আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ অভাবী সংসারে ভাদু মাল অর্থাৎ মানসিক ভারসাম্যহীন সুশান্ত মালের স্ত্রী লোকের বাড়িতে কাজ করে কিন্তু তবুও চলেনা সংসার দয়া করে আশপাশের মানুষজন কিছু কিছু খাদ্যশস্য দেয় আর এভাবেই কোনমতে চলে সংসার।
সুশান্ত মাল ও ভাদু মালের একমাত্র ১২ বছরের মেয়ে তনু মাল , সবেমাত্র ষষ্ঠ শ্রেণীতে পাঠরতা, অভাবি সংসারে বড় কষ্টের জীবনে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করেও চোখেমুখে বড় হওয়ার একরাশ স্বপ্ন কিন্তু স্বপ্ন দেখলেই তো হবে না তার জন্য চাই অধ্যাবসায় , চাই সঠিকভাবে এগিয়ে যাওয়া কিন্তু অর্থের অভাবে নিতে পারেনা টিউশন, হয় না ঠিকঠাক পড়া লেখা, চোখের জলে দিন কাটে মা ঠাকুমা সহ তার।
জমি জায়গা নেই এক কাটাও , সবটাই চেয়ে চিন্তে আর অপরের বাড়িতে কাজকর্ম করে যেটুকু রোজকার করে তা দিয়ে যখন তিন বেলা পেট ভরে খাবার জোটে না তখন মেয়ের পড়ালেখার জন্য অর্থ আসবে কোথা থেকে, কিভাবে বা করবে মানুষ একমাত্র মেয়েকে ? চিন্তায় চিন্তায় মা ভাদু মাল ।
স্বামী সুশান্ত মালের চিকিৎসা হয়না অর্থাভাবে, অতএব বছরের পর বছর মানসিক ভারসাম্যহীন স্বামীর নানান ঝামেলা , ঝঞ্ঝাট সহ্য করে কোন রকমে বেঁচে আছে এ পর্যন্তই।
সরকারি কিংবা বেসরকারি যেকোনো ধরনের আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন ঐ পরিবারটির, নয়তো ওই পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে ই হারিয়ে যাবে একটি ছোট্ট মেয়ের ভবিষ্যৎ।
বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের সাঁপুড়া গ্রামের বাসিন্দা মানসিক ভারসাম্যহীন সুশান্ত মাল, ভাদু মাল তার হতভাগ্য স্ত্রী আর এই দম্পতির ১২ বছরের ভাগ্যহীনা মেয়ে তনু মাল, যে এক বুক আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে আগামীর দিকে।
বাঁকুড়া থেকে আব্দুল হাই এর প্রতিবেদন