কোচবিহার ভবানীগঞ্জ বাজারে দোকানে দোকানে প্রচার তৃণমূল প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের।

0
320

মনিরুল হক,কোচবিহার: ভোটের আর দু সপ্তাহ বাকি নেই। তাই নাওয়া খাওয়া ছেড়ে প্রচারে নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা। শাসক দল তৃনমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা যেমন কোমর বেঁধে প্রচারে নেমে গেছেন। তেমনি বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, এমনকি নির্দলের প্রার্থীরাও ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিন কোচবিহার শহরের ভবানিগঞ্জ বাজারে ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রচার করতে দেখা গিয়েছে তৃনমূল কংগ্রেসের ৮ নম্বর ওয়ারদের প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে।
প্রত্যেক দোকানে দোকানে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ বাবু বলেন, “ভোট হচ্ছে গণতন্ত্রের উৎসব। এই উৎসবে সকলে সামিল হয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে যাতে ভোট দিতে এটাই আমরা চাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা রাজ্যের সাথে কোচবিহারেও ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। কোচবিহার শহরকে হেরিটেজ ঘোষণা করে উন্নয়নের জন্য ৩০০ কোটি টাকা দিয়েছে। অই প্রকল্পে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে। আগামী দিনে আরও অনেক কাজ হবে। আমরা বিশ্বাস করি মানুষ আমাদের পাশেই থাকবেন। আমরা ২০ টা ওয়ার্ডেই জয়ী হব।”
রবীন্দ্রনাথ বাবুর ওয়ার্ডের মধ্যেই ভবানীগঞ্জ বাজার। ২০০৩ সালে ভবানিগঞ্জ বাজার ভয়াবহ অগ্নি কান্ডে ছারখার হয়ে যায়। এরপর বাজারে নতুন বিল্ডিং তৈরি করে ব্যবসায়ীদের দেওয়া হয়। কিন্তু ওই বিল্ডিং নির্মাণের কয়েক বছরের মধ্যে পলেস্তারা ঘষে পড়তে শুরু করে। এই নিয়ে ব্যবসায়ী মহলে পুরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভও তৈরি হয়েছে। তাই প্রার্থী হতেই রবীন্দ্রনাথ বাবু ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এদিন রবীন্দ্রনাথ বলেন, “ব্যবসায়ীদের বেশ কিছু অভাব অভিযোগ রয়েছে জানি। এই জন্য ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করে তাঁদের সমস্যা গুলো শোনা হয়েছে। বাজারের বেশ কিছু রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। স্ট্রিট লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকি কাজ গুলো দ্রুত করে দেওয়া হবে।”
এবার পুরসভা নির্বাচনে কোচবিহার শহর থেকে প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রবীন্দ্রনাথ বাবু। বাম আমল থেকে লড়াই করে জেলায় তৃনমূল কংগ্রেসের সংগঠনকে মজবুত করেছেন তিনি। দীর্ঘ সময় ধরে নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। পরপর দুবার জিতে বিধায়ক, এমনকি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী পর্যন্ত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। তাই এবার পুরসভায় জয় পেলেই তৃণমূল কংগ্রেস রবীন্দ্রনাথ বাবুকেই চেয়ারম্যান করতে পারে বলে চর্চা রয়েছে। তাই রবীন্দ্রনাথ বাবুর দিকে শুধু জেলার তৃণমূল কর্মীরাই নন, নজর রয়েছে গোটা উত্তরবঙ্গের মানুষের।