সূর্যমুখী অনাহার : সুরভি জাহাঙ্গীর।

জানিস একসময় আকাশের দিকে তাকিয়ে, খুশির টুকরো টুকরো মেঘ দিয়ে, খুব সহজেই তোর-আমার ছবি এঁকে দিতাম।
সেই মেঘে ভাসা ছবি দেখে, তুই বলেছিলি.. আকাশটা তোকে উপহার দিলাম!
সেদিন তোর উপহারের ভীষণ খুশিতে,বিশাল আকাশেে মালেকি হলাম।

সূর্যের সাথে, রৌদ্রছায়ার লুকোচুরি খেলার খুশিতে আত্মহারা ছিলাম।
আমার খুশিতে, সেদিন অবলীলায়.. তুই সূর্যকে উপহার দিয়ে দিলি।
সেই থেকে,তোর ভালোবাসার সূর্যমূখী হয়ে গেলাম!

বৃষ্টি শেষে রঙধনু সাত রঙে মুগ্ধ ছিলাম।
আমার সকল মুগ্ধতার বুকে,মুখ রেখে, কথার গভীরতায় হারিয়ে , ফিসফিস করে বলেছিলি,আজ থেকে পৃথিবীর সব রঙ তোকে উপহার দিলাম!
তোর দেওয়া সকল উপহারে, ভীষণ মুগ্ধ ছিলাম আমি।

আজ অন্য জীবন, দুজনেই দূর থেকে বহুদূর!

তোর দেওয়া উপহারের আকাশটা আজ চুরি হয়ে গেছে,কোন এক নতুনের সুউচ্চ বিলাসবহুল ভবনের দখলদারিত্বে।
আকাশের রাজপথ আজ, পরিহাসের চোরাগলি ছবি আঁকে।
তাই আজ আর সূর্যের ভালোবাসার আলো..সূর্যমুখী বুকে স্পর্শ করে না।

তাই মন আর সূর্যমুখী প্রেমে সাজে না!

জানিস, সূর্যমুখী তার বুকের ভিতরে, আজ আর ভালোবাসার স্বপ্নের বীজ বোনে না!
তার ফুলতোলা ঐ বুকের ভিতরের,স্বপ্নের বীজ গুলো,এখন শুধুই মুদি দোকানের ভোগ্য পণ্যের তালিকার,ভোজ্য তেলের, নিত্য প্রযোজনের ব্যবহারের, আহারের বাহারি… ভোগের প্রয়োজনীয় সামগ্রী মাত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *