আদালতের নির্দেশে ভাঙা হল বেআইনি ইটভাটা।

0
334

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে গজিয়ে উঠেছে একের পর এক বেআইনি ইটভাটা।এবং প্রতিদিনই সংখ্যাটা বেড়েই চলেছে। অধিকাংশ ইটভাটা চলছে বেআইনি ভাবে। আর তাতে করে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষিত হচ্ছে,অপর দিকে আবার সুন্দরবনের ও প্রাকৃতিক সৌন্দ্যর্য নষ্ট হচ্ছে।
প্রত্যন্ত সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের বাসন্তী পঞ্চায়েতের অন্তর্গত হোগল নদীর তীরবর্তী পুরন্দর সংলগ্ন মুড়োখালি এলাকায় প্রায় ৩৫ বিঘা জমির উপর গড়ে উঠেছিল একটি ইটভাট। ইটভাটার নাম এমবিএফ।ভাটাটির মালিকানায় রয়েছেন জনৈক গোলাম রসুল সহ আরো তিন চারজন।ভাটাটি দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর ধরে চলছিল।
বেআইনি ভাবে ভাটা চলায় আদালতে একটি মামলা হয়।সেই মোতাবেক স্থানীয় প্রশাসন কে আদালত নির্দেশ জারী করেন বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য।
বিষয়টি খতিয়ে দেখেন বাসন্তী ব্লক প্রশাসন। ইটভাটা টি যে অবৈধ ভাবে চলছে তা প্রশাসনের তরফে খতিয়ে দেখে আদালত কে জানানো হয়। এবপর আদালত ইটভাটা টি ভেঙে ফেলার জন্য প্রশাসন কে নির্দেশ দেয়।
আদালতের সবুজ সিগন্যাল পেয়েই মাঠে নেমে পড়েন বাসন্তী ব্লক প্রশাসন।বুধবার সকাল থেকে শুরু হয় অবৈধ ইটভাটা ভেঙে ফেলার প্রক্রিয়া।প্রশাসনের উদ্যোগে ইটভাটা ভাঙার জন্য আনা হয় দুটি দমকল ইঞ্জিন ও চারটি বুলডোজার।পাশাপাশি বিশাল পুলিশ ফোর্স। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বাসন্তীর বিডিও সৌগত সাহা,থানার আইসি আব্দুর রব খান সহ প্রশাসনিক আধিকারীক গণ।এদিন সকাল থেকে ইটভাটা ভাঙার কাজ শুরু হয়।
বাসন্তীর বিডিও সৌগত সাহা জানিয়েছেন ‘সরকারী অনুমতি ছাড়াই ইটভাটা চলছিল। ইটভাটার বৈধ কোন কাগজপত্র না থাকায় মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ দেয় ভাটা টি ভেঙে ফেলার জন্য।হাইকোর্টের সেই নির্দেশ পালনের জন্য ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here