মায়ের চিকিৎসার জন্য নবম শ্রেণির ছাত্র পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করে অর্থ উপার্জন করে চলেছে।

আবদুল হাই, বর্ধমানঃ ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী বছর ৩৫এর হামিদা বেগম। বিগত ৫ বছর আগে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় হামিদার স্বামীর। তার শশুর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কাঞ্চননগর রথ তলার ফকিরপুর এলাকায়। স্বামীর মৃত্যুর পর এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানকে নিয়ে স্বামীহারা হয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন হামিদা বেগম। হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ব্রেন স্ট্রোক রোগে আক্রান্ত হয়ে এখন বিছানায় শয্যাশায়ী। হামিদা বেগম না পারেন ভালোভাবে কথা বলতে না পারেন তিনি নিজে বিছানা থেকে উঠে হাঁটাচলা করতে। হামিদা বেগমের বৃদ্ধ বাবা, তার মেয়ে ও মেয়ের দুই সন্তানকে নিয়ে চলে আসেন বর্ধমানের খণ্ডঘোষ এর নুরপুর গ্রামে।
।হামিদা বেগম এর পুত্র সন্তান শেখ আজিজুল নবম শ্রেণীতে পড়াশোনা করতো। সংসারে যে বড়ই অভাব। এই বয়সে আর পাঁচটা ছেলেদের মত পড়াশোনা করার কথা।আজ সে সংসারে অভাবের তাড়নায় পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে রাজমিস্ত্রি জোগাড়ে কাজ করছে । দুবেলা দুমুঠো খাদ্যের সংস্থান করতে এই বয়সে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে চলছে।রাজমিস্ত্রি জোগাড়ে কাজ করে যেটুকু অর্থ উপার্জন করে তাতে কোনরকমে টেনেটুনে সংসার চলে । মায়ের চিকিৎসা করানোর মত সাধ্য নেই ১৬ বছর বয়সীর ছেলে আজিজুলের।
হামিদার চিকিৎসা করাতে করাতে একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে হামিদার পরিবার। কোনরকমে সংসার চললেও চিকিৎসা করানোর মত সাধ্য নেই তার পরিবারের সদস্যদের।উন্নত মানের চিকিৎসা করিয়ে হামিদাকে ফের সুস্থ জীবনে ফিরে পেতে চাই তার পরিবার। দৈনন্দিন পরিবারের অভাব যখন নিত্যসঙ্গী তখন মায়ের চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়াটা দিন দিন অসম্ভব হয়ে পড়েছে।এখন অর্থের অভাবে নিজের চোখের সামনে তিলে তিলে মা শেষ হয়ে যাচ্ছে আর এটা দেখে বুক ভেঙে যাচ্ছে ছেলের। ছেলে ও মেয়ের কাতর আবেদন সবার কাছে একটু পাশে দাঁড়ান আমার হতভাগ্য মায়ের পাশে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *