প্রচার শুরু করে দিয়েছেন রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসে কোচবিহার পুরসভার একাধিক প্রার্থীর।

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ একদিকে প্রার্থী বদলের দাবিতে জোড় আন্দোলন অব্যাহত। অন্যদিকে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসে কোচবিহার পুরসভার একাধিক প্রার্থীর। এরমধ্যে কোচবিহার পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের অন্যতম মুখ রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমে গিয়েছেন। গতকাল তাঁর ওয়ার্ড ৮ নম্বরের দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাল মৈত্রী সঙ্ঘ এবং এসিডিসি ক্লাবের মাঠে দুটি খুলি বৈঠক সেরেছেন। আজ প্রচার করেছেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে।
শুধু রবীন্দ্রনাথ ঘোষ নন, প্রচার করতে দেখা গিয়েছে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আমিনা আহমেদ, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের রেবা কুণ্ডু, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের শুভজিত কুণ্ডু(বুবাই) ২০ নম্বর ওয়ার্ডের মোস্তাক আহমেদের হয়ে দেওয়াল লিখতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতা তথা উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থ প্রতিম রায়কেও। এদিন থেকেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন শুরু হয়েছে। চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তৃণমূল কংগ্রেস ও বামেরা প্রার্থী ঘোষণা করে প্রচারে নামলেও এখনও প্রার্থী ঘোষণা করতে পারে নি বিজেপি। ফলে বিজেপি শুরুতেই অনেকটা পিছিয়ে গেল বলে রাজনৈতিক মহলের ধারনা।
অন্যদিকে তৃণমূলের অনেক প্রার্থী আগেভাগে প্রচারে নেমে এগিয়ে গেলেও অনেক ওয়ার্ডেই আবার প্রার্থী বদল নিয়ে আন্দোলন অব্যাহত। এখনও কেউ কেউ রাজ্য নেতৃত্বের মুখ চেয়ে বসে রয়েছেন। এরমধ্যে কোচবিহার পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী চন্দনা মহন্তকে সরানোর দাবিতে ওই এলাকার দলীয় কর্মী সমর্থকরা রয়েছেন। সাংগঠনিক ভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে সঙ্গবদ্ধ ভাবে প্রচারে না নামতে পারলে ওই ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসকে পিছিয়ে পড়তে হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা। একই অবস্থা রয়েছে ৪, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডেও। কোচবিহার শহর ব্লক তৃণমূলের কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের অনুগামীরা এখনও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বদলে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী করার দাবিতে অনড় হয়ে রয়েছেন। এর ফলে ওই দুটি ওয়ার্ডেই প্রভাব পড়ছে বলে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরেই আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন সমস্যা মেটাতে না পাড়লে কোন কোন ওয়ার্ডে তৃণমূলের গোঁজ প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে পারে। এখন দেখার তৃণমূল কিভাবে এই সমস্যা মেটায়।
যদিও রবীন্দ্রনাথ বাবু এদিন প্রচারে নেমে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “বিগত দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে উন্নয়নের কাজ করে গিয়েছেন, তাতে শহরের মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। আমার নিজের ওয়ার্ডে সকলেই আমার পরিচিত। এখানে আমি প্রার্থী হওয়ায় সকলের মধ্যেই একটা বাড়তি উৎসাহ দেখা যাচ্ছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *