এক তৃনমূল কর্মীকে পঞ্চায়েত থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ-এক তৃনমূল কর্মীকে পঞ্চায়েত থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে পঞ্চায়েত প্রধান,উপ-প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্য এবং পঞ্চায়েত কর্মীদের দুর্ব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃনমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত অফিসের দরজায় তালা লাগিয়ে প্রধান ও উপপ্রধানকে ঘিরে অবস্থান বিক্ষোভ দেখালেন তৃনমূল কংগ্রেসেরই কর্মীরা।পঞ্চায়েত অফিসের সামনের রাস্তায় কয়েকশ তৃণমূলকর্মীর স্লোগান–“মমতা ব্যানার্জি জিন্দাবাদ, মা-মাটি-মানুষ জিন্দাবাদ,জন সাধারণের সঙ্গে
পঞ্চায়েত কর্মী ও সদস্যরা দুর্ব্যবহার করছে কেন প্রধান জবাব দাও?এন আর জি এস প্রকল্পের ও বন্যা ত্রানের লক্ষ লক্ষ টাকা কার পকেটে পঞ্চায়েত প্রধান জবাব দাও।”ঘটনাস্থল হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েত।আজ ১১ টা নাগাদ প্রধান ও উপ-প্রধান পঞ্চায়েতে আসলে
বিক্ষোভকারীরা তাদের উপরেও চড়াও হয় বলে জানান যায়।

বিক্ষোভকারী তৃণমূলকর্মীদের অভিযোগ গতকাল আঙ্গারমুনি বুথের এক কর্মী রেজাউল করিম ওরফে সাদ্দাম কলা চাষের স্কীম জানতে পঞ্চায়েতে আসলে আঙ্গারমুনি বুথের পঞ্চায়েত সদস্য তজিমুল হক তাকে গলা ধাক্কা দিয়ে পঞ্চায়েত থেকে বার করে দেয় এবং অকথ্য ভাষায় জেলা সভাপতি ও বিধায়ককে গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ।একজন কর্মীর সাথে যদি এই ধরনের ব্যবহার করতে পারে তাহলে সাধারণ মানুষরা তাদের কাছ থেকে কি ব্যবহার আশা করবে বলে তারা অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন।

অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য তজিমুল হক জানান তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন। অভিযোগকারী সাদ্দাম জোর করে এক পঞ্চায়েত কর্মীকে অবৈধভাবে তার নামে কলা চাষের ডিমান্ড মারতে বললে সে প্রতিবাদ করে।এতেই সাদ্দাম তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে এবং তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ। জেলা সভাপতি ও বিধায়ককে তিনি কোনো গালিগালাজ করেননি।তার নামে একটা মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।

পঞ্চায়েত প্রধান শকুন্তলা সিংহের স্বামী রাম প্রসাদ সিংহ জানান একজন সাধারণ মানুষ পঞ্চায়েতে এসে নিজের অভিযোগ জানাতেই পারে। মঙ্গলবার আঙ্গারমুনি বুথের এক তৃনমূল কর্মী কলা চাষের স্কীম সম্পর্কিত তথ্য জানতে পঞ্চায়েতে আসলে তার সঙ্গে ওই বুথের পঞ্চায়েত সদস্য তজিমুল হক দুর্ব্যবহার করে বলে তারা আজ অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *