আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের শ্যামপুর গ্রামে প্রতিবন্ধী স্নেহা ঘোষ অষ্টম শ্রেণীর পাঠ সমাপ্ত করে নবম শ্রেণীতে ভর্তি হতে চেয়েছিল কুশমুড়ি উচ্চবিদ্যালয়ে কিন্তু ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রতিবন্ধী স্নেহা ঘোষ কে ভর্তি নেননি বলে সেই সময়ে অভিযোগ করেছিলেন ঐ ছাত্রীর বাবা। যদিও ওই স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি কালীকিংকর রুইদাস শ্রেয়া ঘোষ কে তাঁর স্কুলে ভর্তি করার জন্য প্রধান শিক্ষককে অনুরোধ করেছিলেন,কিন্তু স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি কালীকিঙ্কর বাবুর মতকে প্রাধান্য না দিয়েই প্রধান শিক্ষক ছাত্রীকে ফিরিয়ে দেন আর সেই খবর একাধিক
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হবার পরই চাপে পড়ে যান ওই প্রধান শিক্ষক , অবশেষে
দীর্ঘ টালবাহানার পর আজ কুশমুড়ি উচ্চবিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী ছাত্রীকে ভর্তি করে নিলেন ।
এই খবরে খুশি স্নেহা ঘোষ এবং তার পরিবারের সদস্যরা।
কুশমুড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমাদের সাংবাদিকের ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে বলেন,ভুল বোঝাবুঝির কারণে এই সমস্যা হয়েছিল। বর্তমানে সেই সমস্যার
সমাধান হয়ে গেছে।
এ প্রসঙ্গে ছাত্রীর বাবা বলেন, সংবাদ মাধ্যমের খবরের জন্য আমার মেয়ে আজ ভর্তি হতে পারলো। সংবাদ মাধ্যমকে ধন্যবাদ জানাই আমার মেয়ের পাশে থাকার জন্য। শিক্ষক মশাইরা আজ আমার মেয়েকে সসম্মানে ভর্তি করেছেন এতে আমি খুব আনন্দিত।