দুর্ঘটনা এড়াতে সচেতনতার বার্তা শিক্ষকের ভূমিকা অবতীর্ণ ক্যানিং ট্রাফিক পুলিশ।

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে ক্যানিং মহকুমা এলাকায়।দুর্ঘটনা যাতে করে এড়ানো যায় তার উদ্যোগ নিলেন ক্যানিং ট্রাফিক পুলিশ।কাঠফাটা রৌদ্রে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে ট্রাফিক সামলানোর পাশাপাশি এলাকার বিভিন্ন যান চালকদের কে ডেকে এনে শিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ট্রাফিকের নিয়ম-কানুন শেখাচ্ছেন ট্রাফিক ওসি(ক্যানিং) দেবপ্রসাদ সরদার সহ ইন্সপেক্টর মলয় দাস,সিভিক ভলেন্টিয়ার সুমন বারিক,সুজিত সাহা সহ অন্যান্য ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা।সোমবার দুপুরে ক্যানিং ব্রীজরোড একটু ফাঁকা হতেই ট্রাফিক ওসি নিজেই অটো-টোটো-ম্যাজিক-বাস-লরি চালকদের কে ডেকে নিয়ে আসেন।পুলিশের ডাক শুনে প্রথমে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন গাড়ি চালক আব্দুল কালাম মোল্লা,লালু লস্কর,শঙ্কর সরদার’রা।গাড়ি চালকদের ধারণা এই বুঝি ফাইন করে।
এরপর সকল চালক কে একত্রিত করেন ট্রাফিক ওসি।রাস্তার পাশেই অফিসের দেওয়ালে টাঙানো হয় একটি ট্রাফিক সিগন্যাল এর ম্যাপ। এরপর ট্রাফিক ওসি দেবব্রত সরদার শিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ছড়ি হাতে এক একটি সিগন্যাল এর গুরুত্ব বুঝিয়ে সচেতন করতে লাগলেন গাড়ি চালকদের।রাজপথে ট্রাফিকের এমন অভিনব উদ্যোগ দেখে গাড়ি চালক থেকে সাধারণ মানুষ ভীড় জমায়।
ট্রাফিক ওসি জানিয়েছেন ‘সাধারণত অনেক গাড়ির চালক ট্রাফিক সিগন্যাল ভুলে গিয়েছেন,পাশাপাশি দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে।দুর্ঘটনা রুখতে ট্রাফিক সিগন্যাল সম্পর্কে গাড়ি চালকদের সচেতন করা হচ্ছে। গাড়ি চালকরা সচেতন হলে এদিকে যেমন দুর্ঘটনা কমবে,তেমনই আবার সঠিক নিয়মে গাড়ি চলাচল করবে।’
অটোচালক আব্দুল কালাম মোল্লা,লালু লস্কররা জানিয়েছেন ‘আচমকা ট্রাফিক পুলিশ আমাদের ডাকলে ভয় পেয়ে যাই। ভেবেছিলাম হয়তো ভুল কিছু হয়েছে ফাইন দিতে হবে।পরে জানতে পারলাম আমাদের মতো গাড়ি চালকরা যাতে করে সচেতনতা অবলম্ব করে নিয়ম মেনেই গাড়ি চালাই তার শিক্ষা দিলেন। অনেক কিছুই ভুলে গিয়েছিলাম। ক্যানিং ট্রাফিক পুলিশের উদ্যোগে জানতে পেরে ভালো লাগছে। আশা করি ট্রাফিক নিয়ম মেনে যান চলাচল করলে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হবে না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *