রানাঘাটের এক অবসরপ্রাপ্ত চাকুরীজীবির সদিচ্ছায় গাছের উপর অভিনব ঘর, থাকছে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা সহ ঘুমানোর রাজকীয় ব্যবস্থা সাথে প্রকৃতি দর্শন ফ্রী।

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- নিজের মহানুভবতার পরিচয় দিয়ে রানাঘাট মাঠ কুমড়োর এক অবসরপ্রাপ্ত চাকুরীজীবির অভিনব বাড়ি ঘিরে এখন আলোচনা জেলা জুড়ে। যেখানে উন্নয়ন নামে চলছে সবুজ ধ্বংস, সবাই শহরমুখী নতুন ফ্ল্যাটে উঠতে আগ্রহী আর তাতেই বন জঙ্গল কেটে সাফ করে দেওয়া হচ্ছে। নিজেদের জীবনের প্রাণ বায়ু অক্সিজেনের কথা তোয়াক্কা না করেই পশু পাখী ও বনের জন্তু জানোয়ারদের থাকার জায়গা কেড়ে নিচ্ছে মানুষ, নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য।কিন্তু হঠাত চোখে পড়ল এমন একজন প্রকৃতি প্রেমি গাছ প্রেমী মানুষের যিনি কেনা , নিজের বাড়ি করার জন্য গাছ না কেটে, গাছের মধ্যেই তৈরী করেছে বাড়ি। যাকে বলে ট্রী হাউস। সেখানে রয়েছে সব ধরনের ব্যবস্থা খাওয়া ঘুমানো সব। রানাঘাটের ২ নম্বর ব্লকের মাঠকুমরা গ্রামে তৈরী হয়েছে গাছের ওপরেই বাড়ি। রানাঘাটের একজন অবসরপ্রাপ্ত চাকুরীজীবী দিব্যেন্দু বিশ্বাস। তিনি তার স্বপ্নের বাড়ি তৈরী করেছে গাছের ওপরেই। এমন নতুন অভিনব পদ্ধতিতে বাড়ি করা এর আগে চোখে পরে নি জেলায়। তার এই গাছের প্রতি ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ সবাই। সত্যি এমন ধরনের মানুষের সংখ্যা যদি বৃদ্ধি পায় তাহলে প্রকৃতির শোভা আরও ফুলেফেপে উঠবে। শুধু কি বাড়ি? সাত বিঘা জমি পুরোটাই নানান ফুল ফল আনাজে ভরপুর । রয়েছে দেশি-বিদেশি একশরও বেশি বৃক্ষ। যা ওই অভিনব ঘর থেকে পুরোটাই দৃশ্যমান। চোখ তো বটেই মনের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি হবে বলে দিব্যেন্দু বাবু আশাবাদী । তিনি জানান একটি পরিবার ছুটি কাটাতে অনায়াসে আসতে পারেন এখানে, রাসায়নিক সার ছাড়াই নানান খাদ্য খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে দিব্যেন্দু বাবু জানান, ছোটবেলা তার গ্রামের কেটেছে তারপর থেকে চাকরির সুবাদে ইট-কাঠ শহুরে কর্মজীবন, তাই চাকরি শেষ হতেই আবারো গ্রামে প্রত্যাবর্তন। ব্যবসায়ীক উদ্দেশ্য না হলেও, আগামীতে তার গড়া এই ঘরের মাধ্যমে যেমন পরিবেশের বার্তা যাবে ঠিক তেমনই বেশকিছু কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে তিনি আশাবাদী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *