পানিয়ারা এসপি অফিসের সামনে রণক্ষেত্রে চেহারা নিল বাম যুব ও ছাত্রদের বিক্ষোভের ফলে।

0
236

প্রকাশ কালি ঘোষাল, হাওড়া :  আনিস খানের মৃত্যুর প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবিতে এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি নেয় সিপিআইএমের যুব সংগঠন ও ছাত্র সংগঠন। পানিয়ারাতে হাওড়া জেলা গ্রামীণ পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও কর্মসূচি নেয় বাম ছাত্র-যুব সংগঠন। বিক্ষিতকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য মোতায়েন রাখা হয় হয়েছিলো জল কামান। পুলিশ সুপারের অফিসের মধ্যে যাতে কেউ ঢুকে না পড়তে পারে তার জন্য মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পাশাপাশি পুরো অফিসকে গার্ড-রেল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। বিশাল পরিমাণ এ পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রচুর ছাত্র-যুবরা আজকের এই প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেয়। বামপন্থী ছাত্র-যুবদের দাবি অবিলম্বে আনিশের হত্যাকাণ্ডে যারা যুক্ত তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। যে সমস্ত পুলিশকর্মীরা এই ঘটনায় যুক্ত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তারা। পাশাপাশি যাদের নির্দেশে ওইদিন রাতে যেসকল পুলিশকর্মীরা আনিশের বাড়িতে যায় তাদের নাম সামনে আনতে হবে। তাদের গ্রেফতার করতে হবে অবিলম্বে। মিছিল পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে পৌঁছলে তাদের রাস্তা আটকায় পুলিশ। এরপরই বচসা বাঁধে ছাত্র যুব কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের। সেই বচসা পৌঁছয় হাতাহাতিতে। উদ্ধত বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পুলিশের দাবি ছাত্র যুব বিক্ষোভের মধ্যে থেকে প্রচুর সংখ্যায় ইঁট পাথর পুলিশকে লক্ষ করে ছোঁড়া হয়।
পুলিশের লাঠির আঘাতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হয় বলে বাম সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। ঠিক একইভাবে বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া পাথরের আঘাতে আহত হন কয়েকজন পুলিশকর্মী। দুপক্ষের লড়াইতে দীর্ঘ ৪০ মিনিট পানিযারা ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। পুলিশ সুপারের অফিস কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। ইঁট, পাথরের বৃষ্টির মধ্যে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোঁড়ে। বিক্ষোভকারীদের ইঁট বৃষ্টির মধ্যে পড়ে পুলিশ কার্যত পিছু হঠতে বাধ্য হয়। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছেন এডিজি ল এন্ড অর্ডার। তিনি গোটা ঘটনার খোঁজ নেন। যদিও বামকর্মীদের দাবি তারা শান্তিপূর্ণ উপায়ে মিছিল ও পথসভা করছিল। পুলিশ অহেতুক তাদের কর্মীদের প্ররোচনা দিচ্ছে অশান্তি সৃষ্টির জন্য। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগ নস্যাৎ করা হয়েছে। পুলিশের দাবি তারা যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছেন। বিক্ষোভের নামে ভাঙচুরের অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।