সুপ্রিম কোর্টের রায় স্বস্তি মমতার ইলেকশন এজেন্ট তৃণমূল নেতা সেখ সুফিয়ান।

নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুর:- অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তি পেলো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামের মমতার ইলেকশন এজেন্ট সেখ সুফিয়ান।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আপাতত স্বস্তিতে নন্দীগ্রামের তৃমমূল নেতা সেখ সুফিয়ান। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তাঁর নাম জড়ায়। নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতির খুনের ঘটনায় সেখ সুফিয়ানের নাম জড়ায়। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামের এলেকশন এজেন্ট সেখ সুফিয়ানকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চেয়েছিল সিবিআই।
এর আগে কলকাতা হাইকোর্টে সুফিয়ানের আগাম জামিনের আর্জি নাকচ হয়ে যায়। উচ্চ আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেতা। শেষমেশ সর্বোচ্চ আদালতে মিলল স্বস্তি। নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা সেখ সুফিয়ানের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। তবে বেশ কিছু শর্তে আগাম জমিন মঞ্জুর হয়েছে তৃণমূল নেতার।
একুশের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হিংসার খবর সামনে আসে। বিজেপির অভিযোগ, নন্দীগ্রামে গত বছরের ৩ মে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁদের কর্মী দেবব্রত মাইতি। পরে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। রীতিমতো পরিকল্পনা করে দেবব্রতকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই খুন করেছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের।
এই খুনের ঘটনায় তৃণমূল নেতা সেখ সুফিয়ান জড়িত বলেও অভিযোগ বিজেপির। যদিও বিজেপির তোলা সেই অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছেন সুফিয়ান। পরবর্তী সময়ে ভোট বাংলায় পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। সেই মামলায় সুফিয়ানকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় কেন্দ্রীয় সংস্থা।


গত সপ্তাহেই এই মামলর রায় সংরক্ষণ করা হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। বুধবার ডিভিশন বেঞ্চ তৃণমূল নেতা সেখ সুফিয়ানের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে বলে জানায়। তবে আগাম জামিন মঞ্জুর হলেও বেশ কিছু শর্ত চাপানো হয়েছে তৃণমূল নেতার ওপর। তৃণমূল নেতা সেখ সুফিয়ান জানান, মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সম্মান জানাই। সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে তা মেনে চলবো। যতদিন না দোষি সাব্যস্ত হয় ততদিন গ্রেপ্তার করা যাবে না তবে সিবিআই এর সাথে তদন্তের সাহায্য করার কথা বলা হয়েছে আমি তা মেনে চলবো।
অন্যদিকে তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি তপন ব্যানার্জি জানান, মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের উপর আমাদের আস্তা আছে। বিচার চলছে। আদালত যা রায় দেবে তা মেনে নেবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *