শান্তিপুর পৌরসভার উদ্যোগে বিদ‍্যাঙ্গানের এরপাশে স্থাপিত হলো বিদ্যাসাগরের মূর্তি।

0
334

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- আজ শান্তিপুর পৌরসভার উদ্যোগে শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে বিদ্যাসাগরের মূর্তি স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী, শান্তিপুর পৌরসভার পৌর প্রশাসক সুব্রত ঘোষ, উপ পৌর প্রশাসক শুভজিৎ দে, মিউনিসিপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রকাশ চন্দ্র দে, পৌর প্রশাসক মন্ডলীর সদস্যা বাসনা মঠ সহ অন্যান্য তৃণমূল কর্মী সমর্থক। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী জানালেন , আজকের দিনের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কাছে বিদ্যাসাগর আদর্শ হওয়া উচিত। তিনি আরো বলেন বিদ্যাসাগর যখন মাকে একটি কম্বল দিয়েছিলেন তার মা তখন শীতের মধ্যে অতি কষ্টে জীবন কাটানো গরিব দেশবাসীর কথা উল্লেখ করে সে কম্বল নিতে চাননি । আবার নদী সাঁতরে মায়ের কাছে যাওয়ার অদম্য মাতৃভক্তির কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। এছাড়াও নিজের ছেলের বিয়ে দিয়ে বিধবা বিবাহ প্রথার সূচনা করায় মার কাছে ত্যাজ্যপুত্র হতে হয়েছিল বিদ্যাসাগরকে । সমাজ সংস্কারক হিসেবে একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে তাঁর পথ প্রদর্শক হওয়া অত্যন্ত জরুরী। স্ত্রী শিক্ষা বিস্তারের জন্য কলকাতায় আন্দোলনে বিদ্যাসাগর মহাশয় এর সঙ্গে তার পূর্বপুরুষ বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামীর অত্যন্ত গভীর সম্পর্ক তিনি ব্যক্ত করেন।পৌর প্রশাসক সুব্রত ঘোষ বললেন বিদ্যাসাগরকে শ্রদ্ধা জানাতে যেতে হতো সুত্রাগড় অঞ্চলের এসআই অফিসের কাছে । তখন থেকেই শান্তিপুর শহরে বিদ্যাসাগরের মূর্তি স্থাপনের ভাবনা তার।উপ পৌর প্রশাসক শুভজিৎ দে বললেন ইতিমধ্যেই জোড়া কালী বটতলায় স্থাপন করা হয়েছে অদ্বৈত মহাপ্রভুর মূর্তি । পাশাপাশি তিনি আরও জানালেন ভবিষ্যতে একাধিক মুনি ঋষির মূর্তি স্থাপন করার পদক্ষেপ গ্রহণ করবে শান্তিপুর পৌরসভা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শ্রীবৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে।

শিক্ষক প্রকাশ চন্দ্র দে জানালেন মূর্তি স্থাপন হয় অনেক কিন্তু পরবর্তী সময়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই মূর্তির রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না ঠিকমত । তাই শান্তিপুর পৌরসভার এপৌর প্রশাসক এবং বিধায়কের কাছে মূর্তি রক্ষণাবেক্ষণের আবেদন জানান তিনি।