চাকদহ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ নয় জন স্বাস্থ্য কর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরেও পৌষ কালী উপলক্ষে মাঝরাত পর্যন্ত ভিড় জমিয়ে চলল নাঁচগানের উচ্ছ্বাস।

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতাদের :– সারা রাজ্যে রাত দশটার পর থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত নাইট কার্ফু চালু থাকলেও ব্যতিক্রম চাঁদুরিয়া একনম্বর পঞ্চায়েতের গৌরনগর ঘাটের পাশে গঙ্গা প্রসাদপুর। সেখানে
তারামা পুজো কমিটির পরিচালনায় পৌষ কালী পুজো উপলক্ষে, সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে গতকাল রাতে আয়োজিত হয়েছিলো বিচিত্রা অনুষ্ঠান। যেখানে মধ্যরাত পর্যন্ত উচ্চ শব্দ যুক্ত সাউন্ড সিস্টেম বাজিয়ে চলা এই অনুষ্ঠানের স্টেজের উপরে গায়িকা মিউজিসিয়ান থেকে শুরু করে, শয়ে শয়ে দর্শক কারোরই মুখে দেখা গেল না মাস্ক। সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় তুলে গানের তালে তালে লাগামছাড়া উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা যুব সমাজ। যদিও এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে রাজি হয়নি আয়োজক সংস্থার সদস্যরা। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা গেছে তারা নাকি জানতেন না।
অথচ কাজের চাপে মাস্ক আনতে ভুলে যাওয়া অথবা শারীরিক সমস্যায় মাস্ক সামান্য নাকের নিচে মাস্ক নামলেই সাধারণ মানুষের কপালে জোটে ক্ষমাহীন শাস্তি। থানার উদ্যোগের প্রতিনিয়ত পুলিশি অভিযানে ধরপাকড় জারি রয়েছে। কিন্তু থানা থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে, আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উচ্চ শব্দ যন্ত্রের দাপট আশেপাশের মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুললেও, প্রশাসনের কানে হয়তো তা পৌঁছায় নি।
গতকালই ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ ন জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হওয়ায় চিন্তিত গোটা চাকদা বাসী। তারমধ্যে প্রশাসনিক এই রকম উদাসীনতা নিয়ে সংশয় আরো বাড়ছে সচেতন নাগরিকদের মাঝে। যদিও এ বিষয়ে ওই অনুষ্ঠানের সদস্যরা মুখ খুলতে চাননি, মুখে কুলুপ এঁটেছে প্রশাসনও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *