পণের দাবিতে গৃহবধূকে অস্বাভাবিক মারধর অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রাখা হল বাড়িতে, শশুর বাড়ি থেকে কোনরকমে প্রাণে বেঁচে এসে শান্তিপুর থানা দ্বারস্থ গৃহবধূ।

0
250

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- পণের দাবিতে গৃহবধূকে অস্বাভাবিক মারধর অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রাখা হল বাড়িতে, শশুর বাড়ি থেকে কোনরকমে প্রাণে বেঁচে এসে শান্তিপুর থানা দ্বারস্থ গৃহবধূ।
শান্তিপুর থানার বোয়ালিয়া অঞ্চলের ঘটনা । আক্রান্ত গৃহবধূ অর্পিতা সরকার এর অভিযোগ গত দু’বছর আগে তার বিবাহ হয় শান্তিপুর বোয়ালিয়া অঞ্চলের অনজিৎ বিশ্বাস এর সাথে, বিয়ের পর থেকেই শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার চালিয়ে যেত শ্বশুরবাড়ির লোকজন । দিনের পর দিন তার ওপর নির্মম অত্যাচার চলত ,এর আগেও বেশ কয়েকবার তাকে মারধর করে তার বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, পরবর্তীতে পারিবারিক মধ্যস্থতায় আবার শ্বশুরবাড়ী ফিরে যায় অর্পিতা সরকার । কিন্তু গতকাল রাতে পণের টাকা এবং মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে গৃহবধূর ওপর চড়াও হয় তার শাশুড়ি এবং স্বামী। ধাতব বস্তু দিয়ে মারধর করে ঘাত করা হয় গৃহবধূকে, সেখানেই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে থাকে গৃহবধূ।পরবর্তীতে জ্ঞান ফিরে এলে সকাল বেলায় শ্বশুর বাড়ি থেকে পালিয়ে শান্তিপুর থানার দ্বারস্থ হয় গৃহবধূ অর্পিতা সরকার । আক্রান্ত অর্পিতা সরকার শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, তিনি আর সংসার করতে চান না ওই পরিবারের সঙ্গে। দিনের পর দিন তাকে যেভাবে মারধর করা হচ্ছে পরবর্তীতে তার প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে ,সেই কারণেই তিনি আর সংসার করতে চান না এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছেন অর্পিতা সরকার। তবে ওই গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here