হোলি খেলায় মাতলো ক্ষুঁদে পড়ুয়ারা।

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – দীর্ঘ প্রায় দুবছর স্কুল বন্ধ ছিল। ভারাক্রান্ত হয়েগিয়েছিল ক্ষুঁদে পড়ুয়ারা। স্কুল খুলেছে।কোভিড পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে শুরু হয়ে পড়াশোনা।ধীরে ধীরে ফিরেছে বিগত দিনের পরিবেশ।বিগত দুবছর হোলি খেলা কিংবা দোল উৎসব হয়নি। হয়নি মহামারির কারণে।এবার পরিস্থিতি অনুকূলে থাকায় স্কুল ছুটির পর ক্ষুঁদে ছাত্র-ছাত্রী শারমিন সুলতানা মোল্যা,মিরাজ মোল্যা,নীলাদ্রি হাউলী,মাম্পি মালী ,তপন সরদাররা মেতে উঠলো রঙীন আবিরের খেলায়। এদিন স্কুল প্রাঙ্গনে ক্ষুঁদে পড়ুয়াদের সাথে আবির হাতে মেতে উঠলেন শিক্ষক অভিজিৎ দাস,
নিরঞ্জন সরদার,শিক্ষিকা তাপসী মাহাতো,বনশ্রী মিশ্ররাও।হোলি খেলা শেষে শিশুদের হাতে মিষ্টিও তুলেদেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার প্রাইমারী স্কুলগুলিতে এমন উচ্ছ্বাসের চিত্র দেখা গেলো বৃহষ্পতিবার।
প্রত্যন্ত বাসন্তী ব্লকের চুনাখালি হাটখোলা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুঁদের মেতে উঠেছিল আবিরের খেলায়।
ক্ষুঁদে পড়ুয়াদের এমন আনন্দ উচ্ছ্বাস প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিক্ষারত্ন নিমাই মালি জানিয়েছেন ‘দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ ছিল। মহামারি সংকট কাটিয়ে স্কুল পাঠশালা খুলেছে। শুরু হয়েছে আগের মতো পড়াশোনা। ক্ষুঁদে পড়ুয়ারা বিষন্ন হয়েছিল। এদিন ছুটির পর তাদের কে নিয়ে আমরা শিক্ষক শিক্ষিকারা হোলি খেলায় মেতে উঠেছিলাম।আরবির রঙে শিশু মন গুলো আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠেছিল।যে বিগত দুবছর করোনা তান্ডবের জন্য বঞ্চিত ছিলাম। শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যত,তারা খেলাধূলা,হাসি আনন্দে বড় হয়ে উঠুক।আর সেই কারণে আমাদের এই হোলি উৎসবের আয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *