স্কুল খোলা থাকলেও সময়ে আসছেন না শিক্ষকেরা এই অভিযোগে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবক ও এলাকাবাসীরা,শোরগোল বড়মোহনপুরে।

নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুর:- স্কুল খোলা থাকলেও সময়ে আসছেন না শিক্ষকেরা এই অভিযোগে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবক ও এলাকাবাসীরা।ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার বড়মোহনপুর এলাকায়।ঘটনায় জানা যায় করোনা পরিস্থিতির জন্য দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের পঠনপাঠন প্রায় বন্ধ ছিল।পরে সরকারের তরফ থেকে স্কুল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়।বর্তমান স্কুলগুলিতে বেশ কিছু শ্রেণির সময়বিশেষে পরীক্ষা প্রস্তুতি চলছে।আর এর মাঝে স্কুলগুলিতে চলছে ভর্তি প্রক্রিয়া।তাই স্কুলগুলিতে বেশ কিছু শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের পঠন পাঠন প্রক্রিয়া চললেও অধিকাংশই এখন বন্ধ।তবে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপস্থিত হতে হচ্ছে নির্দিষ্ট সময়ে।কিন্তু আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার বড় মোহনপুরের বড় মোহনপুর উচ্চবিদ্যালয়ের চিত্রটা অন্যান্য দিনের থেকে একটু অন্যরকম। বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করাতে এসে স্কুলের গেটের সামনে থেকে অভিভাবকদের ফিরে যেতে হচ্ছিল।অভিভাবকদের অভিযোগ দুপুর বারো টা পেরিয়ে গেলেও স্কুলে কোন শিক্ষক শিক্ষিকারা উপস্থিত হননি।এমনকি স্কুলের গেট বন্ধ অবস্থায় ছিল।দুপুর গড়িয়ে স্কুলগেটের সামনে হাজির হন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।আর তার পরে তাঁকে ঘিরে অভিভাবক এবং এলাকাবাসীরা স্কুলের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।তারা শিক্ষকের কাছে স্কুল বন্ধ হওয়ার কারণ এবং এত দেরিতে আসার কারণ জানতে চান।এই নিয়ে শুরু হয় তুমুল বাকবিতণ্ডা।যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় মোদক এর সাফাই স্কুলের অনলাইন পরিষেবা খারাপ।তাই স্কুলের কিছু কাজের জন্য বাইরে সাইবার ক্যাফেতে করতে গিয়ে একটু দেরি হয়েছে আজকে তার।এবং তিনি নিজ মুখে বারোটার পরেই উপস্থিত হয়েছেন বলে স্বীকার করে নেন।তবে স্কুলের গেট বন্ধ কেন আজ কিংবা অন্যান্য শিক্ষকেরাও উপস্থিত হয়েছেন কিনা সে ব্যাপারে তিনি কিছুই সদুত্তর দিতে পারেননি।সেইসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি তাঁর পরিচিতি বা মুখ লুকাতে ব্যস্ত ছিলেন । তাই মাথায় হেলমেট পরে বক্তব্য দিলেন তিনি ।বারবার হেলমেট খুলে তাকে বক্তব্য দেওয়ার কথা বলা হলেও তা তিনি শোনেননি।পরে তিনি জানান স্কুলে ঢুকতে না পারলে এই বাইরে থেকে বসে যত দেরিই হোক তিনি পরিষেবা দেবেন।যদিও এদিন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক বিশৃঙ্খলার পরিবেশ তৈরি হয় এলাকায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *