ৬০ কিলোমিটার ঘুরে ডিসেরগড় ঘাট দিয়ে ঘুরে আসতে হয়।
কারণ ঈশ্বর দা ও কুঁখড়াকুড়ি তে দুটি অস্থায়ী বাঁশের ক্ষণভঙ্গুর সেতু থাকলেও বর্ষার সময় তা ভেঙে যায়।
এরফলে প্রাণ ঝুঁকি নিয়ে নদ পারাপার করে অসংখ্য মানুষ রুটি রুজির টানে ওপরে শিল্পাঞ্চলে যেতে বাধ্য হয়।
এলাকার মানুষ সহ অসংখ্য মানুষ একজোট হয়ে গঠন করেছে বিহারী নাথ ,দামোদর সেতুবন্ধন কমিটি।
সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও সামাজিক মাধ্যম , ইলেকট্রনিক্স এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সহযোগিতায় এই আন্দোলন গতি পায়।
রাজ্য সরকার বিশেষ করে পূর্ত মন্ত্রী মাননীয় মলয় ঘটকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সেতুর সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে।
এই সেতুর কাজকে আরো গতি দিতে এবং সকল সদস্যদের ভাব বিনিময়ের জন্য ২৫.১২.২২ বিহারী নাথ ,দামোদর সেতু বন্ধন কমিটি সেতুবন্ধন উৎসবের আয়োজন করে।
আলোচোচনা, বসে আঁকো এবং সকলের ঐক্য ও সম্প্রীতির আবহে অনুষ্ঠানটি সার্থকতা লাভ করে।
Leave a Reply