তেলিয়ামুড়া শহর উপকণ্ঠের দশমী কাটে খোয়াই নদীর উপর সেতু খুলে দেওয়া হলো সাধারন মানুষের জন্য।

তেলিয়ামুড়া, রাহুল দাসঃ- 2010 সালের মার্চ মাসে তেলিয়ামুড়া শহর উপকণ্ঠের দশমী কাটে খোয়াই নদীর উপর সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কিছুদিন চলার পর মাঝপথে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কাজ। তদানীন্তন বাম সরকার বা স্থানীয় বিধায়িকা এই সেতুর ব্যাপারে কোন প্রকারের উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। স্থানীয় মানুষরা বারবার এই সেতুর দাবি করলেও বারবারই এই দাবি উপেক্ষিত ছিল। শেষ পর্যন্ত 2018 সালে রাজ্য বিধানসভায় পটপরিবর্তনের পর নির্বাচনের পূর্বে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মত নবনির্বাচিত বিধায়িকা কল্যাণী রায় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই কাজ শুরু করার জন্য উদ্যোগী হন এবং যথারীতি কাজ শুরু হয়। বর্তমানে এই সেতু সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়। আজ অর্থাৎ শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই সেতুর উদ্বোধন করলেন স্থানীয় বিধায়িকা কল্যাণী রায়। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিধায়িকা কল্যাণী রায় ছাড়াও ছিলেন তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান রূপক সরকার, ভাইস-চেয়ারম্যান মধুসূদন রায়, তেলিয়ামুড়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপারসন যমুনা দাস, ভাইস চেয়ারপারসন অপু গোপ, বিশিষ্ট সমাজসেবক রঞ্জিত সূত্রধর সহ-দপ্তর উন্নয়নে উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
এই উদ্বোধনী পর্বে আলোচনা করতে গিয়ে বিধায়িকা কল্যাণী রায় দীর্ঘদিন বাম আমলে সেতুর কাজ বন্ধ ছিল বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বর্তমানে পূর্ত দপ্তরের বিভিন্ন কার্যকর্তাদের সঠিক উদ্যোগের ফলে এবং স্থানীয় মানুষের সহযোগিতার ফলেই এই সেতু সাধারণ মানুষের জন্য চালু হতে পেরেছে বলে উদ্বোধনী মঞ্চে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করলেন কল্যাণী রায়। বিধায়িকা ছাড়া অন্যান্য বক্তারা এই সময়ের মধ্যে সরকারের বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির আলোকপাত করেন এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদের চেয়ারম্যান রূপক সরকার এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
প্রায় আট কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেতুটি তৈরি হওয়ার ফলে বর্তমানে কৃষিপ্রধান বাঁইশঘড়িয়া, গোলাবাড়ি এলাকার মানুষজনদের যোগাযোগসহ কৃষিজাত পণ্য সামগ্রী আদান-প্রদানে বিশেষ সুবিধা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *