কাঠঠোকরা : সুরভি জাহাঙ্গীর।

ভীষণ থমথমে খাঁখাঁ করা একটা দুপুর।বাতাসে শনশন শব্দ!
ঠিক ঝড়ে যাওয়া স্বপ্নের সাদাকালো ছবির মত!

সামনেই জারুল গাছের ডালে একটা ফিঙ্গে,
দিনশেষে সারাদিনের,সকল দুঃখ কষ্ট ডানা ঝাপটিয়ে দূর করার আপ্রাণ চেষ্টা করছে!

আর সকালে দেখা কার্ণিসে বসা, সেই শুভকামনার চেনা শালিকটা,সারাদিনের কলঙ্কের ধূলিমাখা.. অপবিত্র পালক গুলি ঠোঁট দিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পরিষ্কার করে, পবিত্র হতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে!

মন বলে তাহলে, পাখিরাও কলঙ্কিত হয়! প্রকৃতিও অপবিত্র হয় ?

ভাবনার অন্য পাশে.. হলদে ফুলের কাঁটায় গাঁথা বাবলা গাছের সারি!।
সারি সারি দাঁড়িয়ে ,জলের বুকে নিজেদের ছায়া জলছবির দিকে, ভাবনাহীন ভাবনার অতলে তাকিয়ে, যেন জলের বুকের কোন এক জলপরীর জীবন দর্শণ পর্যবেক্ষন সর্বক্ষণ
দুরিবীক্ষণ পরীক্ষাণ করে যায়!

গল্পের পাতার কুটিরের উপসংহারের দাওয়ায় বসে,কে যেন অপেক্ষার বিষন্ন মনে.. জীবনের অমীমাংসিত প্রশ্নের উত্তর খোঁজে!
নিরুত্তরের সকল প্রশ্ন গুলো.. নিষ্পত্তির অনন্তকালের দিকে, বিমর্ষ মাছের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে, এক বুক দীর্ঘ শ্বাসের ফেলে আসার জীবনে!

হয়তো আজকের কবিতার অক্ষর গুলোর মতই হবে।

ঠিক যেন একটা কাঠঠোকরা.. ভালোবাসার গাছের কোটরে, দিনভর খুঁড়ে খুঁড়ে,
একটা সুখের কবিতার ঘর নির্মানের অবিরাম চেষ্টায় অহেতুক ঠকঠক শব্দ করে.. জীবনভর ঠকে যায়।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *