মনিরুল হক, কোচবিহার: শিশু মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহারের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রাত ৮ নাগাদ কোচবিহার শহরের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে। শিশু মৃত্যুর ঘটনা জানতে পেরে উত্তেজিত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালানো হয়। রবিবার রাতে এই ঘটনার পর এদিন সকালে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয় নার্সিংহোমে চত্বরে।
মৃত শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, অস্ত্রোপচার করে প্রসব করানো হবে বলে জানায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ, কিন্তু সাধারণভাবে প্রসব করানো হয় যার ফলে শিশুর মৃত্যু ঘটে বলে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। এরফলেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রোগীর আত্মীয় পরিজন।
তাদের আরও অভিযোগ, ভর্তি করার সময় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশু প্রসবের কথা বলা থাকলেও ডাক্তার নর্মাল ডেলিভারি(স্বাভাবিক প্রসব) শিশু প্রসব করাতে চান। সেই ক্ষেত্রে শিশুটি আটকে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। এরপরই পালিয়ে যায় ডাক্তার। ঘটনার তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ডাক্তারের এই গাফিলতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন প্রসূতি মায়ের আত্মীয়-পরিজনেরা।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তে উত্তেজিত জনতা ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের ওপর চড়াও হয়। নার্সিংহোম ভাংচুর করা হয় বলে অভিযোগ তলেন ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। পরে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দিলে কোচবিহার কোতোয়ালি থানা থেকে ছুটে আসে পুলিশ। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মৃত শিশুটির আত্মীয় পিংকি বানু জানান, কোনরকম ডাক্তারি পরীক্ষা ছাড়াই বিকেল চারটে নাগাদ অস্ত্রোপচার করার চেষ্টা করা হয়। রাত থেকেই ভর্তি ছিলেন তার বোন। সন্তানের মৃত্যুতে কার্যত ভেঙে পড়েছে পরিবার।
মহিলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কাজল কুন্ডু এবং অস্ত্রোপচার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিলীপ পাল দুজনেই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা যথাযথ প্রচেষ্টা করে চালিয়েছি, এটা দুর্ঘটনা। তবে রোগী বা রোগীর পরিবার আমাদের উপরে অকারণে চড়াও হয়েছে। আমাদের আক্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
Leave a Reply