মাথাভাঙ্গায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ উঠল বিজেপির ও সিপিএমের বিরুদ্ধে।

মনিরুল হক, কোচবিহার: তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে এবং সিপিএমের বিরুদ্ধে। ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পরে ঘটনায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙ্গা পৌরসভা এলাকায় ৯ নং ওয়ার্ডের ত্রিনাথ কলোনি এলাকায়।

জানা যায়, গতকাল রাতে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে ভেঙে ফেলার অভিযোগ বিজেপি এবং সিপিএমের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি একটি বোমা বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পেরেছেন এলাকাবাসীরা বলে জানিয়েছেন ৯ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপি এবং সিপিএম এর কোন যোগ নেই বলে জানিয়েছেন বিজেপি এবং সিপিএম নেতৃত্ব। বর্তমানে মাথাভাঙ্গা পৌরসভা এলাকায় ৯ নং ওয়ার্ড ত্রিনাথ কলোনিতে চাপা উত্তেজনা এবং চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

এ বিষয়ে মাথাভাঙ্গা মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক সুরজিৎ মন্ডল জানান, গোটা বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের কাছে জানতে পেরেছি, পুলিশ নিশ্চয়ই তদন্ত করে দেখবে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এখনো পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ জমা পড়েনি।

তবে পৌরসভা নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই মাথাভাঙা শহরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দরজার শুরু হয়ে গেছে। একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপের পালা চলছে। তবে যতই ঘটনা ঘটুক না কেন পুলিশ কিন্তু তৎপর রয়েছে মাথাভাঙা শহরে এলাকায়। নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই পুলিশ প্রত্যেকদিন নিয়মিতভাবে রুটমার্চ করছে। গতকালকেও মাথাভাঙা শহরে সিপিএম এবং তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ ওঠে উভয়ের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারে আশায় মাথাভাঙ্গার বেশ কিছু অফিসার কোচবিহারে চলে যাওয়াতে থানায় পুলিশ কর্মী এবং পুলিশ আধিকারিক এর সংখ্যা কম থাকা সত্ত্বেও পুলিশের ভূমিকা ছিল সদর্থক। অল্প পুলিশ আধিকারিক এবং কর্মীরা মিলে ঘটনার মোকাবেলা করেছে। পুলিশের তৎপরতায় গতকালকেও মাথাভাঙ্গায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ ততটা এগোতে পারেনি। মাথাভাঙ্গার অ্যাডিশনাল এসপি অমিত ভার্মা নিজেও রুট মার্চ এ অংশগ্রহণ করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *