আর দু বছরের মধ্যে ভিন রাজ্য থেকে আর আলু বীজ আনতে হবে না বাংলাকে জানালেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী।

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর:- এতদিন ধরে হিমাচল প্রদেশ , হরিয়ানা , পাঞ্জাব থেকে আলু বীজ এনে সেই বীজ চাষ করতেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা , চন্দ্রকোনা , শালবনি , গোয়ালতোড় কেশপুর , হুগলির আরামবাগ , খানাকুল , গোঘাটের কৃষকরা।
কোটি কোটি টাকার সেই বীজ কিনেও অনেক সময় লাভের মুখ দেখতেন না বাংলার কৃষকরা।
অভিযোগ উঠেছে ঠিক ঠাক বীজ দেখে না কিনতে পারলে ভেজাল বীজ কিনে ক্ষতির মুখে পড়েন কৃষকরা।
এর থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায় এজন্য ২০১২ সাল থেকেই গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন এ রাজ্যের কৃষি বিজ্ঞানীরা। ফল মিলেছে।
গড়ে তোলা হয়েছে বীজ উৎপাদন কেন্দ্র।
মঙ্গলবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরের আনন্দপুরে কৃষি ভবনের জমিতে গড়ে তোলা সেই বীজ উৎপাদন কেন্দ্র ঘুরে দেখলেন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চ্যাটার্জি।
কৃষি আধিকারিক , কৃষি বিজ্ঞানী দের নিয়ে তিনি আলু বীজের পরীক্ষা মূলক উৎপাদন ঘুরে দেখেন। কথা বলেন সেখানকার কর্মীদের সঙ্গে।
সন্ধ্যায় ফিরে এসে মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে কৃষি আধিকারিক ও জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান ,
ফি বছর হরিয়ানা , পাঞ্জাব , সিমলা থেকে ৩ লক্ষ মেট্রিক টন আলু বীজ আমদানি করা হয়।
আগে ধান বীজ আমদানি করা হত। এখন বাংলা ৫ থেকে ৬ টি রাজ্যে ধান বীজ রপ্তানি করে।
মন্ত্রী জানান , ২০২১ সাল থেকে টিস্যু কালচার করে এখানকার উৎপাদিত আলু বীজ দিয়ে চাষ শুরু হয়েছে পরীক্ষা মূলক ভাবে। ২০২৪ সালের মধ্যে আর ভিন রাজ্য থেকে আলু বীজ আনতে হবে না।
আলুর পাশাপাশি ভুট্টার বীজ উৎপাদন করা হচ্ছে।
তিনি জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কৃষি ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়েছেন। তাই বাংলা শস্য বীমার আওতায় থাকা কৃষকরা এখনো পর্যন্ত ১১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন।
বাংলার কৃষকরা এখন ভালো আছেন । ফসল নষ্ট হলে শস্য বীমার টাকা পাচ্ছেন । কৃষক বন্ধুর টাকা কৃষকদের ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *