রাজপথে মালা বদল করে দরিদ্র মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ দম্পতি’র।

0
366

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার ও সিংহদূয়ার নামে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ক্যানিং ষ্টেশন। সেই ক্যানিং ষ্টেশন চত্বরে আচমকা এক দম্পতি কে ‘মালা বদল’ করতে দেখা গেল। এমনই দৃশ্য উপভোগ করতে হাজার হাজার মানুষ ভীড় জমায়। কেন এমন মালাবদল?এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই জানা গেল বারুইপুর আমতলার বাসিন্দা অলোক মন্ডল। পেশায় তিনি ভারতীয় রেলে কর্মরত। গত ২০০৫ সালে কলেজে পড়াশোনা করাকালীন প্রেম ভালোবাস গড়ে ওঠে কলকাতার বেহালার ঠাকুরপুকুর এলাকার সিল্কার সাথে।এরপর কলেজ জীবন শেষ হলেও শেষ হয়ে যায়নি অমর প্রেম ভালোবাসা।২০১৭ সালেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। বর্তমানে দম্পতির এক বছর তিনেকের কন্যা সন্তান রয়েছে।বিবাহের পর থেকে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে দরিদ্র মানুষের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। প্রথমে অনেকেই হাসিঠাট্টা করলেও দম্পতি কোন ভাবেই সেইসব কথাবার্তা আমল না দিয়েই তাঁরা তাঁদের কাজ করে যেতে থাকেন।গত বছর দম্পতি তাঁদের বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে এলাকার প্রায় চল্লিশজন অসহায় দম্পতির হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়ে বিবাহ বার্ষিকী পালন করেন। শুধু এলাকায় তাঁর এমন কর্মযঞ্জ সীমাবদ্ধ রাখতে রাজী নন।আর সেই কারণেই শনিবার সকালেই ক্যানিং ষ্টেশনে হাজীর হয় দম্পতি।সেখানে নিউটন সরকার,অসিত নস্কর,রাজীব নস্কর,বিষ্ণুপদ নস্কর,রাজা মিস্ত্রীদের সহযোগিতায় ক্যানিং,তালদি ষ্টেশন এলাকায় আশ্রয় নেওয়া প্রায় পঞ্চাশজন অসহায় মানুষের হাতে বিরিয়ানী ও মিষ্টি তুলে দেয় ওই দম্পতি।
দম্পতি জানিয়েছেন ‘বাড়িতে অনুষ্ঠান করলে যে আনন্দ হয়,তার থেকে রাজপথের ফুটপাথে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে পঞ্চম বিবাহ বার্ষিকী পালন এক অন্য অনুভুতি। আগামী দিনে আরো বেশি সংখ্যক দরিদ্র মানুষকে সাথে নিয়ে বিবাহ বার্ষিকী পালন করতে চাই।’
এদিন আচমকা খাবার পেয়ে অসহায় মানুষজন ওই দম্পতিকে দুহাত দিয়ে আশীর্বাদ করেছেন।