আলিপুরদুয়ার, নিজস্ব সংবাদদাতা:- একসময় শখের বশে শুরু করেছিলেন ছোটখাটো প্রতিমা তৈরির কাজ। কিন্তু সেই হাতের কাজই যে একদিন সংসার চালানোর কাজে সাহায্যে আসবে তা হয়তো ভাবতে পারেননি চয়ন বড়ুয়া। প্রায় তিন বছর ধরে প্রতিমা তৈরি করে মৃৎশিল্পী হিসাবে আজ অনেকটাই পরিচিত তিনি। ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর বাজার এলাকায় বাড়ি বছর একুশের চয়ন বড়ুয়ার। বর্তমানে তিনি সরস্বতী প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যাস্ত। প্রতিমার কাঠামো তৈরি থেকে মাটির কাজ, রং সমস্তটাই করেন নিজের হাতে। এদিন তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল এক মনে কাজ করে চলেছেন তিনি। এখন চলছে প্রতিমার মাটির প্রলেপ দেওয়ার কাজ। চয়ন বড়ুয়া জানান, “এবছর ৩০ টি সরস্বতী প্রতিমার বানাচ্ছেন তিনি। ছোট বেলা থেকে প্রতিমা তৈরির শখ ছিল তার। সেদিনের সেই নেশা আজ বদলে গিয়েছে পেশায়। তিন বছর ধরে প্রতিমা বানিয়ে চলেছেন তিনি। তবে বর্তমানে জিনিসপত্রের দাম যে হারে বেড়েছে সেই তুলনায় দাম বাড়েনি প্রতিমার।” জানা গিয়েছে, প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে হাত লাগান প্রতিমা তৈরির কাজে। দুপুরবেলায় ভাত খেয়ে আবার শুরু হয় কাজ। তবে এখন শুধুমাত্র চয়ন সরস্বতী প্রতিমা বানায় আগামী দিনে বড় বড় দুর্গা প্রতিমা তৈরির ইচ্ছা রয়েছে বলেন জানান তিনি। এদিকে চয়নের মা অর্চনা বড়ুয়া সরকার জানান, ‘চয়নের এই প্রতিভাকে সমস্ত রকম ভাবেই সহযোগিতা করেন তাঁরা। ছেলে এমন কাজে খুবই খুশি তিনি।’ এদিন চয়নের প্রতিবেশী মামপি সাহা বলেন, ” চয়ন সত্যিই আমাদের চমকে দিয়েছে। আমরা জানতাম ও ছেলেবেলা থেকেই মাটির কাজে ভীষণ দক্ষ। তার প্রপিতামহের কাছে সে প্রতিমা তৈরির কাজ শেখে। কিন্তু এভাবে যে সরস্বতী প্রতিমা তৈরি করে ফেলবে তা ভাবতেই পারছি না, সত্যি আমরা খুব খুশি।” কেবল ভালো কিছু করার অদম্য ইচ্ছাশক্তি দিয়েই নজির গড়ছেন ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর বাজার এলাকার চয়ন বড়ুয়া তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
Home উত্তর বাংলা আলিপুরদুয়ার একসময় শখের বশে শুরু করেছিলেন ছোটখাটো প্রতিমা তৈরির কাজ, কিন্তু সেই হাতের...