উড়ে খৈ যখন ধরতে পারছেন না তখন বলছেন উড়ে খৈ গোবিন্দায় নমো, এমনিভাবে ঝাঁজালো বাসায় নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে পাল্টা জবাব মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের।

0
470

নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুর:- গত কয়েকদিন আগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর রাখা বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন মন্ত্রী সৌমেন কুমার মহাপাত্র।আসন্ন তাম্রলিপ্ত পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে গতকাল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বি জে পির প্রচারে আসেন একাধিক ওয়ার্ডে । আর সেই প্রচারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তমলুকের বিধায়ক তথা মন্ত্রী সৌমেন কুমার মহাপাত্রর নাম না নিয়ে বিভিন্ন কটাক্ষ করে বক্তব্য রেখেছিলেন।তবে তার ২৪ ঘন্টা না যেতে যেতেই এই দিন তমলুকের তৃণমূলের প্রচারে মন্ত্রী সৌমেন কুমার মহাপাত্র এসে তার পাল্টা জবাব দেন।এই দিন সৌমেন বাবু বলেন তমলুকে অনেকে এসে লম্ফঝম্প করছে , তাম্রলিপ্ত পৌরসভার মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছেন কিন্তু তা কোরে কোন লাভ হবে নেই।
পাশাপাশি তিনি বলেন ১৬ সালে আমি তমলুক ছেড়ে চলে যাইনি, আমাকে আন্তরিকতার সাথে তমলুকের মানুষ এবং শহীদ মাতঙ্গিনী হাজরা দেশের মানুষ চেয়েছিলেন কিন্তু একটা মানুষই চাইনি চরম হিংসার জেরেই, জিনি আজ বড় বড় কথা বলছেন। তাঁকে যদি পাল্টা ঘুরে জিজ্ঞেস করি তাহলে তার মুখের থুতু নিজের মুখে এসেই পড়বে। কিন্তু তমলুকের মানুষ ভালবাসে বলে আমাকে ২০২১শের বিধানসভা নির্বাচনে দুই হাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন। তিনি আরো বলেন যিনি বলছেন আজ সৌমেন বাবু কিছু করেননা তমলুকের জন্য কিছু উন্নয়ন করেন না তাহলে তমলুকের কবরস্থানের জন্য আমি ব্যক্তিগত টাকা খরচ করে মাটি ফেলে দিয়েছিলাম,এর জন্য কিন্তু আমি হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ এর কাছে হাত পাতিনি আর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছেও হাত পাতিনি। কিন্তু জিনি আজ অপপ্রচার করছেন তাঁর নাম চারিদিকে লেখা। গঙ্গা জলে গঙ্গা পূজো করছেন।উড়ে খই যখন ধরতে পারছেন না তখন বলছেন উড়ো খৈ গোবিন্দায় নমো অর্থাৎ রাজ্য সরকার প্রতিবছর ৫০০ কোটি টাকা হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ কে দেওয়া হয় রাস্তাঘাট,বিজলী সমস্ত উন্নয়ন করার জন্য কিন্তু তিনি তা করে তার ওপর বড় বড় করে নাম লিখে তিনি দাবি করেন সমস্ত কাজ আমি করেছি। তিনি বলেন গতকাল মাইকে শুনছিলাম পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মেডিকেল কলেজ নিয়ে অনেক কথা বলছিলেন। কিন্তু তিনি একদিন এই তমলুকে মেডিকেল কলেজ না হওয়ার জন্য ডি এমকে চিঠি করেছিলেন যাতে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করা যায়।আজ তমলুক পৌরসভার নাম বদলে তাম্রলিপ্ত পৌরসভা করা হয়েছে সারা বিশ্বের কাছে চেনানোর জন্য।এছাড়াও আরও বলেন স্বপ্ন ছিল মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যাব, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে যাব,কাউকে রাজ্যপাল বানিয়ে ফেলবো এরকম কত স্বপ্ন ছিল কিন্তু এই স্বপ্নে বাংলার মানুষ করতে দেয়নি উল্টে দেখা গিয়েছে রাজ্যের যত করপোরেশনে নির্বাচন হচ্ছে সেখানে ভারতীয় জনতা পার্টি কোথাও ৩ কোথাও ২ কোথাও ৫ কোথাও বা 0 এই জায়গায় পৌঁছাচ্ছে।শিলিগুড়িতে নির্বাচনের সময় কিছুই বলেনি যখনই ফল বের হলো তখনই বলে উঠলো ওখানে ব্যাপক সন্ত্রাস হয়েছিল ওই জায়গায় ভোটই হয়নি।

তবে এই বিধানসভায় লিড পেয়েছিল এক হাজার ভোটে। সব সময় এই পৌরসভায় জাতীয়তাবাদী লোক থাকে বলে তাই লিড থাকে ।যার ফলে ভোটে আমরাই এগিয়ে থাকি কিন্তু এই বিধানসভায় দুর্ভাগ্যবশত আমরা এক হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলাম খুব বেশি লিড দিতে পারিনি। এখন এই এক হাজার ভোটে পিছিয়ে থাকার অন্য কিছু কারণ নয় , কারণ একটাই সেটা ছিল এদের এত অপপ্রচার এত মিথ্যা প্রতিশ্রুতির কারণে এখানকার মানুষ সাময়িক ভুল করেছিলেন তবে সেই ভুল তারা শুধরে নিয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here