ঝিঙে পটল (ধারাবাহিক, সপ্তদশ পর্ব) : দিলীপ রায় (+৯১ ৯৪৩৩৪৬২৮৫৪)।

0
380

হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল করতে না পারলেও ফার্স্ট ডিভিশন রাখতে পারলো ঝিঙে । বোনের রেজাল্টে পটল উচ্ছ্বসিত । তার একমাত্র বোন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে পাশ করেছে । এটা তার কাছে ভীষণ গৌরবের । বোনের পাশের খবরে পটল যারপরনাই আনন্দিত । খুশীতে বোনকে বলল, “আজ তুই যেটা খেতে চাইবি সেটাই খাওয়াবো । কী খাবি ?”
ঝিঙের খাওয়ার প্রতি আগের মতো ঝোঁক নেই । পটলের উপলব্ধি, তার বোন অনেক বড় হয়ে গেছে । কেমন যেন ভারিক্কি মানুষ হয়ে গেছে । আগের মতো আর নেই । এখন অনেকটাই “দিদি, দিদি” ভাব । কিন্তু পটলের প্রতি ঝিঙের শাসন আগের মতো অব্যাহত । সেখানে কোনো শীথিলতা নেই । খাওয়া-দাওয়ায় কোনো হেরফের ঘটলে ঝিঙের চোখ গরম অবর্ণনীয় । পটলের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিচ্ছদের উপর ঝিঙের শ্যেন দৃষ্টি । মুখ থেকে কোনোরকম বেফাঁস কথা বেরিয়ে গেলে আর রক্ষা নেই । তার জন্য দরকার হলে সারা রাত্রি ঝিঙের জ্ঞান শুনতে হবে । সেখানে মায়ের মতো শাসন । বোনের কাছে বকা খেলে পটলের তাতে আপশোশ নেই । বরং খুব ভাল লাগে । বোনের মনটা ভীষণ সরল ও স্বাভাবিক !
“দাদা, আমার খাওয়ার ইচ্ছা নেই ।“ ঝিঙে খুব বেজার মুখে কথাটা বলল ।
“তা বললে হবে না । তুই জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় পাশ করেছিস । আমার ইচ্ছা, তোকে একটা ভাল রেস্টুরেন্টে খাওয়াই । নিদেন পক্ষে শক্তিপুরের ভাওয়ালের জল-খাবারের দোকানে খাওয়া যাক ।“ বলেই পটল ঝিঙের দিকে তাকিয়ে রইলো ।
ঝিঙের নীরবতা অবলোকন করে পটল বরং জোর দিলো, “তুই রেডি হয়ে আয় । আমি বরং দোকানের খরিদ্দার সামলাই । তারপর দুইজনে শক্তিপুরে যাবো । সেখানে তোর প্রিয় চিকেনের কাবাব খাবো ।“
কাবাবের কথা শুনে ঝিঙে নড়েচড়ে বসলো । চিকেন কাবাব তার ভীষণ প্রিয় । এতদিন দাদার সামর্থে কুলাতো না, চিকেন কাবাব কিনে দেওয়ার । ইদানীং দাদার ব্যবসা খুব ভাল চলছে । তাতে তার সামর্থের জায়গাটা অনেকটা পোক্ত হয়েছে । সেই জন্য তার মন নিমেষেই দোকানে খেতে যাওয়ার জন্য উৎফুল্ল হয়ে উঠলো ।
“ভাওয়াল কাকা, আমাদের ভাই বোনকে চিকেন কাবাব দুই প্লেট এবং একপ্লেট ফিশ ফিংগার দাও । সঙ্গে মিক্সড চাউমিন ।“ খাবারের অর্ডার দিলো পটল ।
টেবিলে খাবার পরিবেশন করলো ভাওয়াল কাকা নিজে । পটলের দিকে তাকিয়ে বলল, “দোকানের ছেলেটা দুদিন কাজে আসছে না । তার নাকি জ্বর হয়েছে । তোমরা খাও । কিছু লাগলে জানাবে ।“
সবে পটল খাবার মুখে দিয়েছে । এমন সময় দুটো অল্প বয়সী ছোকরা তাদের টেবিলের কাছে এসে ঝিঙেকে ইঙ্গিত করে বলল, “এই মেয়েটাকে তুলে নিয়ে দুস্কৃতিরা পালিয়ে গিয়েছিলো । তারপর তাকে অনেক দূরে এক অজ্ঞাত ফাঁকা জায়গায় ছেড়ে দিয়ে পালিয়েছিলো ।“ বলেই তাদের মুখে বিশ্রি হাসি ।
পটল রাগে ফুঁসছে । উঠে দাঁড়ালো । পটলের সব কিছু মানিয়ে নিতে পারে, কিন্তু বোনের অপমান সহ্য করতে পারে না । ভাওয়াল কাকাকে ডাকলো । তাকে জিজ্ঞাসা করলো, “ছোকরা দুটি কোথাকার ?”
আমিও তাদের চিনি না । সম্ভবত দোকানে খাওয়ার জন্য ঢুকেছে ।
ওদের বলো, “ওরা যেনো অবান্তর কথাবার্তা না বলে । তা না হলে আমি দুটোকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে দোকান থেকে বের করে দেবো ।“
ছোকরা দুটো পটলের মেজাজ দেখে তৎক্ষণাত সেখান থেকে পালিয়ে উধাও !
ঝিঙে দাদাকে থামাতে চেষ্টা করছে । কিন্তু পটল কিছুতেই থামতে চাইছে না । অগত্যা ছেলে দুটি পালাবার পর পটলের রাগ কিছুটা প্রশমিত হল । তখনও রাগে পটল ফিসফিসিয়ে আউরে যাচ্ছে, “আমার বোনের সম্বন্ধে বেফাঁস কথাবার্তা ! তারা জানে না, ঝিঙে পটলের বোন !”
তারপর ঝিঙে ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে সালার কলেজে ভর্তি হল । সালার কলেজে ট্রেনে যাতায়াত । যাতায়াতের সময়ে ঝিঙে উপলব্ধি করতে পারছে, তার একজন ছেলে বন্ধু দরকার ! কেননা ট্রেনের কামরায় উঠলেই ট্রেনের কিছু যাত্রী তার দিকে বিশ্রিভাবে তাকায় । কয়েকজন বেশী উৎসাহিত হয়ে আবোলতাবোল ইঙ্গিত করে । চোখের চাহনীর রকমভেদ আলাদা । যথেষ্ট ন্যক্কারজনক ইঙ্গিত । তা ছাড়া কলেজে এখনও কেউ জানে না, তাকে আগন্তুকেরা তুলে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলো । যদি কোনো কারণে কলেজের বন্ধু-বান্ধবীরা ঘটনাটা জানতে পারে, তাহলে একটা তুলকালাম হবার আশঙ্কা । ছেলে বন্ধু সঙ্গে থাকলে অন্তত এইসব ঝক্কি ঝামেলা অনেক কম হবে ।
চৌরিগাছা থেকে ট্রেনে ওঠে রূপক । ঝিঙের এক বছরের সিনিয়র । রূপকও সালার কলেজে পড়ে । রূপক অনেক চেষ্টা করেছে তার সঙ্গে ভাব জমাবার । কিন্তু সেটা ঝিঙের নীরবতার জন্য সম্ভব হয়নি । ছেলেটিকে দেখলে অবস্থাপন্ন ঘরের মনে হয় । কথাবার্তায় চৌকশ । চেহারায় স্মার্ট । অনেক ভেবেচিন্তে ঝিঙে মনে করলো, সে রূপকের সঙ্গে কলেজে যাতায়াতের পথে মেলামেশা করবে । আবার ভাবছে, রূপকের মতো বড়লোকের ছেলে তার সাথে মিশবে কিনা ?
ঝিঙের এইসব ভাবনার মধ্যে আশ্চর্যের ব্যাপার, পরেরদিন বাজারসৌ স্টেশনে ট্রেন থেকে প্লাটফর্মে নেমে রূপক ঝিঙেকে খুঁজছে । অন্যদিকে ঝিঙে তড়িঘড়ি ট্রেন ধরার জন্য ছুটছে । প্লাটফর্মে উঠেই সামনের ট্রেনের কামরায় উঠে পড়লো । ট্রেন ছেড়ে দিলো । ঠিক খেয়াল রেখেছে রূপক । যার জন্য পরের স্টেশন, টেঁয়ায় নেমে সোজা ঝিঙের কামরায় । ঝিঙের পাশে ফাঁকা সিটটায় বসে পড়লো । অথচ ঝিঙে টের পেলো না । তার তখন জানালা দিয়ে বাইরের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে গভীর মনোনিবেশ ।
সালার স্টেশনে ঢোকার আগে ঝিঙে উঠে দাঁড়ালো । রূপককে দেখতে পেয়ে এক পলক খানিকক্ষণ রূপকের দিকে তাকিয়ে রইলো । রূপককে দেখে ঝিঙে মনে মনে ভাবছে “মেঘ না চাইতেই জল ।“ কী সৌভাগ্য তার ! রূপকের দিকে তাকিয়ে ঝিঙে তার শরীর ঝাঁকিয়ে একটা হাসি দিলো । তারপর রূপককে জিজ্ঞাসা করলো, “কতক্ষণ ?”
রূপক গভীর নিঃশ্বাস ফেলে ঝিঙেকে উত্তরে বলল, “তবুও তুমি আমাকে দেখতে পেয়েছো ।“
“ও মা, সে কী ! দৌড়ে ট্রেন ধরার জন্য হাঁপিয়ে গিয়েছিলাম । তাই চুপচাপ জানালার বাইরে তাকিয়েছিলাম । আমি তো টের পাইনি মশাই । তবে আপনার প্রতি আমার অভিযোগ আছে ?” ঝিঙে মুচকী হেসে কথাগুলি বলল ।
“অভিযোগ !” রূপক অবাক বিস্ময়ে শব্দটি উচ্চারণ করলো ।
হ্যাঁ মশাই । আপনি একটিবারের জন্য আমাকে ডাকতে পারলেন না !
আপনি ধ্যানে ছিলেন । তাই তোমার ধ্যান ভাঙিনি ।
ট্রেন প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে গেছে । এবার দয়া করে সিট থেকে উঠুন । সালার স্টেশনে নামতে হবে । তারপর কলেজ !
রূপক উঠে দাঁড়িয়ে এগিয়ে যাওয়ার পর পেছনে পেছনে ঝিঙে ট্রেনের কামরা থেকে নামলো । তারপর দুজনে একসঙ্গে রাস্তা দিয়ে পাশাপাশি হাঁটছে । ঝিঙের মুখে কোনো কথা নেই । রূপক মনের সুখে ঝিঙের সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছে । সে তখন কথা বলতে সাবলীল । কলেজে ক্লাস শুরু হতে তখনও আধা ঘন্টা দেরি । তাই রূপক ঝিঙেকে প্রস্তাব দিলো, “চলো, লিয়ামত মিঞার চায়ের দোকানে এক কাপ চা খাওয়া যাক ।“
ঝিঙে আবার শরীর ঝাঁকিয়ে উত্তরে বলল, “আমার কোনো আপত্তি নেই ।“
চা খেতে খেতে দু-একটা কথা । রূপক নিজেই বলল, “আমি অনেক দিন থেকেই তোমার সাথে কথা বলার জন্য চেষ্টা করছি । কিন্তু এত কাছ থেকে তোমাকে কোনোদিন পাইনি । তবুও ধৈর্য্য হারাইনি । আমি জানি, তুমি আমার ডাকে সাড়া দেবেই ।“
“এবার নিশ্চয় শান্তি !” বলেই ঝিঙের মুখে আবার মুচকী হাসি !
তারপর দুজনের মধ্যে কিছুক্ষণ চুপচাপ । চা খাওয়ার পর নীরবতা ভেঙ্গে ঝিঙে রূপককে বলল, “চলুন, এবার যাওয়া যাক ।“
কলেজে পৌঁছে দুজনে যার যার ক্লাসে ঢুকে পড়লো । তারপর…দিন যায় রাত আসে । সময়ের সাথে সাথে রূপক ও ঝিঙের মধ্যে একটা গভীর সম্পর্ক তৈরী হল । তবে ঝিঙের অনুমান সত্যি ! রূপকের সাথে মেলামেশার জন্যে অহেতুক ঝুটঝামেলার মধ্যে পড়তে হল না । আর তা ছাড়া রূপককে অবান্তর কথা শোনাবার সাহস কলেজে কোনো ছেলেমেয়ের নেই । কেননা রূপক ডানপিটে, তার ভয়ডর কম সেটা সবাই জানে ।
অনেকদিন কেটে গেলো । পটল বোনের দৈনন্দিন পরিবর্তন লক্ষ করে বিস্মিত ! বোনের ইদানীং সাজগোজের উপর আগ্রহ তুঙ্গে । কলেজে কোনোদিন কামাই নেই । ঝিঙের মধ্যে বিষণ্ণতার বালাই নেই । সব সময় তরতাজা । পটল চেয়েছিলো বোনটার এইরূপ একটা অবস্থান, যেখানে থাকবে বোনের হাসিখুশী জীবন । তাই বোনের আচরণ, চালচলন দেখে পটল ভীষণ উৎফুল্ল । অন্যদিকে পটলের ব্যবসার পরিস্থিতি অনেক রমরমা । সকালে দোকান খুললে সারাদিন খরিদ্দার সামাল দেওয়া পটলের একার পক্ষে ঝক্কির হয়ে উঠছে । নাওয়া খাওয়ার সময় পাওয়া তার পক্ষে দুস্কর । যদিও ঝিঙে কলেজে যাওয়ার আগে যতটা পারে দাদাকে সহযোগিতা করে । তারপর তার রান্না-বান্নার কাজ থাকে । দুজনের রান্না করে নিজে খেয়ে তারপর দাদার জন্য গুছিয়ে রেখে কলেজে যাওয়ার ট্রেন ধরে । তাই মাঝে মাঝে তাকে ছুটে গিয়ে ট্রেনে উঠতে হয় । ছুটে ট্রেন ধরার জন্য ইদানীং রূপকের কাছে মৃদুমন্দ বকা খায় ।
সেদিন বুধবার । বর্ষাকাল । রথের পুজার দিন । রূপক ঝিঙের হাত টেনে ধরলো । রাস্তার উপরে হাত টেনে ধরার জন্য ঝিঙের আস্ফালন ! “কী হচ্ছে রূপক ?” অবাক দৃষ্টিতে রূপকের দিকে তাকিয়ে রইলো উত্তর শোনার জন্য ।
হাত ছেড়ে দিয়েই রূপক বলল, “সরি !”
“ইট্‌স ওকে ! কী বলতে চাইছিলে, ঝটপট বলে ফেলো ?”
“আজ আমার জন্মদিন । জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তোমার উপস্থিতি চাই । আর একটা কথা, তুমি অনুষ্ঠানে না এলে আমি কিছুতেই কেক কাটবো না ।“ রূপক ঝিঙেকে আমন্ত্রণ জানালো ।
মহা সমস্যায় ফেললেন রূপকদা ! রাত্রিতে কোথাও যাওয়া আমার বারণ । দাদা কিছুতেই আমাকে ছাড়তে চায় না । আপনার মত থাকলে, দিনের বেলায় দেখা করে বাড়ি ফিরবো ।
উঁহু ! দরকার হলে আমি তোমাকে মোটর বাইকে বাড়ি পৌঁছে দেবো ।
ঠিক আছে । আগে বাড়িতে দাদার সঙ্গে কথা বলি ।
আশ্চর্য ! তুমি সব কথায় “দাদা, দাদা” করো কেন ? তুমি তোমার মাকে জানাবে । মা রাজি থাকলে দাদা কিছুতেই অমত করতে পারবে না ।
এতদিন ঘুণাক্ষরেও ঝিঙে তার বাড়ির খবর রূপককে বলেনি । পেছনে একটাই ভয়, সব শুনে রূপক যদি ভুল বোঝে । রূপকের মুখে মায়ের কথা শুনে ঝিঙের চোখে জল ।
রূপক ঝিঙের দিকে তাকিয়ে দেখে, সে কাঁদছে ! তাই রূপক স্বাভাবিক ভঙ্গিতে ঝিঙেকে বলল, “তোমার চোখে জল কেন ?”
“সেটা তুমি বুঝবে না । একদিন তোমাকে সব কথা খুলে বলবো । শুধুমাত্র এটাই জেনে রাখো, আমার দাদাই সব । মা-বাবা-অভিভাবক, সব কিছু । দাদা ছাড়া আমার জীবন অচল !” বলেই ঝিঙে অন্যত্র ছুটে একরকম পালিয়ে গেলো ।
রথের দিন বৃষ্টি হচ্ছে । তবে খুব জোরে নয় । ঝিরঝির করে বৃষ্টি পড়ছে । হাতে একটি ফুলের তোড়া ও ছোট্ট একটি উপহার । ট্রেনে চৌরীগাছা স্টেশন । স্টেশনে নেমে পায়ে হেঁটে পাঁচ মিনিটের পথ । কিন্তু বৃষ্টির জন্য রিক্সায় উঠলো ঝিঙে । তখনও সন্ধ্যার কালো অন্ধকার ঘনীভূত হয়নি । স্টেশন চত্বরে রূপকদের পরিবারে নামডাক । তাই বাড়ি খুঁজে পেতে অসুবিধা হল না । তবে রিক্সায় ওঠার সময় কাছাকাছি দাঁড়িয়ে থাকা কালো ষণ্ডা গোছের লোকটার চাহনী তাকে ভাবিয়ে তুললো । ঝিঙে নিশ্চিত, লোকটার ধান্দা খারাপ ! রিক্সার পেছনে পেছনে অনেকটা পথ ফলো করলো । তারপর কোথায় যেনো মিলিয়ে গেলো । ষণ্ডা গোছের লোকটার সন্দেহজনক চাহনী ঝিঙেকে উতলা করে তুললো ।
বাড়ির গেটে পৌঁছানো মাত্র রূপকের আবির্ভাব । সেখানে সালার কলেজের অনেক পরিচিত মুখ । হৈচৈ গল্প গুজব সমানে চলছে । ঝিঙে যাওয়ার সাথে সাথে খাওয়ার প্লেট হাজির । এতক্ষণ নাকি ঝিঙের জন্য সকলে অপেক্ষা ছিলো । খাওয়ার প্লেটে ফিস ফ্রাই, চিকেন তন্দুরি ও চিকেন মোমো । তারপর কফি খাওয়ার পর্ব । ঠিক রাত্রি সাতটার সময় কেক কাটার মুহুর্ত । কেক কাটার সময় ঝিঙেকে ডেকে রূপক তার পাশে দাঁড় করালো । মিউজিক বেজে উঠলো, “হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ ।“
খাওয়া দাওয়া শেষ হতে রাত্রি দশটা । রূপকের সব বন্ধু-বান্ধবীরা চলে যাওয়ার পর রূপক ঝিঙেকে বাইকে চাপিয়ে বাইক স্টার্ট দিলো !
ঝিঙের নিষেধ অমান্য করে রূপক খুব জোরে ছোটাচ্ছে বাইক ! তখনও ঝিরঝির করে বৃষ্টি অনবরত । ভিজে যাচ্ছে ঝিঙে । যদিও রেনকোট গায়ে পরা । তবুও হাওয়ায় বৃষ্টিতে ভিজছে ঝিঙে ! তারপর হঠাৎ পেছন দিকে তাকিয়ে দেখে, “চার-পাঁচটি মোটর সাইকেল তাদের ধাওয়া করছে । সর্বনাশ !”
 ( চলবে )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here