নির্দিষ্ট রোড পার্মিশন থাকা সত্ত্বেও রাস্তার উপরে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে অটো চলাচল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত তাঁত কাপড়ের হাট কর্তৃপক্ষের।

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- নির্দিষ্ট রোড পার্মিশন থাকা সত্ত্বেও রাস্তার উপরে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে অটো চলাচল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত তাঁত কাপড়ের হাট কর্তৃপক্ষের। তাঁত কাপড়ের হাট কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়ে প্রায় ৪০ জন অটোচালক, এরি প্রতিবাদে শান্তিপুর থানার দ্বারস্থ প্রায় ৪০ জন অটোচালক। জানা যায়, শান্তিপুর স্টেশন থেকে শান্তিপুর নৃসিংহপুর কালনা ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৪০ জন অটোচালকদের রোড পার্মিশন অনুযায়ী শান্তিপুর স্টেশন থেকে সুত্রাগড় অঞ্চলের তাঁত কাপড়ের হাট এর সামনে দিয়ে যাতায়াত করে চল্লিশটি অটো গাড়ি। বৃহস্পতিবার হঠাৎ শান্তিপুর তাঁত কাপড়ের হাট এর সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে রেখে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই টোটো চালকরা টোটো নিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে আসতে পারছেনা, একাধিক টোটো চালক দের অভিযোগ, হঠাৎ কেন তাঁত কাপড়ের হাট কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিল। আমরা আমাদের নির্দিষ্ট রোড ম্যাপ এর মধ্যে দিয়েই অটো গাড়ি চালাই, রাস্তার উপর পুলিশ ব্যারিকেড দেওয়ার কারনে ওই রাস্তা দিয়ে অটো চালানো যাচ্ছে না। এই ঘটনা শান্তিপুর থানায় জানালে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাঁত কাপড়ের হাট কর্তৃপক্ষ একটি লিখিত জানাই তাই পুলিশের পক্ষ থেকে এই ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় শান্তিপুর আইএনটিটিইউসি সভাপতি সনৎ চক্রবর্তীর কাছে লিখিত জানাই প্রায় ৪০ জন অটোচালক। যদিও আজ বিকেলে শান্তিপুর পুলিশ প্রশাসন, তাঁত কাপড়ের হাট কর্তৃপক্ষ ও অটো চালক ইউনিয়ন এর পক্ষ থেকে এক আলোচনা সভার ডাক দেওয়া হয়। তবে অটোচালকদের দাবি, আজ বিকেলের মধ্যে যদি সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে আগামীকাল থেকে শান্তিপুর স্টেশন থেকে শান্তিপুর নৃসিংহপুর কালনা ঘাট পর্যন্ত সমস্ত অটো চলাচল বন্ধ থাকবে, এছাড়াও পথ অবরোধ করবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয় অটো চালকরা। যদিও শান্তিপুর আইএনটিটিইউসি সভাপতি সনৎ চক্রবর্তী বলেন, অটো ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে, আজ বিকেলে পুলিশ প্রশাসনের সাথে আলোচনার মধ্য দিয়ে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করা হবে। তবে অটো চলাচল বন্ধ করার কারণে অটো গাড়ি সাথে নিয়ে শান্তিপুর থানার দ্বারস্থ প্রায় ৪০ জন অটোচালক।