মাথাভাঙ্গায় প্রতিবেশী যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগে বাবা এবং দুই ছেলের ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড।

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ পারিবারিক বিবাদের জেরে প্রতিবেশী এক যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগে ৮ বছরের সশ্রম কারা দণ্ড হল বাবা ও দুই ছেলের। আজ মাথাভাঙ্গা আদালতের অ্যাডিশনাল ডিসট্রিক্ট সেশন জাজ নির্বাণ খেসাল ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ছাড়াও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। শুধু তাই নয়, ওই মামলায় খুন যাওয়া যুবকের বিধবা মাকে আইনি পরিষেবা কেন্দ্র থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথাও বিচারক ঘোষণা করেছেন বলে ওই মামলার সরকারি কৌসুলি রবীন্দ্রনাথ বসুনিয়া জানিয়েছেন।
সরকারি কৌসুলি জানান, ওই মামলায় সাজা প্রাপ্ত আসামীরা হলেন নরেশ সরকার (৭৫), নির্মল সরকার(৪৫) এবং শ্যামল সরকার (৩৩)। ওই সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের বাড়ি মাথাভাঙ্গা থানার হাজরাহাট ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দইভাঙ্গি গ্রামে। ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এক বাড়ি থেকে টিভি দেখে বাড়ি ফিরছিলেন কুশ সরকার নামে এক ৩৫ বছরের যুবক। ওই সময় তাঁকে ছুঁড়ি, লোহার রড, লাঠি দিয়ে আঘাত করতে শুরু করে। চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কুশের বিধবা মা যশোদা সরকার। ছেলের প্রান ভিক্ষা চাইলেও শেষ পর্যন্ত তাঁকে মায়ের পিটিয়ে খুন করা হয় বলে যশোদা সরকার থানায় দুই মহিলা সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে দীর্ঘ ৮ বছর সময় ধরে মামলা চলার পর গতকাল মহিলা অভিযুক্তদের বাদ দিয়ে বাকি ৩ পুরুষ অভিযুক্ত দোষী সাবস্থ হন। এদিন তাঁদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হয়।
ওই রায়ের পর দুপক্ষের পরিবার পরিজনকে আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে দেখা যায়। কুশের মা যশোদা দেবী বলেন, “আমি আরও কঠিন সাজা চেয়েছিলাম। যাতে আরও কোন মাকে পুত্র শোকে ভুগতে না হয়, তার জন্য।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *