মামা ভাগ্নের নির্বাচনী লড়াইয়ে জমজমাট খড়গপুর পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ড।

0
309

নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুর:- পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের দুই বারের কাউন্সিলর তৈমুর আলি খান। এইবার তার বিরুদ্ধে তিন নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন তৈমুরের ভাগ্নে খুরসেদ আলী খান। এই মামা ভাগ্নের নির্বাচনের লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসবে তা নিয়ে সারা ওয়ার্ডের মানুষ তাকিয়ে আছেন সেই দিকে।এই বিষয় নিয়ে তৃণমূল প্রার্থী তৈমুর আলী খান বলেন, আবার মা মাটি মানুষের সরকারের বোর্ড হবে। আমরা এখান থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হব। যে কোন মানুষ নামতে পারে। ওর সখ হয়েছে তাই রাজনৈতিক লড়াইয়ে নেমেছে।তবে উনি কোন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। মানুষ ওকে চেনে না, জানে না। কিছু কিছু মানুষ ওকে দাড় করিয়ে দিয়েছে। এই ব্যাপারে আমার ওর সাথে কোন কথা হয়নি। ও রাজনৈতিক ময়দানে নেমেছে আমি তাকে কোন কিছু বাধাও দেয়নি। এটা কোন ব্যাপার নয়। এখানে একতরফা ভোট হবে। বিপুল ভোটে আমি জিতব। অন্যদিকে
তিন নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী খুরসেদ আলী খান বলেন, লোকের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে প্রচার করছি। এবার আমরা জিতছি। এই ওয়ার্ডে সমস্যা আছে। এই ওয়ার্ডে দুর্নীতি হয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে শুরু করে আমফানের টাকা, এতে মানুষ ক্ষুব্দ। মানুষ চাইছে পরিবর্তন। আমি মামার বিরুদ্ধে নয়, প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াই করছি। যারা স্বামী-স্ত্রী মিলে পনেরো বছর এখানে কাউন্সিলর ছিলেন। তারা যেসব কাজ করেছেন, যাদের দোতলা বাড়ি তারা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বাড়ি পেয়েছেন। যারা ত্রিপল খাটিয়ে আছে তারা বাড়ি পাইনি। উনি মনে হয় পনেরো বছরের কোন রাস্তায় যাতায়াত করেনি। কোথায় কি সমস্যা আছে সে ব্যাপারেও জানা নেই। রাস্তাঘাট সবেতেই ব্যাপক দুর্নীতি। কোন কিছুতে বাদ নেই। মানুষ পরিবর্তন চাইছে, মানুষ আমাকে জেতাবে।
এলাকাবাসী আলেদা বিবি বলেন, প্রতিটা দলের মানুষ বাড়িতে আসছে। বলছে আমাদের ভোট দিন, জিতান আমরা আপনাদের জন্য কাজ করব। এত বছর ধরে এই ওয়ার্ডে তৈমুর আলী খান ছিলেন। পানীয় জলের সমস্যা আছে। জল নিকাশির ব্যবস্থা নেই। ঘরের সমস্যা আছে, এবার পরিবর্তন চাই।এলাকাবাসী কালাম আহমেদ বলেন, ভাগ্নে আসুক ভাইপো আসো আমরা তো কাউকে চিনিনা জানিনা। এতদিন তাকে কোন সমাজ সেবামূলক কাজ করতে দেখিনি। আগামী দিনে কে আসবে না আসবে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমরা পরিবার দেখে তো ভোট দেবো না। আমরা দেখছি আমাদের ওয়ার্ডে যে কাজ করে গেছে বা আগামী দিনে যে কাজ করবে। মানুষ এতোটুকু আশা রাখে ভোটের জন্য। আমরা যাকে ভোট দেবো সে আমাদের পরিষেবা গুলো যাতে দেয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here