তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা ডেকেও গরহাজির বিজেপির সদস্যরা।

0
305

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ-তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা ডেকেও গরহাজির বিজেপির সদস্যরা। সভাপতির পদে বহাল থাকলেন পুরাতন মালদা পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূল সভাপতি মৃণালিনী মন্ডল মাইতি। আর যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের অন্দরে। নিজের পদ বাঁচাতে বিজেপি কে দিয়ে অনাস্থা ডাকানোর অভিযোগ মৃণালিনী মন্ডল মাইতির বিরুদ্ধে। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। আর এই ঘটনা ঘিরে অস্বস্তিতে বিজেপি এবং তৃণমূল নেতৃত্ব। 2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুরাতন মালদা পঞ্চায়েত সমিতির 18 টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি আটটি করে আসন দখল করে। দুটি আসন জয়লাভ করে কংগ্রেস। কংগ্রেসের দুই সদস্য তৃণমূলে যোগদান করায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস। সভাপতি নির্বাচিত হন মৃণালিনী মন্ডল মাইতি। সম্প্রতি সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকেন বিজেপির 6 সদস্য। গতকাল ছিল সেই অনাস্থার তলবি সভা। কিন্তু বিজেপির অনাস্থা কারী কোন সদস্য হাজির না হওয়ায় বাতিল হয়ে যায় সভা। আর এই সভা বাতিল ঘিরে প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের সংঘাত। পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি হারেজ আলীর অভিযোগ, সভাপতি পদে বহাল থাকতে বিজেপি সদস্য দেরকে দিয়ে অনাস্থা নিয়ে আসেন খোদ সভাপতি নিজেই। বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকে বিজেপির সাথে তার যোগসাজস রয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মৃণালিনী মন্ডল মাইতি। তিনি বলেন এগুলো ভিত্তিহীন অভিযোগ। বিজেপি তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ডেকেছিল। সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই তাই তারা মিটিংয়ে আসেননি। আর এই ঘটনা ঘিরে অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল এবং বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। দল সব কিছুর ওপর নজর রাখছে। কেউ দলকে ম্যালাইন করার চেষ্টা করলে দল কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এই বিষয়ে মালদা উত্তর এর বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, দল এই ধরনের বিষয়কে অনুমোদন দেয় না। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখা হচ্ছে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দল ব্যবস্থা নেবে।