কোচবিহারে শেষ বেলার প্রচারে দুই দলের দুই অভিনেতা অভিনেত্রী, ঢাকঢোলে শহর চষে প্রচার।

0
358

মনিরুল হক, কোচবিহার: শেষ বেলার প্রচারে কোচবিহার শহর মাতালেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অভিনেত্রী সায়নি ঘোষ ও বিজেপির হয়ে প্রচারে আশা আরেক অভিনেতা কৌশিক রায়। অবশ্য শেষ বেলার মিছিলে বিজেপির সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক ও তাঁদের বিধায়কদের দেখা গিয়েছে।
২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের অন্যান্য পুরসভার সাথে কোচবিহার জেলা ৫ পুরসভায় নির্বাচন রয়েছে। তার আগে এদিন ছিল প্রচার করার শেষ দিন। এদিন সকাল থেকেই কেউ টোটোতে কেউ ছোট ছোট ট্রাকে ব্যানার পোস্টারের সাথে মাইক লাগিয়ে দলীয় প্রার্থীর জন্য ভোট চেয়ে শহরের অলিগলিতে ঘুরে বেড়িয়েছেন। এমন প্রচারে শাসক দল তৃণমূল, প্রধান বিরোধী শক্তি বিজেপি তো ছিলই। দেখা গিয়েছে বাম কংগ্রেস প্রার্থী থেকে শুরু করে নির্দলদেরও।
দুপুরের পরে একদিকে তৃণমূল কংগ্রেস তাঁদের শেষ দিনের স্টার ক্যাম্পেনার সায়নি ঘোষকে পথে নামিয়েছেন। হুট খোলা জিপে চেপে বিশাল র্যা লি নিয়ে ঢাকঢোল বাজাতে বাজাতে ভোট প্রার্থনা করে পথে পথে ঘুরে বেড়িয়েছেন। বর্ণাঢ্য তৃণমূলের সেই শোভা যাত্রায় লোক জমায়েত ছিল নজর করার মত।
কম যায় নি বিজেপিও। বিজেপির মিছিলে অবশ্য হুট খোলা জিপের বদলে সকলেই পায়ে হেটেই বিশাল মিছিলকে শহর পরিক্রমা করতে দেখা গিয়েছে। তাঁদের স্টার ক্যাম্পেনার হিসেবে ছিলেন অভিনেতা কৌশিক রায়। এছাড়াও ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক এবং কোচবিহারের বিধায়করা। তাঁরাও ঢাকঢোল বাজিয়ে মিছিল করে ভোট প্রার্থনা করেন।

অভিনেতা কৌশিক রায় বলেন, “ পুলিসকে দলদাস বানিয়ে চোখ রাঙ্গানি দেখিয়ে এরাজ্যে যে ভোট প্রক্রিয়া চলে আসছে, সেটা এবার কোচবিহারের মানুষ ভেঙ্গে গোটা রাজ্যের সামনে উদাহরণ সৃষ্টি করবে।”

প্রচার শেষ হলেও যে প্রায় সব পক্ষই মাটি কামরে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পরে থাকবে, সেটা কিন্তু নিশ্চিত বোঝা যাচ্ছে। কারণ কোচবিহার পুরসভার ভোট এবারের ভোট নিয়ে কেউই নিশ্চিত ভাবে কিছু বলতে পারছেন না। একদিকে শাসক দলের প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভের পরে বেশ কিছু নির্দল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় খুব একটা শস্তিতে নেই তৃণমূল শিবির। লোকসভা ও বিধানসভায় ব্যাপক সাংগঠনিক শক্তি দেখালেও রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে না পারায় বিজেপির সংগঠনে রক্ত ক্ষরণ মারাত্মক ভাবে হয়েছে। এত রক্ত ক্ষরণের পর বিজেপি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে তাঁদের অনেক নেতার মধ্যে সেই আত্মবিশ্বাস নেই। এই শহরে বেশ কিছু ওয়ার্ডে বামেরা বরাবর ধরে রাখতে সক্ষম হলেও এবার সেই সব ওয়ার্ড আদৌ ধরে রাখতে পারবে কিনা, তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন রয়েছে। আবার দলীয় অবস্থান থেকে নির্দল হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে স্বস্তিতে নেই নির্দলের প্রার্থীরা। তাই নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে সন্দিহান বিভিন্ন প্রার্থী তাঁদের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে যে ওয়ার্ডেই পরে থাকবেন, তা নিশ্চিত করে বলে দেওয়া যেতে পারে।