আতঙ্ক থেকে মুক্তি পেয়ে স্বস্তি ফিরলো কুমীরমারীর বাগনা অফিস পাড়ায়।

ক্যানিং, নিজস্ব সংবাদদাতা: – রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের জন্য সমগ্র পৃথিবীতে বিখ্যাত সুন্দরবনব। বিগত দিনে পর্যটক থেকে শুরু করে এলাকার সাধারণ মানুষজন বাঘ দেখতে না পেয়ে এক প্রবাদ বাক্য চালু করেছিলেন ‘সাপের লেখা,আর বাঘের দ্যাখা’ কপালে না থাকলে হয় না।২০২১ সাল থেকে ধীরে ধীরে সেই প্রবাদ বাক্য কে ধুয়ে মুছে সাফ করার কাজ শুরু হয় ধীরগতিতে।বছর শেষে একে একে অসংখ্যবার জঙ্গলের মহারাজ লোকালয়ে চলে আসে এবং তার অস্তিত্ব জানান দেয়।এরপর ২০২২ এর শুরুতেই যেন আবার ক্ষীপ্রগতিতে জানান দেয় মহারাজ।কুলতলির মৈপীঠে হানা দিয়ে দুই মৎস্যজীবীকে ক্ষতবিক্ষত করে।আবার গোসাবার লাহিড়ীপুরের চরঘেরীতে মহারাজের পদচিহ্ন দেখতে পেয়ে আতঙ্ক ছড়ায়। আবার শনিবার রাতেই গোসাবার কুমীরমারী গ্রামপঞ্চায়েতেয় বাগনা অফিস পাড়া গ্রামে মহারাজের পদচিহ্ন দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা।এমনকি তাদের নজরে পড়ে যায় এলাকার বাসিন্দা হরিপদ মন্ডল ও নিতাই সরদারের কলাবাগানে বাঘমামা ঘাপটি মেরে বসে রয়েছে। রাতের অন্ধকারে বাঘ মামার উপস্থিতিতে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। গ্রামবাসীরা টর্চ লাইট আর লাঠি নিয়ে সতর্ক ভাবে নজর রাখতে শুরু করেন।বাঘমামার উপস্থিতির খবর পেয়ে বনদফতরের কর্মীরা রাতের অন্ধকারেই হাজীর হয় ঘটনাস্থলে। সেখানে বাঘ মামার উপস্থিতি বুঝতে পেরেই কোন রকম ঝঁকি না নিয়েই এলাকাটি জালদিয়ে ঘিরে ফেলেন বনকর্মীরা। পরে ঘুমপাড়ানী গুলি চালিয়ে কাবু করেন রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার কে।কাবু হতে জালদিয়ে জড়িয়ে তাকে খাঁচা বন্দী করা হয়।আপাতত বাঘটিকে পর্যবেক্ষনে রেখেছেন বনদফতরের কর্মীরা। সুস্থ হলেই সুন্দরবনের কোন এক গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।অন্যদিকে আতঙ্কের হাত থেকে বাঘ খাঁচা বন্দী হওয়ায় স্বস্তির হাসি ফিরেছে বাগনা মাষ্টার পাড়া গ্রামে।
অন্যদিকে স্বস্তির হাসি ফিরলেও লোকালয়ে বাঘ মামার বারংবার উপস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে পরিবেশপ্রেমী থেকে শুরু করে বাঘ বিশেষঞ্জদের।
সুন্দরবনে খাদ্য সংকট ?চোরা শিকারীরদের দাপট?বাসস্থানের অস্তিত্ব সংকট?না কি মিষ্টি জলের স্বাদ পেতে লোকালয়ে চলে আসা?
প্রতিনিয়ত লোকালয়ে জঙ্গলের মহারাজের এমন উপস্থিতির কথা এমন সব প্রশ্ন ভাবিয়ে তুলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *