ক্যানিং ষ্টেশনে ধর্মাশোক এর কবলে তৃপ্ত সারমেরয়’র দল।

0
327

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – আমরা ইতিহাসের পাতায় জেনেছি সম্রাট অশোক এর কথা।সম্রাট অশোক প্রথমদিকে প্রজাদের উপর অত্যাচার করতেন।অত্যাচারের মাত্রা এতোটাই অধিকতর হয়েছিল যে তাঁকে সকলে চন্ডাশোক বলে আখ্যা দিয়েছিলন। পরে সেই চন্ডাশোক প্রজাদেরকে নিজের সন্তানের মতো পালিত করে অভিশাপ মোচন করে ধর্মাশোক নামে সমগ্র বিশ্বে পরিচিত হয়ে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।ইতিহাসে সম্রাট অশোকের দানশীলতার কাছে আজও কেউ ঘেঁসতে পারেনি।
রাতের অন্ধকারে এমনই এক ধর্মাশোক(সম্রাট অশোক) এর ন্যায় জনৈক এক ব্যাক্তির আবির্ভাব।ঘটনাক্রমে তাঁর নাম ও অশোক।একদল সারমেয় কে স্নেহ করে তাদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন।
বর্তমানে করোনার বাড়বাড়ন্ত চলছে। এমন পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন জায়গায় সাময়িক ভাবে বাজার হাট বন্ধ রেখে করোনা কে রোখার তুমুল প্রচেষ্টা চলছে সব মহলে।তেমন ভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার নামে খ্যাত ক্যানিং শহর। শহরের বৃহত্তম ক্যানিং বাজার রয়েছে। যেখানে প্রতিদিনই লক্ষ লক্ষ মানুষজন যাতায়াত করেন।করোনা মহামারী রুখতে প্রশাসনের তরফ থেকে ১০ জানুয়ারী থেকে ১৩ জানুয়ারী পর্যন্ত চারদিন বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহন করায় প্রায় লকডাউন চলছে এলাকায়।ক্যানিং শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য সারমেয়।বাজার বন্ধ থাকায় তারা ক্ষুধার্ত অবস্থায় মরণাপন্ন ভাবে জীর্ণশির্নকায় যত্রতত্র পড়ে রয়েছে। সারমেয়দের করুণ দুর্দশা দেখে এগিয়ে আসেন ক্যানিংয়েরই অশোক নামে এক যুবক। তিনি সারমেয়দের কে স্বস্নেহে একত্রিত করে তাদের কে খেতে দেন।সারাদিন না খেতে পেয়ে অশোক বাবুর দেওয়া সামান্য খাবার পেয়ে খুশি সারমেদের দল। তাদের কে আদর করে খাওয়াতে দেখে সাধারন পথচলিত মানুষজন প্রশংসা করেছেন ওই যুবক কে।
কেন এমন উদ্যোগ এ প্রসঙ্গে অশোক বাবু জানিয়েছেন ‘বাজার বন্ধ থাকলে ওরা খাবে কি?কে দেবে ওদের খাবার?ফলে সারমেয় গুলো যাতে অনাহারে কষ্ট না পায় তার জন্য সামান্য খাবারের ব্যবস্থা করেছি। যতদিন বাজার বন্ধ থাকবে ততদিনই ওদের কে খাবার জোগান দিয়ে যাবো। কারণ সকলের তরে সকলের আমরা। আমাদের ছাড়া ওরা বাঁচবে কি ভাবে।’