আগামী পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে এখন থেকে তৈরি হওয়ার চেষ্টা বিজেপির,খড়্গপুরের বড়কলাতে কর্মীদের নিয়ে বনভোজনে দিলীপ ঘোষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুর:- এবার বনভোজনে দিলীপ ঘোষ।খোশমেজাজে মাছধরা একসঙ্গে বসে পাত পেড়ে খাওয়া এবং কর্মীদের নিয়ে  সাংগঠনিক আলোচনা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের।পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর গ্রামীণ এলাকায় বড়কলা গ্রামে কর্মীদের আয়োজনে বনভোজনে উপস্থিত দিলিপ ঘোষ।
সামনেই নির্বাচন রয়েছে।নির্বাচন প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে  কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ।তিনি বলেন-“যে ভোটার সে ভোট দিতে পারছেন না।বাইকের লোক এসে ভোট দিয়ে দিচ্ছে।দু বছর তিন বছর ধরে মিউনিসিপ্যালিটি বা করপোরেশনের ভোট হচ্ছে না, ফেলা রাখা হচ্ছে।মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকার কে ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে।”
বর্তমানে সরকারি টাকায় উন্নয়ন  করতে দেওয়া হচ্ছে না।সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন-” বিরোধীদেরকে কোনো সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়নি এখানে।বিরোধী দল থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি এমএলএ, এমপিদের  উন্নয়নের টাকায় কাজ করতে দেওয়া হয়না।আটকে রাখা হয়।কি করে বলবে এখানে গনতন্ত্র ঠিক আছে।”
রাজ্যে নির্বাচন হয় হিংসার আশ্রয় নিয়ে, এমনি অভিযোগ তুলে দিলিপ বলেনরাজনৈতিক বিভাজন হয় হিংসার আশ্রয়  -” নির্বাচনে হিংসা হয়।পুলিশ বা কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন হয় না।আর সংবিধানে রীতিনীতিকে একদিকে রেখে দিয়ে এখানে রাজত্ব চলে শাসন চলে।আর শাসনের জায়গার রাজনীতি বেশি হয়।
ভারতবর্ষ বিশ্বের মধ্যে অন্যতম গণতান্ত্রিক দেশ।বিশালসংখ্যক মানুষ এখানে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।কিন্তু তাঁকে কোনো একটি পার্টি সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।যেটা আমাদের গণতন্ত্রের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করছে।”
পাশাপাশি রাজ্যপাল স্পিকারের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন দিলিপ ঘোষ।তিনি বলেন-”  রাজ্যপাল যখন স্পিকারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন তখন  স্পিকার বিধানসভা ছেড়ে চলে যান।কোন তথ্য রাজ্যপাল কে দেন না।এটাও প্রশাসনিক ভাবে স্পিকারের শোভা দেয়না।”
বিজেপি দলের মতে বার্সা বিদ্রোহ কিংবা পথ না পাওয়াতে একে অপরের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।সে প্রসঙ্গে সর্বভারতীয় সহ সভাপতির মত-“দলের মধ্যে অনেকের ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকতে পারে।সে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যও আছে।
দলের মধ্যে কোন সমস্যা তৈরী হল, তা ভাবার জন্য বিশেষ কমিটি আছে।কমিটি যা রিপোর্ট দেন সভাপতি তা ব্যবস্থা নেন।
দলের মধ্যে থেকে দলের বাইরে কেউ নয়।দলের নিয়মের বাইরেও কেউ নয়।বিজেপি দলে গণতন্ত্র আছে এবং বিভিন্ন স্তর আছে অভিযোগ জানানোর।যাঁরা জানেন না তাঁদের জেনে নেওয়া উচিত।যারা মনে করছে এটা যথেষ্ট নয় তাদেরকে সিস্টেমটা বুঝে নেওয়া উচিত।”সাংসদ শান্তনু ঠাকুর সহ একাধিক বিজেপি নেতা  বনভোজনের আয়োজন করেছিল।দিলীপ ঘোষের এদিনের বনভোজনে যোগদান অনেক রাজনৈতিক তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে  রাজনৈতিক মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *