এক প্রাচীন মৃৎশিল্পী ও ক্রোমোজোম হেলিক্স : নিমাই জানা।

0
284

লাল রঙের ঊর্ধ্ব স্থিরাঙ্ক কাঁচ গহ্বরের পাশে দাঁড়িয়ে দেখেছি মৃৎশিল্পীর ডানায় প্রজনন অক্ষম আগ্নেয়গিরি বলে আর কিছু নেই

শূণ্য গহ্বরের দিকে আমি অতলান্ত অশ্বারোহী হয়ে গভীর কর্নিয়ার ভেতরে উড়ে যাচ্ছি ,
জোনাকির তৃতীয় লিঙ্গটি চিকন ও পরাবৃত্ত রঙের দোকান , ঈশ্বরী বৈরাগ্য ও সামরঙের পোশাক পরে আছেন , কানে কবচকুণ্ডল
সিক্স এইচ বি পেন্সিলের ধাতব ময়ূরাক্ষী কোষপ্রাচীর গুলো আমাকে আততায়ী ভেবে ডুবিয়ে রেখেছে মহাপ্রলয় সঙ্গম কালের নিচে , প্রতিটি জাহাজ একাই নোঙ্গর করে চলে মহাজগতের ভ্রুণাক্ষময় দক্ষিণ পাড়ে থাকা জীনতত্বের নৈঋত দিকচিহ্নের দিকে মুখ করে ,
অসুখটি আসলে একটি সংখ্যাতত্ত্বের বিচিত্র রকমের পরিমিতি , সব উপসর্গগুলো আছে শুধু কৃষ্ণকায় ক্ষতমুখ খুলে দেওয়ার জন্য

জীবাত্মা অথবা ঐরাবত সাপের দংশন পরবর্তী সন্ধ্যা প্রহরের প্রতিটি গোনাডো ট্রপিক হরমোনের উৎস স্থলে দারুচিনি পাতায় মুড়ে রাখা আছে , বৃত্তাকার অঘোষ বর্ণের কোষগুলি কখনো কখনো জাইলেম হয়ে আমাদের অস্থি সংক্রান্ত অস্টিও আর্থাইটিস আক্রান্ত বালিকটিকে বিছানায় শুইয়ে রাখে হিজল বৃক্ষের মতো
প্রতিটি পক্ষী দল চিবিয়ে খায় মধ্যরাতের আঁশফল অথবা পরবর্তী অক্ষর পুরুষ মানুষদের মিছিল
যৌনাঙ্গহীন অক্ষম হয়ে যাওয়ার পর প্রাণপণে নিধিবনের অভয়ারণ্যে স্নান করে সক্ষম হতে চায় প্রতিটি পুংকেশর ডগা
তাদের কোনো স্তনবৃন্তে কোন মৃত মানুষের মৃত কাপড় টাঙ্গানো থাকেনা রতি মুক্ত পাহাড়ের ভেতর , প্রতিটি নারী সত্ত্বগুণের বৈকুণ্ঠ গলায় ঝুলিয়ে রাখে এই খেয়াঘাটে এলে

এখানে রাধাচূড়ার মহাপরিনির্বাণ ঘটে ছিল সাবিত্রী নামক প্রকৃতি জন্মের পর , আমরা পিশাচের রক্ত কণিকার দ্রাব্যতা মেপে রাখছি গভীর রাতের অন্ধ মূলরোমের কাছে দাঁড়িয়ে ,‌ বনমালী মাঝি একাই শিউলিপুর শরীরকে পারাপার করে চলেন জনার্দন পুরোহিত হয়ে , অশ্বপতি মৃত সত্যবানের পিছনে হেঁটে যাচ্ছেন পৃথিবীর কক্ষপথ ছাড়িয়ে মহা পৃথিবীর দিকে , আলপথের শরীর বড়ই ঠান্ডা শীতল বরফের মতো
উষ্ণতম ২৫ টি নরক কুণ্ডটিকে এখানে সকলেই বিয়োগ চিহ্নের মতো ঝুলিয়ে রেখেছে জিরাফের ঘড়ির পেণ্ডুলাম থেকে

রাজহাঁসটি উদোম হয়ে যাওয়ার পর জ্ঞান পিপাসু হয়ে পড়ল স্বরভঙ্গের সময় , বয়ঃসন্ধির প্রতিটি ঋ আকার পারদ জিভের পাশে আততায়ী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে লাইসোজোমের ১১ অক্ষৌহিণী সেনা
আগুন ক্ষেত্রের কাছে কোন বিষধর মরুদ্যান থাকতে নেই
বুকের ভেতর একটি চাঁদ মুখের সন্ন্যাস আজীবন কুরেকুরে খেয়েছে আমাকে ,
আমি স্থানু অস্ত্রের মতো স্বৈরাচারী বিবেকানন্দ মন্ডল নামক কংক্রিট রঙের শুক্রাণু ভেঙে দেখেছি এখানে কোন উপত্যকায় বিসর্গ চিহ্ন রঙের পুরুষেরা বৈধব্য যাপন করে না কখনো
অ্যাসিটিক মৃৎশিল্পী প্রশ্নচিহ্ন দিয়েই রোপন করেন ঈশ্বরীর নাভিমূল , ইড়া ও পিঙ্গলা মেশানো জীবাশ্ম লজ্জাবস্ত্র দিয়ে ঢেকে দেন শরীর , দেবতাদের যৌনাঙ্গ থাকে না কখনো
ঈশ্বরীর শরীর নিয়ে ক্রমশ বায়বীয় হয়ে যাচ্ছেন ভূমন্ডল ও কৃষ্ণ
সমাকলনের ধ্রুবপদটির কোন লিঙ্গ চিহ্ন নেই

মাইটোসিস শিল্পীর ডান পায়ে লেগে থাকা অযুত নক্ষত্র বিন্দুর অঙ্গিরা পুরুষদের নিয়ে আমি ক্রমশ প্রেমিক ও বাৎসল্য বাঁশিকে অবৈধ হওয়ায় বাজিয়ে চলি
প্রতিটি মন্বন্তর ও প্রলয়কালের সন্ধিক্ষণে আমার রোমকূপের প্রতিটি গোড়ায় খনন করে ফেলেছি অতলান্ত সাগর
আমার জিভের প্রতিটি গভীর কোরক আসলে মায়াচরের নাম এখানে বিবিধ সাপেরা জড়িয়ে ধরে আমার নাভি , আমি হাঁ মুখ দিয়ে বমন সংক্রান্ত সব আঙ্গুল বের করে দাঁড়িয়ে পড়ি সপ্তঋষির কোলের কাছে
তারপর মুখ থেকে এক ভয়ার্ত কালপুরুষ নেমে আসে , আমি যাকে প্রতিদিন কমন্ডুল জলে স্নান করানোর পর বৈধ আত্মা করে ঘরে রাখি
আমার গলায় ঝুলে থাকা কোন বেলকন্ঠী মালার ভেতর , অশ্বত্থামা আমাকেও হত্যা করে চলে গোপন অভিসারে , অথচ আমার বিছানায় থাকা প্রতিটি মানুষ নির্জীব হয়ে শুয়ে থাকে অনন্ত উত্তরের দিকে মাথা রেখে

একদিন ভৌতিক রাতের মৃত মাছ শরীরে উঠে বাবা অজস্র চলন অক্ষম দেওয়ালের সরীসৃপ গুলোর দিকে তাকাতেই ক্রমশ কাল্পনিক হয়ে পড়বেন
নাইট্রিক পাহাড় রহস্য জানার জন্য আমরা সকলে উন্মাদ হয়ে যাবো , বিবিধ ক্রোমোজোমের হেলিক্স গুলো বাম হাত দিয়ে ভেঙ্গে ফেলব তারপর আমাদের ঠোঁট থেকে স্থানাঙ্ক জ্যামিতির ঋণাত্মক ঘরটির অভিমান গজিয়ে উঠবে
প্রাচীন গ্রীক শিল্পের মতো আমরা অনন্ত মৃৎ শিল্পীর ডান টেস্টিসে মিলিয়ে যাব , আমাদের শ্বাসবায়ুর দুটো জ্যামিতিক কোণ আছে
আমি এন্ডোমেট্রিয়াল স্তরে জনন পুরুষ হয়ে বসে আছি

মৃৎশিল্পী মৃত্যু সংক্রান্ত অবনতি এঁকে চলেছেন অবকল ঠোঁটে
আসলে নিজেকেই গোলকধামের একটি নীল ঘোড়া তৈরি করতে চাইছেন, বিষধর হওয়ার পরও যার শরীর পিচ্ছিল থাকে
মদিরা ঘন্টা বাজলে আমাদের প্রাচীন অসুখগুলো সেরে ওঠে