মৃত নিবাস রায়-এর পরিবারের সদস্য-সদস্যাদের সাথে সাক্ষাৎ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

0
323

দক্ষিণ দিনাজপুরঃ দোমুঠা গ্রামে মৃত নিবাস রায়-এর পরিবারের সদস্য-সদস্যাদের সাথে সাক্ষাৎ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। শুক্রবার সুকান্ত মজুমদার দোমুঠা গ্রামে গিয়ে মৃত যুবক নিবাস রায়-এর পরিবারের সদস্য-সদস্যাদের সাথে কথা বলেন। পাশাপাশি এদিন তিনি দোমুঠা এলাকার পরিবারের সাথেও কথা বলেন। এদিন মৃত নিবাস রায়-এর পরিবারের সাথে দেখা করে সংবাদমাধ্যমের সামনে বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন নিবাস রায়-কে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, নিবাস রায়-এর বাবার এফ.আই.আর নেয়নি পুলিশ। পাশাপাশি তার অভিযোগ দোমুঠা গ্রামের একাধিক বাড়িতে হামলা হয়, বাড়িঘর ভাঙচুর, সোনার গহনা লুঠপাঠ সহ মহিলাদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করার মতন ঘটনা ঘটেছে। সুকান্ত মজুমদার বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন সম্পূর্ণ ভাবে পুলিশের প্রত্যক্ষ মদতে এই ঘটনা ঘটেছে। শুধু তাই নয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সংসদে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রস্তাব আনতে চলা প্রসঙ্গে বলেন
তৃণমূল কংগ্রেস ভারতবর্ষ থেকে বাংলাকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে এরকম অনেক ধরনের পদক্ষেপ নেবে, রাজ্যপালকেও মানবে না, কিছুদিন পরে বলবে রাস্ট্রপতিকেও মানব না, কিছুদিন পরে বলবে প্রধানমন্ত্রীকে মানি না। বিজেপির রাজ্য সভাপতির পাশাপাশি মৃত যুবক নিবাস রায়-এর বাবা গোবরধন রায়-ও এদিন ফের দাবী করেন তার ছেলে বিজেপি কর্মী ছিলেন এবং তিনি অভিযোগ করে বলেন পুলিশ তার এফ.আই.আর নেয়নি। নিবাস রায়-এর বৌদি তার দেওয়ড়ের মৃত্যুর বিচার প্রদানের দাবী তোলেন এদিন। এদিন দোমুঠা গ্রামে নিবাস রায়-এর পরিবারের সাথে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-এর সাক্ষাৎ পূর্ব সময় থেকে দোমুঠা গ্রামে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়ন ছিল। অপরদিকে নিবাস রায়-এর মৃত্যু এবং মৃত্যু পরবর্তী সময়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে এফ.আই.আর না নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে পুলিশের প্রতিক্রিয়া জানতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার রাহুল দে-এর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও উনি খবর লেখার সময় অবধি ফোন না ধরায় এই বিষয়ে পুলিশের বক্তব্য জানা যায়নি। প্রসঙ্গত উল্লেখ যে গত ২৫শে জানুয়ারি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার দোমুঠা এলাকা থেকে উদ্ধার হয় মঞ্জিরুল হোসেন নামের এক যুবকের মৃতদেহ। অভিযোগ উঠে মঞ্জিরুল হোসেন নামের ঐ যুবককে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। যার পরে ২৬শে জানুয়ারি দোমুঠা গ্রাম থেকে মঞ্জিরুল হোসেন খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত নিবাস রায়-এর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এরপরেই চাঞ্চল্য দেখা দেয় দোমুঠা এলাকায় এবং মৃত নিবাস রায় বিজেপি কর্মী ছিলেন বলে সুর চড়াতে শুরু করে বিজেপি নেতৃত্ব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here