পরীক্ষার্থীকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে মানবিকতার নজির গড়ল রামপুরহাট থানার পুলিশ।

0
267

বীরভূম, সেখ ওলি মহম্মদ:- বীরভূম জেলার রামপুরহাট থানার কুসুম্বা স্কুলের ছাত্রী রুনি খাতুন এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তাঁর সেন্টার পড়েছে রামপুরহাট শরদিন্দু বিদ্যায়তনে। কিন্তু তার ডান হাতে কিছুদিন আগে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে গিয়ে প্রায় দশটির বেশি সেলাই রয়েছে। এবারে সে পরীক্ষা দিতে পারবে কিনা সে নিয়ে সংশয় ছিল। আজ পরীক্ষার দিন সে ও তার অভিভাবক কুসুম্বা স্কুলে পৌঁছায় এবং পরীক্ষার জন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষক মহাশয়দের বলেন । কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে সেন্টারে পৌঁছাতে বলে। সেই মুহূর্তে তার সেন্টারে পৌঁছানো সময় সাপেক্ষ ছিল। ঘটনার খবর পেয়ে রামপুরহাট থানার সাব-ইন্সপেক্টর রমেশ সাহা ঘটনার খবর জানতে পারেন এবং তড়িঘড়ি মেয়েটিকে পুলিশের গাড়িতে করে রামপুরহাটের শরদিন্দু বিদ্যায়তন পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেন। পুলিশ তাকে গাড়িতে করে না নিয়ে এলে পরীক্ষার সময় পেরিয়ে যেত এবং সে হয়তো পরীক্ষায় বসতে পারত না। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে তার সিটে বসিয়ে দেয় কিন্তু তার ডান হাত দুর্ঘটনাগ্রস্ত থাকায় সে লিখতে পারবে না।
সে যাতে অন্য কোনো লেখকের সাহায্য নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারে তার জন্য স্কুলের তরফ থেকে ব্যবস্থা করা হয়েছে। যোগাযোগ করা হয়েছে তার কুসুম্বা স্কুলে। ঘটনার খবর জানানো হয়েছে রামপুরহাট মহকুমা শাসক সাদ্দাম নাভাসকে। আর এই ঘটনায় প্রত্যেকেই অত্যান্ত তৎপরতার সঙ্গে ওই ছাত্রীর পরীক্ষার ব্যবস্থা করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এদিকে রামপুরহাট থানার সাব ইন্সপেক্টর রমেশ সাহার উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তিনি ওই ছাত্রীকে পুলিশের গাড়িতে করে নিয়ে এসে সেন্টারে পৌঁছে না দিলে ওই ছাত্রী পরীক্ষা হলে অনুপস্থিত থাকতো। পুলিশের এই মানবিক মুখ আবারো প্রমাণ করে দিল রামপুরহাট থানার পুলিশ মানুষের সাথেই রয়েছে। এর জন্য পরিবারের তরফ থেকে এবং প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিকরা রামপুরহাট থানার সাব-ইন্সপেক্টর রমেশ সাহার প্রশংসা করেন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।