পৌরসভা নির্বাচনের মুখে জোর ধাক্কা খেল বিজেপি,প্রায় ৬০০ জন নেতা ও কর্মী বিজেপি দল ছেড়ে যোগদান করলো তৃনমূল কংগ্রেসে।

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর:- পৌরসভা নির্বাচনের মুখে মেদিনীপুর শহরে জোর ধাক্কা খেলো বিজেপি। রবিবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরে তৃণমূল কংগ্রেসের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার কার্যালয়ে গিয়ে প্রায় ৬০০ জন বিজেপি নেতা ও কর্মী বিজেপি দল ছেড়ে যোগদান করলো তৃণমূল কংগ্রেসে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটির সহ-সভাপতি শিবু পানিগ্রাহী, মহিলা মোর্চার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদিকা সীমা পানিগ্রাহী সহ মেদিনীপুর শহরের ছোট-বড় অনেক বিজেপি নেতা তাদের অনুগামীদের দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপি দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তাদের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুজয় হাজরা ,তৃণমূল কংগ্রেসএর রাজ্য কমিটির সম্পাদক প্রাক্তন বিধায়ক প্রদ্যোত ঘোষ, তৃণমূল কংগ্রেসের মেদিনীপুর শহর কমিটির সভাপতি বিশ্বনাথ পাণ্ডব সহ আরও অনেকে। তৃণমূল কংগ্রেসের মেদনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে উন্নয়নের কাজে শামিল হওয়ার জন্য বিজেপি দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন । তাই রবিবার সন্ধ্যায় বিজেপির একাধিক নেতা ও প্রায় ৬০০ জন কর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। তিনি তাদের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে দিয়ে বলেন আগামী ২৭ শে ফেব্রুয়ারি মেদিনীপুর পৌরসভার নির্বাচন। মেদিনীপুর পৌরসভার ২৫ টি ওয়ার্ডে তৃনমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করার জন্য সকলকে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে। সেই সঙ্গে তিনি বলেন লোকসভা নির্বাচনে মানুষ ভুল করে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল।কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর শহরের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে আশীর্বাদ করেছেন। পৌরসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর শহরের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের আশীর্বাদ করবেন। যখন মেদিনীপুর শহরে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ দিলীপ ঘোষ নির্বাচনী প্রচার করছেন বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে।ঠিক সেই সময় বিজেপির নেতা ও কর্মী মিলিয়ে প্রায় ৬০০ জন বিজেপি দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য দেখা যায়। রাজনৈতিক মহলের অনুমান এর ফলে বিজেপি পৌরসভা নির্বাচনের মুখে জোর ধাক্কা খেলো এবং যার ফলে শক্তিশালী হল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *