আদি তৃণমূল কর্মী সমর্থক কে মেরে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ যুব-তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

সুভাষ চন্দ্র দাশ,বাসন্তী :- প্রবল দাবদাহের পারদে পুড়ছে ধরাতল। বৃষ্টিপাতের অপেক্ষায় অধীর আগ্রহে চাতকের মতো তাকিয়ে সাধারণ মানুষ।ঠিক তেমনই ভাবে বাসন্তী ব্লকে কবে ফিরবে শান্তি?আদৌ শান্তি ফিরবে কি না সেই নিয়েই দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন সমগ্র বাসন্তী ব্লকের মানুষ।গত ২৭ এপ্রিল নিজের প্রাণ সংশয় হতে পারে আশাঙ্কা করে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্বয়ং বাসন্তীর বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী শ্যামল মন্ডল।সেই ঘটনার রেশ ৪৮ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠলো বাসন্তী ব্লক। এবার আদি তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থক কে বেধড়ক মারধর করে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো খোদ দলেরই যুব সংগঠনের বিরুদ্ধে।
ইতিমধ্যে অভিযুক্ত যুব তৃণমূল কর্মী সমর্থক স্বপন মাইতি,দিপঙ্কর মাইতি,পল্টু মাইতিদের বিরুদ্ধে বাসন্তী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আদি তৃণমূল কর্মী সমর্থক খোকন ওরফে নাড়ু মাইতি।

স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে যুব তৃণমূল কর্মী সমর্থক স্বপন মাইতি,দিপঙ্কর মাইতি,পল্টু মাইতিরা বৃহষ্পতিবার রাতে এলাকার আদি তৃণমূল কর্মী সমর্থক খোকন মাইতির বাড়িতে চড়াও হয়।সেখানে একটি সীমানা দেওয়া বেড়া ভাঙতে শুরু করে। কেন বেড়া ভাঙা হচ্ছে প্রতিবাদে সরব হন তিনি। অভিযোগ প্রতিবাদ করতেই আচমকা লাঠি লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় তার বাম হাত।মারধরের হাত থেকে স্বামীকে বাঁচানোর জন্য দৌড়ে আসেন স্ত্রী তুহিনা। অভিযোগ চুলের মুঠি ধরে তাকেও বেধড়ক মারধর করা হয়।
স্থানীয়রা জখমদের কে উদ্ধার করে প্রথমে এক গ্রামীণ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। পরে অবস্থা সঙ্কটজনক হলে বাসন্তী ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
খোকন ওরফে নাড়ু মাইতির দাবী ‘তিনি আদি তৃণমূল কংগ্রেস(মাদার) দল করেন।সেই কারণে তার উপর এমন আক্রমণ। তিনি আরো বলেন আমি যদি যুব তৃণমূল না করি তাহলে আমার বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়ে আমাকে খুন করবে বলে হুমকি দিয়েছে স্বপন,দীপঙ্কর,পল্টু মাইতিরা।আমি প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছি।’
শুক্রবার সকালে এবিষয়ে আক্রান্ত আদি তৃণমূল কর্মী সমর্থক বাসন্তী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *