দীর্ঘদিন বেতন না মেলায় অবস্থান বিক্ষোভে অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা।

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্যতম ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল। এই হাসপাতালে ক্যানিং মহকুমা সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তের রোগীরা চিকিৎসা পরিষেবার জন্য আসেন। এই হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবাও উন্নতমানের।হাসপাতালে চিকিৎসক,নার্স ও অন্যান্য স্থায়ী কর্মীরা রয়েছেন। পাশাপাশি অস্থায়ী কর্মীও রয়েছেন। এই সমস্ত অস্থায়ী কর্মীদের মধ্যে ১৯ জন সাফাই কর্মী রয়েছেন। প্রতিদিনই তাঁরা হাসপাতাল কে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখেন।
অভিযোগ ১৯ জন অস্থায়ী কর্মীরা দীর্ঘ প্রায় ৪ মাস কোন বেতন পাচ্ছেন না। এই সমস্ত কর্মীদের মধ্যে আবার সুজাতা দাস, কৃষ্ণা বাসফোর,প্রতিমা হালদার,অসিমা মাইতি‘র মতো অধিকাংশ মহিলা কর্মীরাও রয়েছেন।
তাঁদের দাবী বিভিন্ন ভাবে নারীদের প্রতি সম্মান জানাতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হচ্ছে। আর আমরা কোন সম্মান পাচ্ছি না নারী হয়েও।দীর্ঘ চার মাস কোন বেতন না মেলায় আমরা বড়ই অসহায় হয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবসেই বিক্ষোভ অবস্থানে বসতে বাধ্য হয়েছি।পাশাপাশি পরিষেবা সচল রেখেছি যাতে মহকুমা হাসপাতালে কোনপ্রকার অসুবিধা না হয়।আমাদের দাবী আমরা যা কাজ করছি সেই নিরীখে সঠিক সময়ে আমাদের বেতন দেওয়া হোক। না হলে আমরা এবং আমাদের পরিবার চরম সংকটে পড়বে। রাজ্য সরকার আমাদের কথা বিবেচনা করে অবিলম্বে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে আমরা বিক্ষোভ অবস্থান থেকে বিরত থাকবো। আর তা না হলে আগামী দিনে অবস্থান বিক্ষোভের পাশাপাশি অনশন এ বসতে বাধ্য থাকবো’।ঘটনার বিষয়ে বাসন্তীর বিধায়ক তথা ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান শ্যামল মন্ডল জানিয়েছেন ‘ঘটনার কথা শুনেছি। যাতে করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীরা বেতন পায় সেই উদ্যোগ গ্রহণ করে রাজ্য সরকার কে চিঠি দিয়েছি। আশা করি খুব শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হবে।’
অন্যদিকে অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের অবস্থান বিক্ষোভ প্রসঙ্গে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাঃ অপূর্বলাল সরকার জানিয়েছে ‘অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা যাতে করে বেতন পায় তার জন্য তাদের ঘটনার কথা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কে জানিয়েছি সমস্যা সমাধানের জন্য।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *